পিয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত

প্রায় তিন মাস বন্ধ রাখার পর পিয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। নতুন মৌসুমের পিয়াজ উঠতে শুরু করায় গত কয়েক সপ্তাহে ভারতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম অনেকটা কমে এসেছে। সে কারণে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের পিয়াজ রপ্তানি নীতি সংশোধন করে রপ্তানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর গত সোমবার এক আদেশে জানিয়েছে, সব ধরনের পিয়াজের ক্ষেত্রে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুদে ঘাটতির কারণে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পিয়াজ রপ্তানিতে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত। ফলে বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পিয়াজের দাম, এক পর্যায়ে প্রতি কেজি পিয়াজ ১৩০ টাকাতেও বিক্রি হয়। এই পরিস্থিতিতে গতবছরের মতো মায়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রঙের ও স্বাদের পিয়াজ আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে সরকার। পাশাপাশি ৩১ মার্চ পর্যন্ত পিয়াজ আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমেও ভর্তুকিতে খোলাবাজারে ও অনলাইনে পিয়াজ বিক্রি করা হয়। নতুন পিয়াজ উঠতে শুরু করায় দেশের বাজারেও এখন দাম কমতে শুরু করেছে। গত শুক্রবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে পুরনো পিয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। ভারত থেকে পিয়াজ এলে তা আরও কিছুটা কমবে বলে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন।

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৫ পৌষ ১৪২৭, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

পিয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

প্রায় তিন মাস বন্ধ রাখার পর পিয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। নতুন মৌসুমের পিয়াজ উঠতে শুরু করায় গত কয়েক সপ্তাহে ভারতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম অনেকটা কমে এসেছে। সে কারণে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের পিয়াজ রপ্তানি নীতি সংশোধন করে রপ্তানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর গত সোমবার এক আদেশে জানিয়েছে, সব ধরনের পিয়াজের ক্ষেত্রে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুদে ঘাটতির কারণে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পিয়াজ রপ্তানিতে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত। ফলে বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পিয়াজের দাম, এক পর্যায়ে প্রতি কেজি পিয়াজ ১৩০ টাকাতেও বিক্রি হয়। এই পরিস্থিতিতে গতবছরের মতো মায়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রঙের ও স্বাদের পিয়াজ আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে সরকার। পাশাপাশি ৩১ মার্চ পর্যন্ত পিয়াজ আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমেও ভর্তুকিতে খোলাবাজারে ও অনলাইনে পিয়াজ বিক্রি করা হয়। নতুন পিয়াজ উঠতে শুরু করায় দেশের বাজারেও এখন দাম কমতে শুরু করেছে। গত শুক্রবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে পুরনো পিয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। ভারত থেকে পিয়াজ এলে তা আরও কিছুটা কমবে বলে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন।