তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,/ গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়, (নিমন্ত্রণ)
এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,/ তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। (কবর)
ও বাবু সেলাম বারে বার, / আমার নাম গয়া বাইদ্যা বাবু/ বাড়ি পদ্মা পার।
(ও বাবু সেলাম বারে বার)।
এরকম বহু জনপ্রিয় কবিতা, গল্প, নাটক আর গানের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরে যে কবি পেয়েছিলেন ‘পল্লীকবি’ উপাধি, সেই কবি জসীম উদ্?দীনের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত হলো গতকাল। ১৯০৩ সালের এই দিনে ফরিদপুর শহরতলীর কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবির পিতা আনছারউদ্দীন, মাতা আমেনা খাতুন।
কবি জসীম উদ্দীন ১৯৩৯ সালে মমতাজ বেগমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ৩ ছেলে ড. জামাল আনোয়ার, খুরশিদ আনোয়ার ও আনোয়ার হাসু। গ্রামের কবি জসীম উদ্?দীনের ১১৮তম জন্মবার্ষিকীতে ফরিদপুর শহরতলী অম্বিকাপুরে কবির সমাধিস্থলে সকাল নয়টায় জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশন, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশাররফ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিপক রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খোকন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ, অধ্যাপক রেজভী জামান প্রমুখ। পরে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা।
এছাড়া শহরে কবি জসীম উদ্?দীন হলে সন্ধ্যায় লোকজ সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হয়। পল্লীকবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, এক পয়সার বাঁশি, রাখালী, বালুচর প্রভৃতি। পল্লীকবি জসীম উদ্?দীন ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
শনিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২১ , ১৮ পৌষ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
প্রতিনিধি, ফরিদপুর
তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,/ গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়, (নিমন্ত্রণ)
এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,/ তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। (কবর)
ও বাবু সেলাম বারে বার, / আমার নাম গয়া বাইদ্যা বাবু/ বাড়ি পদ্মা পার।
(ও বাবু সেলাম বারে বার)।
এরকম বহু জনপ্রিয় কবিতা, গল্প, নাটক আর গানের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরে যে কবি পেয়েছিলেন ‘পল্লীকবি’ উপাধি, সেই কবি জসীম উদ্?দীনের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত হলো গতকাল। ১৯০৩ সালের এই দিনে ফরিদপুর শহরতলীর কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবির পিতা আনছারউদ্দীন, মাতা আমেনা খাতুন।
কবি জসীম উদ্দীন ১৯৩৯ সালে মমতাজ বেগমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ৩ ছেলে ড. জামাল আনোয়ার, খুরশিদ আনোয়ার ও আনোয়ার হাসু। গ্রামের কবি জসীম উদ্?দীনের ১১৮তম জন্মবার্ষিকীতে ফরিদপুর শহরতলী অম্বিকাপুরে কবির সমাধিস্থলে সকাল নয়টায় জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশন, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশাররফ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিপক রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খোকন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ, অধ্যাপক রেজভী জামান প্রমুখ। পরে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা।
এছাড়া শহরে কবি জসীম উদ্?দীন হলে সন্ধ্যায় লোকজ সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হয়। পল্লীকবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, এক পয়সার বাঁশি, রাখালী, বালুচর প্রভৃতি। পল্লীকবি জসীম উদ্?দীন ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।