রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা বেইলী ব্রিজ এলাকায় গৃহবধূকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে পাঁচ দুবৃর্ত্ত। এ ঘটনায় পুলিশ চার ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, রংপুর নগরীর রবার্টসনগজ্ঞ মন্ডলপাড়া এলাকার এক গৃহবধূ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার কসাইটারী এলাকায় স্বামীর বাড়িতে বসবাস করত। ওই গৃহবধূর সঙ্গে দূর সম্পর্কের আত্মীয় হিসেবে পূর্ব পরিচয় ছিল রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পূর্বচানঘাট এলাকার আখের আলীর ছেলে সাজু মিয়ার।
গত বুধবার ওই গৃহবধূ তার বার বাড়িতে জরুরি কাজে রাজারহাট শ্বশুড় বাড়ি থেকে রংপুরে বাস যোগে আসার পথে সাজু তাকে মোবাইল ফোনে রংপুরে আসার পথে কাউনিয়ার বেইলী ব্রিজের কাছে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। গৃহবধূ সন্ধ্যার দিকে বাস থেকে নেমে বেইলী ব্রিজ এলাকায় নেমে সাজুর সঙ্গে দেখা করে। এ সময় সাজু তাকে কথা আছে বলে বেইলী ব্রিজের পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার অপর ৪ সহযোগীসহ পালা ক্রমে রাতভর ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষিতা গৃহবধূকে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
গুরতর অসুস্থ অবস্থায় ধর্ষিতা গৃহবধূ কোন রকমে বেইলী ব্রিজের বাজারে এসে স্থানীয় লোকজনের কাছে তার উপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা জানায়। এরপর ওই গৃহবধূ ৯৯৯ এ ফোন দিলে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তার কাছে ঘটনার বর্ণনা শেষে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক সাজুসহ সহযোগী আবদুল কাদেরের ছেলে রাজু আহমেদ আবুল কাশেমের ছেলে আহসান কবির সোহান আবুল কাশেমের ছেলে শুভ মিয়াসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষকদের সবার বাড়ি কাউনিয়া উপজেলার বেইলী ব্রিজ এলাকায় পুলিশি অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য এক আসামি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে সাজুসহ ৫ ধর্ষকের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান জানান ধর্ষিতা গৃহবধূর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার চার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করার অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২১ , ১৮ পৌষ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা বেইলী ব্রিজ এলাকায় গৃহবধূকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে পাঁচ দুবৃর্ত্ত। এ ঘটনায় পুলিশ চার ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, রংপুর নগরীর রবার্টসনগজ্ঞ মন্ডলপাড়া এলাকার এক গৃহবধূ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার কসাইটারী এলাকায় স্বামীর বাড়িতে বসবাস করত। ওই গৃহবধূর সঙ্গে দূর সম্পর্কের আত্মীয় হিসেবে পূর্ব পরিচয় ছিল রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পূর্বচানঘাট এলাকার আখের আলীর ছেলে সাজু মিয়ার।
গত বুধবার ওই গৃহবধূ তার বার বাড়িতে জরুরি কাজে রাজারহাট শ্বশুড় বাড়ি থেকে রংপুরে বাস যোগে আসার পথে সাজু তাকে মোবাইল ফোনে রংপুরে আসার পথে কাউনিয়ার বেইলী ব্রিজের কাছে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। গৃহবধূ সন্ধ্যার দিকে বাস থেকে নেমে বেইলী ব্রিজ এলাকায় নেমে সাজুর সঙ্গে দেখা করে। এ সময় সাজু তাকে কথা আছে বলে বেইলী ব্রিজের পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার অপর ৪ সহযোগীসহ পালা ক্রমে রাতভর ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষিতা গৃহবধূকে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
গুরতর অসুস্থ অবস্থায় ধর্ষিতা গৃহবধূ কোন রকমে বেইলী ব্রিজের বাজারে এসে স্থানীয় লোকজনের কাছে তার উপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা জানায়। এরপর ওই গৃহবধূ ৯৯৯ এ ফোন দিলে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তার কাছে ঘটনার বর্ণনা শেষে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক সাজুসহ সহযোগী আবদুল কাদেরের ছেলে রাজু আহমেদ আবুল কাশেমের ছেলে আহসান কবির সোহান আবুল কাশেমের ছেলে শুভ মিয়াসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষকদের সবার বাড়ি কাউনিয়া উপজেলার বেইলী ব্রিজ এলাকায় পুলিশি অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য এক আসামি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে সাজুসহ ৫ ধর্ষকের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান জানান ধর্ষিতা গৃহবধূর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার চার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করার অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।