মুজিববর্ষে ভূমি ও গৃহহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীন নারায়ণগঞ্জ ও খুলনায় যথাক্রমে ৬১২ ও ৯২২ পরিবার পাচ্ছে আধাপাকা টিনশেডের ঘর। না’গঞ্জের বিদায়ী জেলা প্রশাসক ও খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ খবর নিশ্চিত করেন বলে প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা গেছে
প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের ৬১২ ভূমি ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে জমি-ঘর নেই এমন পরিবারকে দুই শতাংশ খাস জমিতে সরকারি খরচে দুই কক্ষের আধাপাকা ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে।
জেলার ৬১২টি পরিবারের জন্য রূপগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৪৯৮টি জমি ও ঘর নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া সোনারগাঁ উপজেলায় ৯০টি, আড়াইহাজার ২১টি এবং সদরে ৩টি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে বন্দর উপজেলায় কোন বরাদ্দ নেই। পরিবার বাছাইয়ে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারী ও ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুইটি কক্ষের বাড়িতে আরও থাকছে একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। সে হিসেবে নারায়ণগঞ্জে ১০ কোটি ৪৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ঘরগুলো যাতে টেকসই এবং মানসম্মত হয় সেজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং কমিটি নিয়মিত তদারকি করছেন।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (সদ্য বদলি হওয়া) মো. জসিম উদ্দিন জানান, বছর দুয়েক পূর্বে জমি-ঘর নেই এবং জমি আছে ঘর নেই; এই দুই ক্যাটাগরিতে দুই হাজার ঘরের একটি চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছিল। পরিবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে উপজেলা ও ইউনিয়নভিত্তিক কমিটি ছিল। সরেজমিন পরিদর্শন ও যাচাই-বাছাইয়ের পর তালিকা করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ৬১২টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। খাস জমির অভাবে বেশি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। জমি না পাওয়ার কারণে সদর উপজেলা মাত্র তিনটি ঘর নিয়েছে। অন্যদিকে বন্দর উপজেলায় জমি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি)।
ডিসি জসিম উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব স্যার সবগুলো ঘরই দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু জমির অভাবে আমরা সবগুলো ঘর পাচ্ছি না। রূপগঞ্জ উপজেলা জমি পাওয়া গেছে বলে তারা অনেক ঘর নিতে পেরেছে। তবে জমি আছে ঘর নেই এমন ক্যাটাগরির আরও কিছু ঘর বরাদ্দ শীঘ্রই পাওয়া যাবে। বন্দরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জমির ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’
এদিকে চলতি মাসে রূপগঞ্জে প্রায় ১৫০ ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ নুসরাত জাহান। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সবগুলো ইউনিয়নে খাস জমি পাওয়া যায়নি। খাস জমি অনুযায়ী ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। জানুয়ারির মধ্যেই প্রায় ১৫০ ঘর সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে ঘর হস্তান্তর করার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি।’
রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
সংবাদ ডেস্ক |
মুজিববর্ষে ভূমি ও গৃহহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীন নারায়ণগঞ্জ ও খুলনায় যথাক্রমে ৬১২ ও ৯২২ পরিবার পাচ্ছে আধাপাকা টিনশেডের ঘর। না’গঞ্জের বিদায়ী জেলা প্রশাসক ও খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ খবর নিশ্চিত করেন বলে প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা গেছে
প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের ৬১২ ভূমি ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে জমি-ঘর নেই এমন পরিবারকে দুই শতাংশ খাস জমিতে সরকারি খরচে দুই কক্ষের আধাপাকা ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে।
জেলার ৬১২টি পরিবারের জন্য রূপগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৪৯৮টি জমি ও ঘর নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া সোনারগাঁ উপজেলায় ৯০টি, আড়াইহাজার ২১টি এবং সদরে ৩টি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে বন্দর উপজেলায় কোন বরাদ্দ নেই। পরিবার বাছাইয়ে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারী ও ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুইটি কক্ষের বাড়িতে আরও থাকছে একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। সে হিসেবে নারায়ণগঞ্জে ১০ কোটি ৪৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ঘরগুলো যাতে টেকসই এবং মানসম্মত হয় সেজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং কমিটি নিয়মিত তদারকি করছেন।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (সদ্য বদলি হওয়া) মো. জসিম উদ্দিন জানান, বছর দুয়েক পূর্বে জমি-ঘর নেই এবং জমি আছে ঘর নেই; এই দুই ক্যাটাগরিতে দুই হাজার ঘরের একটি চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছিল। পরিবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে উপজেলা ও ইউনিয়নভিত্তিক কমিটি ছিল। সরেজমিন পরিদর্শন ও যাচাই-বাছাইয়ের পর তালিকা করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ৬১২টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। খাস জমির অভাবে বেশি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। জমি না পাওয়ার কারণে সদর উপজেলা মাত্র তিনটি ঘর নিয়েছে। অন্যদিকে বন্দর উপজেলায় জমি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি)।
ডিসি জসিম উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব স্যার সবগুলো ঘরই দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু জমির অভাবে আমরা সবগুলো ঘর পাচ্ছি না। রূপগঞ্জ উপজেলা জমি পাওয়া গেছে বলে তারা অনেক ঘর নিতে পেরেছে। তবে জমি আছে ঘর নেই এমন ক্যাটাগরির আরও কিছু ঘর বরাদ্দ শীঘ্রই পাওয়া যাবে। বন্দরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জমির ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’
এদিকে চলতি মাসে রূপগঞ্জে প্রায় ১৫০ ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ নুসরাত জাহান। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সবগুলো ইউনিয়নে খাস জমি পাওয়া যায়নি। খাস জমি অনুযায়ী ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। জানুয়ারির মধ্যেই প্রায় ১৫০ ঘর সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে ঘর হস্তান্তর করার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি।’