কথাসাহিত্যিক

আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৭ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধায় জন্মগ্রহণ করেন। তার কর্মজীবন শুরু হয় জগন্নাথ কলেজে। তিনি মিউজিক কলেজের উপাধ্যক্ষ, প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের উপপরিচালক, ঢাকা কলেজের বাংলার অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মফিজউদ্দিন শিক্ষা কমিশনেরও সদস্য ছিলেন তিনি।

কথাসাহিত্যে তার অবদান অসামান্য। ষাটের দশকে লেখালেখি শুরু করে আমৃত্যু লিখেছেন এবং বাংলা গদ্যসাহিত্যকে শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড় করে গেছেন। বাস্তবতার নিপুণ চিত্রায়ণ, ইতিহাস ও রাজনৈতিক জ্ঞান, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ তার রচনাকে দিয়েছে এক ব্যতিক্রমী সুষমা।তার রচনাসম্ভারের মধ্যে রয়েছে দুটি উপন্যাস, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্ধ সংকলন। তার প্রথম উপন্যাস ‘চিলেকোঠার সেপাই’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

তার লেখা ‘অন্যঘরে অন্যস্বর’, ‘খোঁয়ারি’, ‘দুধভাতে উৎপাত’, ‘দোজখের ওম’, ‘খোয়াবনামা’ও বাংলার পাঠকের কাছে সুখপাঠ্য। কর্মক্ষেত্র ও সাহিত্যে অনন্য প্রতিভার জন্য একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সা’দত আলী আখন্দ পুরস্কার, কলকাতার আনন্দসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

সোমবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২১ , ২০ পৌষ ১৪২৭, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

কথাসাহিত্যিক

আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

image

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৭ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধায় জন্মগ্রহণ করেন। তার কর্মজীবন শুরু হয় জগন্নাথ কলেজে। তিনি মিউজিক কলেজের উপাধ্যক্ষ, প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের উপপরিচালক, ঢাকা কলেজের বাংলার অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মফিজউদ্দিন শিক্ষা কমিশনেরও সদস্য ছিলেন তিনি।

কথাসাহিত্যে তার অবদান অসামান্য। ষাটের দশকে লেখালেখি শুরু করে আমৃত্যু লিখেছেন এবং বাংলা গদ্যসাহিত্যকে শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড় করে গেছেন। বাস্তবতার নিপুণ চিত্রায়ণ, ইতিহাস ও রাজনৈতিক জ্ঞান, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ তার রচনাকে দিয়েছে এক ব্যতিক্রমী সুষমা।তার রচনাসম্ভারের মধ্যে রয়েছে দুটি উপন্যাস, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্ধ সংকলন। তার প্রথম উপন্যাস ‘চিলেকোঠার সেপাই’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

তার লেখা ‘অন্যঘরে অন্যস্বর’, ‘খোঁয়ারি’, ‘দুধভাতে উৎপাত’, ‘দোজখের ওম’, ‘খোয়াবনামা’ও বাংলার পাঠকের কাছে সুখপাঠ্য। কর্মক্ষেত্র ও সাহিত্যে অনন্য প্রতিভার জন্য একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সা’দত আলী আখন্দ পুরস্কার, কলকাতার আনন্দসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।