পটিয়ায় প্রশাসনের সহযোগিতায় পাহাড়-ফসলি জমির মাটিবাণিজ্য

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পাহাড় ও ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মাটির বিক্রির কৌশল হিসেবে পুকুর, রাস্তাঘাট, উন্নয়নে মাটির ব্যবহারের মৌখিক অনুমতি নিয়ে এক শ্রেণির মাটি ব্যবসায়ী ফসলি জমির উর্বর অংশ বিক্রি করে বলে জানা গেছে। তবে এলাকাবাসী জানায় প্রকৃতপক্ষে এ মাটি ইটভাটা ও খাই ভরাট ও ভিটে মাটি ভরাটের কাজে বিক্রি হচ্ছে। গত ৪-৫ বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাটি কাটার কারণে জমির উর্বরতা হারিয়ে যাচ্ছে। মাটির ব্যবসায়ীরা উপজেলা প্রশাসন ও থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করে এ ব্যবসা চালিয়ে থাকে বলে সূত্র জানায়।

প্রতি বছর আমন ধানকাটা শেষে মাটি কাটার কাজ শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল-মে পর্যন্ত এ ব্যবসা চলে। চলতি মৌসুমে গত এক সপ্তাহ ধরে মাটি বিক্রয়ের জন্য মাটি কাটার কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলার কেলিশহর এলাকার মা ফাতেমার মাজারের পূর্ব পার্শ্বে সরকারি আবাসন প্রকল্পের নিকটে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড়ি জমির মাটি কেটে মাটি বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটটি বর্তমানে উক্ত স্থানে ৫টি ডেম্পার লাগিয়ে প্রতিদিন ৪-৫ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাটির গাড়ি থেকে মাটি পড়ে পটিয়া কেলিশহর কার্পিটিং সড়ক কাদা ও ধুলাবালিতে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি জমির মাটি কাটার বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামূল হাসানকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে গত ২২ ডিসেম্বর সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শনে যান। পাহাড়ের পার্শ্বে যে জমিতে মাটি কাটা হচ্ছে সে জমিটি উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর বলে তিনি জানান। উপজেলার কেলিশহর, হাইদগাঁও, শোভনদন্ডী, কচুয়াই, বড়লিয়া, জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটা, ভরাট, ভিটিবাড়ি ভরাট কাজে ব্যবহার করা হয়। ১৫টি গ্রুপের একটি মাটি কাটা সিন্ডিকেট প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার মাটির ব্যবসা চালিয়ে থাকে। জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি ফসলি জমির উর্বর মাটি কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করে গোপনে এ ব্যবসা চলছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহাম্মদ বলেন, আমার মাটি কাটার অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি প্রশাসনের সহযোগিতায় মাটি কাটার বিষয়ে তিনি বলেন, অফিসের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুক্রবার, ০১ জানুয়ারী ২০২১ , ১৭ পৌষ ১৪২৭, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

পটিয়ায় প্রশাসনের সহযোগিতায় পাহাড়-ফসলি জমির মাটিবাণিজ্য

প্রতিনিধি, পটিয়া (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পাহাড় ও ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মাটির বিক্রির কৌশল হিসেবে পুকুর, রাস্তাঘাট, উন্নয়নে মাটির ব্যবহারের মৌখিক অনুমতি নিয়ে এক শ্রেণির মাটি ব্যবসায়ী ফসলি জমির উর্বর অংশ বিক্রি করে বলে জানা গেছে। তবে এলাকাবাসী জানায় প্রকৃতপক্ষে এ মাটি ইটভাটা ও খাই ভরাট ও ভিটে মাটি ভরাটের কাজে বিক্রি হচ্ছে। গত ৪-৫ বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাটি কাটার কারণে জমির উর্বরতা হারিয়ে যাচ্ছে। মাটির ব্যবসায়ীরা উপজেলা প্রশাসন ও থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করে এ ব্যবসা চালিয়ে থাকে বলে সূত্র জানায়।

প্রতি বছর আমন ধানকাটা শেষে মাটি কাটার কাজ শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল-মে পর্যন্ত এ ব্যবসা চলে। চলতি মৌসুমে গত এক সপ্তাহ ধরে মাটি বিক্রয়ের জন্য মাটি কাটার কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলার কেলিশহর এলাকার মা ফাতেমার মাজারের পূর্ব পার্শ্বে সরকারি আবাসন প্রকল্পের নিকটে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড়ি জমির মাটি কেটে মাটি বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটটি বর্তমানে উক্ত স্থানে ৫টি ডেম্পার লাগিয়ে প্রতিদিন ৪-৫ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাটির গাড়ি থেকে মাটি পড়ে পটিয়া কেলিশহর কার্পিটিং সড়ক কাদা ও ধুলাবালিতে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি জমির মাটি কাটার বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামূল হাসানকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে গত ২২ ডিসেম্বর সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শনে যান। পাহাড়ের পার্শ্বে যে জমিতে মাটি কাটা হচ্ছে সে জমিটি উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর বলে তিনি জানান। উপজেলার কেলিশহর, হাইদগাঁও, শোভনদন্ডী, কচুয়াই, বড়লিয়া, জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটা, ভরাট, ভিটিবাড়ি ভরাট কাজে ব্যবহার করা হয়। ১৫টি গ্রুপের একটি মাটি কাটা সিন্ডিকেট প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার মাটির ব্যবসা চালিয়ে থাকে। জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি ফসলি জমির উর্বর মাটি কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করে গোপনে এ ব্যবসা চলছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহাম্মদ বলেন, আমার মাটি কাটার অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি প্রশাসনের সহযোগিতায় মাটি কাটার বিষয়ে তিনি বলেন, অফিসের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।