কর্মহীনতার কারণে ঘটছে এসব অপরাধ : বিশেষজ্ঞ
করোনা মহামারীর মধ্যে রাজধানীতে অপরাধ প্রবনতা থেমে ছিল না। আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে ছোটখাট অপরাধ রাজধানীতে বেশি ঘটেছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। আসামিকে গ্রেফতার করে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত রাজধানীতে ১৭টি ডাকাতি, ১৬২টি দস্যুতা, ২০৮টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষণের ঘটনা ৫১৬টি, এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ২টি, নারী নির্যাতনের ঘটনা ১১০৩টি, শিশু নির্যাতন ৩৯২টি। মোট নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ২ হাজার ২৭টি। অপহরণের ঘটনা ৩৭টি, পুলিশ আক্রান্তের ঘটনা ৫৩টি, সিঁধেল চুরি ৫৯৮টি, গাড়ি চুরি ৩১০টি, তার চুরি ৫টি, গরু চুরির ঘটনা ৬টি, ছোটখাট অন্যান্য চুরির আরও ৭৮২টি ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে মোট চুরির ঘটনা ১১০৩টি। এসব ঘটনা ছাড়াও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় মোট মামলা ১১ হাজার ১১৬টি। চোরাচালান সংক্রান্ত মামলা ৬টি। অস্ত্র, মাদক ও বিষ্ফোরক আইনের মিলে মোট মামলা ১১ হাজার ৩১৫টি। সব মিলিয়ে গত এগারো মাসে মোট মামলা ২০ হাজার ২৬৬টি। পুলিশের একজন অপরাধ বিশেষজ্ঞ বলেন, করোনার কারনে বেকারত্ব বা কর্মসংস্থানের অভাব বাড়ছে। যারা ছোটখাট কাজ করত। তারাও করোনাকালে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অবশেষে বেঁচে থাকার কোন উপায় না পেয়ে তারা গরু চুরি থেকে সিঁধেল চুরি করে কিছু উপার্জন করার চেষ্টা করেছে। অন্যান্য ছোটখাট অপরাধ তারা করছেন। আর করোনাকালে পুলিশ মানবিক ও লকডাউনসহ নানা ধরনের কাজে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, প্রত্যেকটি অপরাধের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অপরাধীকে চিহ্নিত করে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তবে আগের মতো দিনে দুপুরে গুলি করে বোমা ফাটিয়ে অপরাধের মতো ঘটনা ছিল না, ঘটেনি। আগে প্রতি বছর রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বেশি ঘটলেও এ বছর রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কম হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে অথবা ছোটখাট বিরোধ ও পারিবারিক কলহের কারণে ঘটনা ঘটছে।
বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৬ পৌষ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
কর্মহীনতার কারণে ঘটছে এসব অপরাধ : বিশেষজ্ঞ
বাকী বিল্লাহ
করোনা মহামারীর মধ্যে রাজধানীতে অপরাধ প্রবনতা থেমে ছিল না। আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে ছোটখাট অপরাধ রাজধানীতে বেশি ঘটেছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। আসামিকে গ্রেফতার করে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত রাজধানীতে ১৭টি ডাকাতি, ১৬২টি দস্যুতা, ২০৮টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষণের ঘটনা ৫১৬টি, এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ২টি, নারী নির্যাতনের ঘটনা ১১০৩টি, শিশু নির্যাতন ৩৯২টি। মোট নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ২ হাজার ২৭টি। অপহরণের ঘটনা ৩৭টি, পুলিশ আক্রান্তের ঘটনা ৫৩টি, সিঁধেল চুরি ৫৯৮টি, গাড়ি চুরি ৩১০টি, তার চুরি ৫টি, গরু চুরির ঘটনা ৬টি, ছোটখাট অন্যান্য চুরির আরও ৭৮২টি ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে মোট চুরির ঘটনা ১১০৩টি। এসব ঘটনা ছাড়াও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় মোট মামলা ১১ হাজার ১১৬টি। চোরাচালান সংক্রান্ত মামলা ৬টি। অস্ত্র, মাদক ও বিষ্ফোরক আইনের মিলে মোট মামলা ১১ হাজার ৩১৫টি। সব মিলিয়ে গত এগারো মাসে মোট মামলা ২০ হাজার ২৬৬টি। পুলিশের একজন অপরাধ বিশেষজ্ঞ বলেন, করোনার কারনে বেকারত্ব বা কর্মসংস্থানের অভাব বাড়ছে। যারা ছোটখাট কাজ করত। তারাও করোনাকালে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অবশেষে বেঁচে থাকার কোন উপায় না পেয়ে তারা গরু চুরি থেকে সিঁধেল চুরি করে কিছু উপার্জন করার চেষ্টা করেছে। অন্যান্য ছোটখাট অপরাধ তারা করছেন। আর করোনাকালে পুলিশ মানবিক ও লকডাউনসহ নানা ধরনের কাজে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, প্রত্যেকটি অপরাধের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অপরাধীকে চিহ্নিত করে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তবে আগের মতো দিনে দুপুরে গুলি করে বোমা ফাটিয়ে অপরাধের মতো ঘটনা ছিল না, ঘটেনি। আগে প্রতি বছর রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বেশি ঘটলেও এ বছর রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কম হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে অথবা ছোটখাট বিরোধ ও পারিবারিক কলহের কারণে ঘটনা ঘটছে।