নারায়ণগঞ্জে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। এতে মসজিদ কমিটির ২৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে আপাতত বাদ দেয়া হয়েছে তিতাস গ্যাস কোম্পানির গ্রেফতার হওয়া ৪ প্রকৌশলীসহ ৮ জনকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের নাম অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি। গতকাল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।

গত ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ ৩৮ জনের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে উৎপন্ন স্ফুলিঙ্গ ও তিতাসের পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে মসজিদের অভ্যন্তরে জমে থাকা গ্যাসের কারণেই এই বিস্ফোরণটি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সিআইডি। অভিযোগপত্রে মসজিদ পরিচালনা কমিটি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অবহেলা ও গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সিআইডি নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ সংবাদকে বলেন, অভিযোগপত্রে মসজিদ কমিটির সভাপতিসহ ২৬ জন, ডিপিডিসির একজন আউসোর্সিং মিটার রিডার ও দুই জন স্থানীয় বিদ্যুৎ মিস্ত্রিকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া তিতাস গ্যাস কোম্পানির ৮ জনকেও অভিযুক্তের তালিকায় রাখা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর মিয়া (৬০), সামসুদ্দিন সরদার (৬০), শামসু সরদার (৫৭), শওকত আলী (৫০), অসিম উদ্দিন (৫০), জাহাঙ্গীর আলম (৪০), শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল (৪৫), নাঈম সরদার (২৭), তানভীর আহমেদ (৪৫), আল আমিন (৩৫), আলমগীর সিকদার (৩৫), আলহাজ মাওলানা আল আমিন (৪৫), সিরাজ হাওলাদার (৫৫), নেওয়াজ মিয়া (৫৫), নাজির হোসেন (৫৬), আবুল কাশেম (৪৫), আবদুল মালেক (৫৫), মনিরুল (৫৫), স্বপন মিয়া (৩৮), আসলাম আলী (৪২), আলী তাজম (মিল্কী) (৫৫), কাইয়ুম (৩৮), মামুন মিয়া (৩৮), দেলোয়ার হোসেন, বশির আহমেদ (হৃদয়) (২৮), রিমেল (৩২), ডিপিডিসির আউটসোর্সিং মিটার রিডার আরিফুর রহমান (৩০), স্থানীয় বিদ্যুৎ মিস্ত্রি মোবারক হোসেন (৪০) ও রায়হানুল ইসলাম (৩৬)।