গতিশীলতার পথে পুঁজিবাজার বিনিয়োগ করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে

বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বড় হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। ইনশাআল্লাহ বাজার আরও বড় হবে। দেশি-বিদেশি বড় বড় বিনিয়োগকারী বাজারে নতুন ফান্ড নিয়ে আসছে। সরকারের বিভিন্ন পলিসি পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরিয়ে আনছে। অপরদিকে, বিএসইসি’র বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে সুশাসন ফিরে আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন কোম্পানির ওপর বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরে আসছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিদেশ থেকে যাতে সহজে বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করতে পারেন তার জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ব্রোকার হাউজের শাখা অফিস খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি, বাজারের এই গতিশীল অবস্থা ধরে রাখতে বিএসইসি সঠিক সময়ে সঠিক এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।

শিল্পায়নে অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজার হবে টাকার উৎস। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে দীর্ঘমেয়াদী ইনভেস্টমেন্ট সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। ব্যাংক ও অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান শুধু স্টার্ট-আপ মানি/ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল/ এসএমইতে স্বল্প-মেয়াদী লোন দিবে। এতে ব্যাংকের ওপর টাকা নেয়ার চাপ কমবে, ব্যাংক ব্যবস্থা ভালো থাকবে। ব্যাংকে ডিপোজিটরদের টাকা নিরাপদ থাকবে, ব্যাংকের লুটপাট বন্ধ হবে।

আমি আমার অভিজ্ঞতায় বলব, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে। এখানে আমি উল্লেখ করতে চাই, ২০১০ সালে মার্কেট যখন বড় হচ্ছিল, আমি বলেছিলাম, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যেন জমিজমা বিক্রি না করে বা বন্ধক রেখে/ পরিবারের স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে/অথবা লোন করে/অথবা বিদেশে থাকা আত্মীয়স্বজনের কষ্টার্জিত ইনকাম ঋণ করে/অথবা অতিরিক্ত মার্জিন লোন নিয়ে, পূঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ না করে, কোম্পানির মৌলভিত্তি যাচাই না করে, কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিনিয়োগ করা একেবারেই ঠিক হবে না।

বাজারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য বিএসইসি কমিশনকঠোর অবস্থানে আছেন। যারা এই মার্কেটের সঙ্গে জড়িত তাদের সম্পূর্ণ কমপ্লিয়েন্স মেনে কাজ করতে হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে অনেক অনিয়ম ছিল, আইনের কঠোর প্রয়োগ ছিল না, রুলস-রেগুলেশনসের কোন তোয়াক্কা না করে যে যার মতো ব্যবসা করেছেন।

বিএসইসির বর্তমান কমিশনের বিভিন্ন নির্দেশনায় তারই প্রতিফলন যেমন, স্পন্সর ডিরেক্টরদের ২ শতাংশ, ৩০ শতাংশ সম্মিলিত শেয়ার ধারণ, লিস্টেড কোম্পানিগুলোর করপোরেটকালচার ও করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দ্রুত স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ, আইনের কঠোর প্রয়োগ, জেড গ্রুপের শেয়ারের ক্ষেত্রে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়া, মার্জিন লোন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। সার্কুলারট্রেড, ইনসাইডার ট্রেডিং ও মার্কেট ম্যানিপুলেশনকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে পুঁজিবাজারে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জোর পদক্ষেপ নিয়েছেন বর্তমান কমিশন। লিস্টেড কোম্পানিগুলো মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজস্ব কোম্পানির শেয়ারের দাম নঁননষব করে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার দিন শেষ। ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ার বাজারে আসছে।

নতুন আইপিও আসার ক্ষেত্রে সেটা ফিকসড ও বুক ব্লিডিং যে পদ্ধতিই হোক, বিএসইসি এবং এক্সচেঞ্জকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে স্কেরিটিনি করতে হবে এবং আইনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে অথবা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রভাবে বাজারে পোর পারফর্মিং কোম্পানিলিস্টেড হতে না পারে তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বে নতুন কমিশন আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানে আছে বলে আমি মনে করি।

পুঁজিবাজারের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রেগুলেটর হলো বিএসইসি। বিএসইসিকে কাউকে জবাবদিহি করতে হয় না। বাজারসংশ্লিষ্ট সবাইকে বিএসইসি’র কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। অতএব বিএসইসিকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে বাজারে যারা যেভাবেই সংশ্লিষ্ট থাকুক না কেন, লিস্টেড কোম্পানি, ব্রোকার, ইনস্টিটিউশন, আন্ডাররাইটার, স্পন্সর, মিউচ্যুয়াল ফান্ডস, অ্যাসেট ভ্যালুয়ার কোম্পানি, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, বন্ড মার্কেট এবং স্টক এক্সচেঞ্জসহ সবাই পড়সঢ়ষরধহপব মেনে চলছে। বিএসইসিকে একটা ম্যাসেজ সবাইকে দিতে হবে যে ল/রুলস/রেগুলেশন মেনে সবাইকে ব্যবসা করতে হবে এবং কোম্পানি পরিচালনা করতে হবে।

