পোশাক কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক গৃহবধূ। গতকাল ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ এ অভিযোগ করেন। তিনি জানান, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেলস্ অ্যান্ড মার্কেটিং-এর, করপোরেট এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি করতেন। চাকরিকালে ময়মনসিংহের ভালুকাস্থ পূর্বাশা টেক্সটাইল লিমিটেডের একটি নতুন ফ্যাক্টরির জন্য তাদের কোম্পানি থেকে পণ্য ক্রয়ের ক্রয়াদেশ দেয়া হয়। ওই সময় ওই কোম্পানির কর্ণধার আলী হোসেনের সঙ্গে করপোরেট গ্রাহক হিসেবে তার পরিচয় হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বিকেলে আলী হোসেন তার ঢাকার উত্তরার অফিসে পণ্য ক্রয়ের ক্রয়াদেশ দিবেন বলে ডেকে নিয়ে যান। পরে এক পর্যায়ে তিনি অফিস কক্ষেই তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং গোপনে তা ভিডিও ও ছবি ধারণ করে ভয়ভীতি দেখান এবং কাউকে ঘটনা বললে সন্তানসহ আমাকে মেরে ফেলবেন বলেও হুমকি দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ আরও বলেন, লোকলজ্জা এবং সন্তানের কথা ভেবে বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি। আলী হোসেন ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে জিম্মি করে ফেলেন। ধর্ষণের ঘটনার পর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আলী হোসেন উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত লুবানা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভপাত ঘটান। এসব ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। ভুক্তভোগী বলেন, এক পর্যায়ে আমার আত্মীয়স্বজনদের পরামর্শে গত ১৯ অক্টোবর উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২০ আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং হচ্ছে (২৫)। মামলা দায়েরের পর আলী হোসেন এবং তার লোকজন তাকে এবং একমাত্র সন্তানকে মেরে ফেলার জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। পাশাপাশি মামলা তুলে নেয়ার জন্যও চাপ প্রয়োগ করছে।
ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, তিনি বর্তমানে ভয়ে সন্তানসহ বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে আছেন। অন্যদিকে উচ্চআদালত থেকে জামিন নিয়ে আলী হোসেন এবং তার লোকজন প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। থানা পুলিশের কাছ থেকেও চার্জশিট প্রদানের ক্ষেত্রেও আশানুরূপ কোন সাড়া পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় আলী হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ।
রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
পোশাক কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক গৃহবধূ। গতকাল ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ এ অভিযোগ করেন। তিনি জানান, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেলস্ অ্যান্ড মার্কেটিং-এর, করপোরেট এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি করতেন। চাকরিকালে ময়মনসিংহের ভালুকাস্থ পূর্বাশা টেক্সটাইল লিমিটেডের একটি নতুন ফ্যাক্টরির জন্য তাদের কোম্পানি থেকে পণ্য ক্রয়ের ক্রয়াদেশ দেয়া হয়। ওই সময় ওই কোম্পানির কর্ণধার আলী হোসেনের সঙ্গে করপোরেট গ্রাহক হিসেবে তার পরিচয় হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বিকেলে আলী হোসেন তার ঢাকার উত্তরার অফিসে পণ্য ক্রয়ের ক্রয়াদেশ দিবেন বলে ডেকে নিয়ে যান। পরে এক পর্যায়ে তিনি অফিস কক্ষেই তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং গোপনে তা ভিডিও ও ছবি ধারণ করে ভয়ভীতি দেখান এবং কাউকে ঘটনা বললে সন্তানসহ আমাকে মেরে ফেলবেন বলেও হুমকি দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ আরও বলেন, লোকলজ্জা এবং সন্তানের কথা ভেবে বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি। আলী হোসেন ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে জিম্মি করে ফেলেন। ধর্ষণের ঘটনার পর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আলী হোসেন উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত লুবানা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভপাত ঘটান। এসব ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। ভুক্তভোগী বলেন, এক পর্যায়ে আমার আত্মীয়স্বজনদের পরামর্শে গত ১৯ অক্টোবর উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২০ আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং হচ্ছে (২৫)। মামলা দায়েরের পর আলী হোসেন এবং তার লোকজন তাকে এবং একমাত্র সন্তানকে মেরে ফেলার জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। পাশাপাশি মামলা তুলে নেয়ার জন্যও চাপ প্রয়োগ করছে।
ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, তিনি বর্তমানে ভয়ে সন্তানসহ বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে আছেন। অন্যদিকে উচ্চআদালত থেকে জামিন নিয়ে আলী হোসেন এবং তার লোকজন প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। থানা পুলিশের কাছ থেকেও চার্জশিট প্রদানের ক্ষেত্রেও আশানুরূপ কোন সাড়া পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় আলী হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ।