জেএমআইর বিরুদ্ধে বিএসইসির তদন্ত কমিটি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসের শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ জন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ২১ ধারা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ এর ১৭ক ধারার ক্ষমতাবলে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে বিএসইসির উপপরিচালক উম্মে সালমা ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারিসুল হাসান রিফাতকে। গত ৩১ ডিসেম্বর বিএসইসির উপপরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম সই করা একটি আদেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোন ইনসাইডার ট্রেডিং হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখে তদন্ত কমিটিকে আদেশ জারির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেএমআই সিরিঞ্জের শেয়ার দাম টানা বাড়ে। ১০ ডিসেম্বর কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৮২ টাকা। যা টানা বেড়ে ২৭ ডিসেম্বর ৪২৯ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠে। অর্থাৎ ১৭ দিনের ব্যবধানে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৪৭ টাকা ৯০ পয়সা। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। এদিকে কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়তে থাকায় গত ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে তথ্য প্রকাশ করা হয়। ওই সতর্কবার্তায় ডিএসই থেকে জানানো হয়, শেয়ারের অস্বাভবিক দাম বাড়ার কারণ জানতে জেএমআই সিরিঞ্জ কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করা হয়। জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনে কোন অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

জেএমআইর বিরুদ্ধে বিএসইসির তদন্ত কমিটি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসের শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ জন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ২১ ধারা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ এর ১৭ক ধারার ক্ষমতাবলে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে বিএসইসির উপপরিচালক উম্মে সালমা ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারিসুল হাসান রিফাতকে। গত ৩১ ডিসেম্বর বিএসইসির উপপরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম সই করা একটি আদেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোন ইনসাইডার ট্রেডিং হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখে তদন্ত কমিটিকে আদেশ জারির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেএমআই সিরিঞ্জের শেয়ার দাম টানা বাড়ে। ১০ ডিসেম্বর কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৮২ টাকা। যা টানা বেড়ে ২৭ ডিসেম্বর ৪২৯ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠে। অর্থাৎ ১৭ দিনের ব্যবধানে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৪৭ টাকা ৯০ পয়সা। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। এদিকে কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়তে থাকায় গত ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে তথ্য প্রকাশ করা হয়। ওই সতর্কবার্তায় ডিএসই থেকে জানানো হয়, শেয়ারের অস্বাভবিক দাম বাড়ার কারণ জানতে জেএমআই সিরিঞ্জ কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করা হয়। জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনে কোন অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।