আইপিও আসার ক্ষেত্রে সব অনিয়ম ইতোমধ্যে দূর করা হয়েছে। ভালো ভালো প্রাইভেট শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাজার থেকে টাকা তুলে তাদের শিল্পপ্রতিষ্ঠান এক্সপেনশান করার পরিকল্পনা করছে। ইতোমধ্যে যার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি। পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হয়ে প্রাইভেট কোম্পানিগুলো করপোরেট কালচার/ করপোরেটসুশাসন/গুড গভর্নেন্স-এ ফিরে আসতে শুরু করেছে, সবাইকে একটু সময় দিতে হবে। কোম্পানি বড় করতে হলে সবাইকে পুঁজিবাজারে আসতে হবে। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সিন্ডিকেট করে, ভুল তথ্য দিয়ে টাকা লোন নেয়ার দিন শেষ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অর্থায়নের মূল উৎস হবে পুঁজিবাজার। নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং সর্বোপরি দেশ আরও এগিয়ে যাবে। এটাই বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী বাজেটে যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন তার একটি মাত্র লক্ষ্য হলো জনগণের সঞ্চয়ের একটি বড় অংশ পুঁজি বাজারে আসুক এবং সরকারি-বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ করুক।

বাজার যে বড় হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসছে, দেশি-বিদেশি সবাই বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছেন এবং আগামী বছরগুলোতে আমরা যে ৫ হাজার কোটি টাকা টার্নওভারের স্বপ্ন দেখছি এবং ইক্যুইটি মার্কেটের বাইরে বন্ড মার্কেট, সুকুক, ইটিএফ, এসএমই মার্কেট, এটিবি/ওটিসি বোর্ড, ডেরিভাটিভ চালু করার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার সব কৃতিত্বই বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের। এখানে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট নেয়ার সুযোগ নেই।

মো. রকিবুর রহমান

সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড

মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২১ , ২১ পৌষ ১৪২৭, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

গতিশীলতার পথে পুঁজিবাজার বিনিয়োগ করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে

image

বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বড় হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। ইনশাআল্লাহ বাজার আরও বড় হবে। দেশি-বিদেশি বড় বড় বিনিয়োগকারী বাজারে নতুন ফান্ড নিয়ে আসছে। সরকারের বিভিন্ন পলিসি পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরিয়ে আনছে। অপরদিকে, বিএসইসি’র বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে সুশাসন ফিরে আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন কোম্পানির ওপর বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরে আসছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিদেশ থেকে যাতে সহজে বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করতে পারেন তার জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ব্রোকার হাউজের শাখা অফিস খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি, বাজারের এই গতিশীল অবস্থা ধরে রাখতে বিএসইসি সঠিক সময়ে সঠিক এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।

শিল্পায়নে অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজার হবে টাকার উৎস। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে দীর্ঘমেয়াদী ইনভেস্টমেন্ট সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। ব্যাংক ও অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান শুধু স্টার্ট-আপ মানি/ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল/ এসএমইতে স্বল্প-মেয়াদী লোন দিবে। এতে ব্যাংকের ওপর টাকা নেয়ার চাপ কমবে, ব্যাংক ব্যবস্থা ভালো থাকবে। ব্যাংকে ডিপোজিটরদের টাকা নিরাপদ থাকবে, ব্যাংকের লুটপাট বন্ধ হবে।

আমি আমার অভিজ্ঞতায় বলব, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে। এখানে আমি উল্লেখ করতে চাই, ২০১০ সালে মার্কেট যখন বড় হচ্ছিল, আমি বলেছিলাম, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যেন জমিজমা বিক্রি না করে বা বন্ধক রেখে/ পরিবারের স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে/অথবা লোন করে/অথবা বিদেশে থাকা আত্মীয়স্বজনের কষ্টার্জিত ইনকাম ঋণ করে/অথবা অতিরিক্ত মার্জিন লোন নিয়ে, পূঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ না করে, কোম্পানির মৌলভিত্তি যাচাই না করে, কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিনিয়োগ করা একেবারেই ঠিক হবে না।

বাজারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য বিএসইসি কমিশনকঠোর অবস্থানে আছেন। যারা এই মার্কেটের সঙ্গে জড়িত তাদের সম্পূর্ণ কমপ্লিয়েন্স মেনে কাজ করতে হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে অনেক অনিয়ম ছিল, আইনের কঠোর প্রয়োগ ছিল না, রুলস-রেগুলেশনসের কোন তোয়াক্কা না করে যে যার মতো ব্যবসা করেছেন।

বিএসইসির বর্তমান কমিশনের বিভিন্ন নির্দেশনায় তারই প্রতিফলন যেমন, স্পন্সর ডিরেক্টরদের ২ শতাংশ, ৩০ শতাংশ সম্মিলিত শেয়ার ধারণ, লিস্টেড কোম্পানিগুলোর করপোরেটকালচার ও করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দ্রুত স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ, আইনের কঠোর প্রয়োগ, জেড গ্রুপের শেয়ারের ক্ষেত্রে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়া, মার্জিন লোন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। সার্কুলারট্রেড, ইনসাইডার ট্রেডিং ও মার্কেট ম্যানিপুলেশনকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে পুঁজিবাজারে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জোর পদক্ষেপ নিয়েছেন বর্তমান কমিশন। লিস্টেড কোম্পানিগুলো মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজস্ব কোম্পানির শেয়ারের দাম নঁননষব করে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার দিন শেষ। ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ার বাজারে আসছে।

নতুন আইপিও আসার ক্ষেত্রে সেটা ফিকসড ও বুক ব্লিডিং যে পদ্ধতিই হোক, বিএসইসি এবং এক্সচেঞ্জকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে স্কেরিটিনি করতে হবে এবং আইনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে অথবা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রভাবে বাজারে পোর পারফর্মিং কোম্পানিলিস্টেড হতে না পারে তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বে নতুন কমিশন আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানে আছে বলে আমি মনে করি।

পুঁজিবাজারের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রেগুলেটর হলো বিএসইসি। বিএসইসিকে কাউকে জবাবদিহি করতে হয় না। বাজারসংশ্লিষ্ট সবাইকে বিএসইসি’র কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। অতএব বিএসইসিকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে বাজারে যারা যেভাবেই সংশ্লিষ্ট থাকুক না কেন, লিস্টেড কোম্পানি, ব্রোকার, ইনস্টিটিউশন, আন্ডাররাইটার, স্পন্সর, মিউচ্যুয়াল ফান্ডস, অ্যাসেট ভ্যালুয়ার কোম্পানি, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, বন্ড মার্কেট এবং স্টক এক্সচেঞ্জসহ সবাই পড়সঢ়ষরধহপব মেনে চলছে। বিএসইসিকে একটা ম্যাসেজ সবাইকে দিতে হবে যে ল/রুলস/রেগুলেশন মেনে সবাইকে ব্যবসা করতে হবে এবং কোম্পানি পরিচালনা করতে হবে।

আইপিও আসার ক্ষেত্রে সব অনিয়ম ইতোমধ্যে দূর করা হয়েছে। ভালো ভালো প্রাইভেট শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাজার থেকে টাকা তুলে তাদের শিল্পপ্রতিষ্ঠান এক্সপেনশান করার পরিকল্পনা করছে। ইতোমধ্যে যার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি। পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হয়ে প্রাইভেট কোম্পানিগুলো করপোরেট কালচার/ করপোরেটসুশাসন/গুড গভর্নেন্স-এ ফিরে আসতে শুরু করেছে, সবাইকে একটু সময় দিতে হবে। কোম্পানি বড় করতে হলে সবাইকে পুঁজিবাজারে আসতে হবে। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সিন্ডিকেট করে, ভুল তথ্য দিয়ে টাকা লোন নেয়ার দিন শেষ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অর্থায়নের মূল উৎস হবে পুঁজিবাজার। নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং সর্বোপরি দেশ আরও এগিয়ে যাবে। এটাই বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী বাজেটে যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন তার একটি মাত্র লক্ষ্য হলো জনগণের সঞ্চয়ের একটি বড় অংশ পুঁজি বাজারে আসুক এবং সরকারি-বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ করুক।

বাজার যে বড় হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসছে, দেশি-বিদেশি সবাই বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছেন এবং আগামী বছরগুলোতে আমরা যে ৫ হাজার কোটি টাকা টার্নওভারের স্বপ্ন দেখছি এবং ইক্যুইটি মার্কেটের বাইরে বন্ড মার্কেট, সুকুক, ইটিএফ, এসএমই মার্কেট, এটিবি/ওটিসি বোর্ড, ডেরিভাটিভ চালু করার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার সব কৃতিত্বই বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের। এখানে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট নেয়ার সুযোগ নেই।

মো. রকিবুর রহমান

সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড