বিলগুলো চাষাবাদযোগ্য হোক

যশোরের কেশবপুরে প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তি সরকারি রাস্তার কালভার্টের দু’পাশের মুখ বন্ধ করে মাছের ঘের তৈরি করেছে। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় ৮টি বিলে পানি জমে আছে, ২ হাজার বিঘা কৃষিজমির চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বিলের জমিতে বছরে একটিমাত্র ফসল বোরো আবাদ হয়। জমিতে সময়মতো চাষাবাদ করতে না পারলে কৃষকরা সমূহ ক্ষতির শিকার হবেন। দেশের অনেক নিম্নাঞ্চলই দখলবাজদের কবলে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, একশ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিল কিংবা হাওর অঞ্চলের বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ বাঁশের ঘের স্থাপন করে জলের প্রাকৃতিক প্রবাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে ঘের মালিকেরা পানি নিষ্কাশনের নামে দরিদ্র কৃষকদের কাছ থেকে অর্থ বাণিজ্য করে। এ কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার বিঘা চাষযোগ্য জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে।

বিল এলাকার চাষযোগ্য জমি কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির কূটকৌশলে অনাবাদি থাকার বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না। করোনাভাইরাসজনিত বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী যে ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার মধ্যে প্রধান নির্দেশনাটি হচ্ছে- কোন জমি যেন পতিত না থাকে।

কেশবপুরের নিম্নাঞ্চলসহ দেশের অন্যান্য বিল এবং হাওর অঞ্চলে চাষাবাদের প্রতিবন্ধকতাগুলো দ্রুত দূর করতে হবে। এজন্য স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের উদ্যোগী হতে হবে। যারা উন্মুক্ত জলাভূমি এবং নিম্নাঞ্চলে দখলদারিত্ব বজায় রাখতে চায়, তাদের দমন করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুক্রবার, ০১ জানুয়ারী ২০২১ , ১৭ পৌষ ১৪২৭, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

বিলগুলো চাষাবাদযোগ্য হোক

যশোরের কেশবপুরে প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তি সরকারি রাস্তার কালভার্টের দু’পাশের মুখ বন্ধ করে মাছের ঘের তৈরি করেছে। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় ৮টি বিলে পানি জমে আছে, ২ হাজার বিঘা কৃষিজমির চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বিলের জমিতে বছরে একটিমাত্র ফসল বোরো আবাদ হয়। জমিতে সময়মতো চাষাবাদ করতে না পারলে কৃষকরা সমূহ ক্ষতির শিকার হবেন। দেশের অনেক নিম্নাঞ্চলই দখলবাজদের কবলে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, একশ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিল কিংবা হাওর অঞ্চলের বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ বাঁশের ঘের স্থাপন করে জলের প্রাকৃতিক প্রবাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে ঘের মালিকেরা পানি নিষ্কাশনের নামে দরিদ্র কৃষকদের কাছ থেকে অর্থ বাণিজ্য করে। এ কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার বিঘা চাষযোগ্য জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে।

বিল এলাকার চাষযোগ্য জমি কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির কূটকৌশলে অনাবাদি থাকার বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না। করোনাভাইরাসজনিত বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী যে ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার মধ্যে প্রধান নির্দেশনাটি হচ্ছে- কোন জমি যেন পতিত না থাকে।

কেশবপুরের নিম্নাঞ্চলসহ দেশের অন্যান্য বিল এবং হাওর অঞ্চলে চাষাবাদের প্রতিবন্ধকতাগুলো দ্রুত দূর করতে হবে। এজন্য স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের উদ্যোগী হতে হবে। যারা উন্মুক্ত জলাভূমি এবং নিম্নাঞ্চলে দখলদারিত্ব বজায় রাখতে চায়, তাদের দমন করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।