ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিশ্রুত প্লট দ্রুত বুঝিয়ে দিন

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট দেয়া অঙ্গীকার ভিত্তিতে ঢাকার খিলক্ষেত, রূপগঞ্জ ও কালীগঞ্জের প্রায় ৩ হাজার ৫০০ মূল অধিবাসীর কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করেছিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কিন্তু ২৫ বছরেও প্লট বুঝে পায়নি ক্ষতিগ্রস্ত মূল আধিবাসীরা। রাজউকের প্লটের আবেদন করে কোন অগ্রগতি নেই বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

রাউজকের আবাসন প্রকল্প ও প্লট বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রকল্প এলাকার মূল অধিবাসীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাদের বসতভিটা এবং কৃষিজমি অধিগ্রহণ করে আবাসন প্রকল্প হয়। অথচ এসব প্লটের বেশিরভাগই বরাদ্দ পান বিত্তশালীরা। মূল অধিবাসীরা ক্ষতিপূরণের টাকা কিংবা প্লটের বরাদ্দের জন্য বছরের পর বছর ঘুরেও কোন সুরাহা পান না। এটা দুঃখজনক।

জমি অধিগ্রহণের সময় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের আদি অধিবাসীদের বলা হয়েছিল, তাদের জন্য প্লটের ব্যবস্থা হবে। যারা স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন তাদের জন্য প্লট বরাদ্দ দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছিলেন। রাজউকের পক্ষ থেকে গত মাসের মধ্যেই প্লট বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলাও হয়েছিল। এরপরও কেন বিষয়টির সুরাহা হলো না সেটাই প্রশ্ন।

গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাজউক ও গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন মূল অধিবাসীরা। বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্লট বরাদ্দ কাযক্রমে কোন প্রকার অনিয়ম গ্রহণযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে যদি কারোর গাফিলতি বা শৈথিল্য প্রমাণিত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

সব অধিবাসী ও সাধারণ ক্ষতিগ্রস্তকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্লট বরাদ্দ দেয়া রাজউকের নৈতিক দায়িত্ব। তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে সেটাই কাম্য। আমরা আশা করব, ক্ষতিগ্রস্তদের প্লট বুঝিয়ে দিতে কালক্ষেপণ হবে না। দ্রুততম সময়ে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। একজন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তও যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২১ , ১৮ পৌষ ১৪২৭, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প

ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিশ্রুত প্লট দ্রুত বুঝিয়ে দিন

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট দেয়া অঙ্গীকার ভিত্তিতে ঢাকার খিলক্ষেত, রূপগঞ্জ ও কালীগঞ্জের প্রায় ৩ হাজার ৫০০ মূল অধিবাসীর কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করেছিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কিন্তু ২৫ বছরেও প্লট বুঝে পায়নি ক্ষতিগ্রস্ত মূল আধিবাসীরা। রাজউকের প্লটের আবেদন করে কোন অগ্রগতি নেই বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

রাউজকের আবাসন প্রকল্প ও প্লট বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রকল্প এলাকার মূল অধিবাসীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাদের বসতভিটা এবং কৃষিজমি অধিগ্রহণ করে আবাসন প্রকল্প হয়। অথচ এসব প্লটের বেশিরভাগই বরাদ্দ পান বিত্তশালীরা। মূল অধিবাসীরা ক্ষতিপূরণের টাকা কিংবা প্লটের বরাদ্দের জন্য বছরের পর বছর ঘুরেও কোন সুরাহা পান না। এটা দুঃখজনক।

জমি অধিগ্রহণের সময় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের আদি অধিবাসীদের বলা হয়েছিল, তাদের জন্য প্লটের ব্যবস্থা হবে। যারা স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন তাদের জন্য প্লট বরাদ্দ দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছিলেন। রাজউকের পক্ষ থেকে গত মাসের মধ্যেই প্লট বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলাও হয়েছিল। এরপরও কেন বিষয়টির সুরাহা হলো না সেটাই প্রশ্ন।

গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাজউক ও গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন মূল অধিবাসীরা। বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্লট বরাদ্দ কাযক্রমে কোন প্রকার অনিয়ম গ্রহণযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে যদি কারোর গাফিলতি বা শৈথিল্য প্রমাণিত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

সব অধিবাসী ও সাধারণ ক্ষতিগ্রস্তকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্লট বরাদ্দ দেয়া রাজউকের নৈতিক দায়িত্ব। তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে সেটাই কাম্য। আমরা আশা করব, ক্ষতিগ্রস্তদের প্লট বুঝিয়ে দিতে কালক্ষেপণ হবে না। দ্রুততম সময়ে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। একজন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তও যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।