সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর পরিকল্পনা যেন বাস্তব রূপ পায়

রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর হচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নগরীকে যানজটমুক্ত করতে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে গাড়ি দাঁড়ানো, যাত্রী উঠানামা বন্ধে আগামী এক মাসের মধ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের জন্য ট্রাফিক কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কাজটি কঠিন হওয়ার কথা নয়। এজন্য ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করাই যথেষ্ট। বাস্তবে ট্রাফিক আইন মেনে চলা বা প্রয়োগ করা হচ্ছে না। গাড়িগুলো লেন মেনে চলছে না। ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলছে। নিয়ম মেনে, নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চলে না। রাস্তার মধ্যে গাড়ি থামিয়েই যাত্রী উঠানো-নামানো চলছে। যাত্রী-পথচারীরাও মানছেন না ট্রাফিক নিয়ম।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ডিএমপি ও সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এর আগেও অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। যানজট কমাতে লেন মেনে গাড়ি চালানোর বিধান কার্যকর করা হয়েছিল ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে। সেই উদ্যোগের পর প্রথমদিকে কয়েকদিন লেন মেনে গাড়ি চলেছে। কিন্তু কিছুদিন পরেই সেটা বন্ধ হয়ে যায়। একটি স্বার্থান্বেষী মহল সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর ক্ষেত্রে বরাবরই বাদ সাধে। যখনই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয় তখনই তারা অশুভ তৎপরতা শুরু করে। যে কারণে অতীতে অনেক উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখেনি।

আমরা আশা করব, ডিএমপির সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর পরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। সড়কে স্থায়ীভাবে শৃঙ্খলা ফিরবে। শুধু আইন বা নির্দেশনা দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো যাবে না। ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা জরুরি। মানুষকে আইন মানতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অদক্ষ ও অপ্রশিক্ষিত ড্রাইভার-হেলপারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৬ পৌষ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর পরিকল্পনা যেন বাস্তব রূপ পায়

রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর হচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নগরীকে যানজটমুক্ত করতে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে গাড়ি দাঁড়ানো, যাত্রী উঠানামা বন্ধে আগামী এক মাসের মধ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের জন্য ট্রাফিক কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কাজটি কঠিন হওয়ার কথা নয়। এজন্য ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করাই যথেষ্ট। বাস্তবে ট্রাফিক আইন মেনে চলা বা প্রয়োগ করা হচ্ছে না। গাড়িগুলো লেন মেনে চলছে না। ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলছে। নিয়ম মেনে, নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চলে না। রাস্তার মধ্যে গাড়ি থামিয়েই যাত্রী উঠানো-নামানো চলছে। যাত্রী-পথচারীরাও মানছেন না ট্রাফিক নিয়ম।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ডিএমপি ও সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এর আগেও অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। যানজট কমাতে লেন মেনে গাড়ি চালানোর বিধান কার্যকর করা হয়েছিল ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে। সেই উদ্যোগের পর প্রথমদিকে কয়েকদিন লেন মেনে গাড়ি চলেছে। কিন্তু কিছুদিন পরেই সেটা বন্ধ হয়ে যায়। একটি স্বার্থান্বেষী মহল সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর ক্ষেত্রে বরাবরই বাদ সাধে। যখনই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয় তখনই তারা অশুভ তৎপরতা শুরু করে। যে কারণে অতীতে অনেক উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখেনি।

আমরা আশা করব, ডিএমপির সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর পরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। সড়কে স্থায়ীভাবে শৃঙ্খলা ফিরবে। শুধু আইন বা নির্দেশনা দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো যাবে না। ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা জরুরি। মানুষকে আইন মানতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অদক্ষ ও অপ্রশিক্ষিত ড্রাইভার-হেলপারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে।