এক যুগ

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এই রাজনীতিক এখন অবিসংবাদিত নেতা। মোট চারবারের প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা হিসেবে প্রায় ১৭ বছর দায়িত্ব পালন করছেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ তার এক যুগ পূর্ণ হলো। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতি দায়িত্বে আছেন তিনি টানা ৪১ বছর। সাত বারের সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে তিন মেয়াদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্বে ছিলেন। দল ও সরকার উভয় জায়গায় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন নারীর দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকার এমন ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও খুব বেশি নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা ক্ষমতায় টিকে থাকার রহস্য বা কারণ জানতে সাধারণ মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। এই গুরুদায়িত্বে দিন-রাত, বছরব্যাপী এতো কাজ, কিভাবে সামলান তিনি! তাকে তো ছুটি কাটাতে দেখা যায় না!

‘সকালে ঘুম ভাঙার পর আগে জায়নামাজ খুঁজি। নামাজ পড়ি। তারপর নিজের চা নিজে বানিয়ে খাই’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই জানিয়েছেন তার দিন কিভাবে শুরু হয়।

দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকারীদের এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা তার অন্যতম সাফল্য বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বহুবার। এরপরও তার বেঁচে যাওয়া অলৌকিক বলেই মনে করেন তার দলের নেতাকর্মীরা।

রাজনীতি সচেতন মানুষদের মতে, আওয়ামী লীগে বঙ্গবন্ধু কন্যার কোন বিকল্প নেই। তার নেতৃত্বে দল কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ। যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, তিনিই নেতাকর্মীদের ভরসাস্থল। দলের ঐক্য ধরে রাখতে বিভিন্ন সময় তিনি যাকে প্রয়োজন তাকে কাছে টেনেছেন। যারা দলের জন্য ক্ষতিকর, প্রভাবশালী হলেও তাদের দূরে সরিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রেও একই নীতিতে অটল তিনি।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম সংসদ নির্বাচনে চার-তৃতীয়াংশ আসনে বিশাল বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে ব্যর্থ বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় মেয়াদের মহাজোট সরকার গঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয় মেয়াদে শপথ নেয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদে, ১৯৯১ সালের পঞ্চম এবং ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে অর্থাৎ মোট তিন দফায় বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্বে ছিলেন শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক পরিম-লে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতাসীন নারী

দেশে দীর্ঘমেয়াদে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড শেখ হাসিনার অনেক আগে থেকেই। জীবিতদের মধ্যে তার অর্জন এখন দক্ষিণ এশিয়া পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচিত নারীনেত্রীদের শীর্ষে অবস্থান করছে।

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মরকেল টানা পনেরো বছর ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড ধরে রেখেছেন। শেখ হাসিনা টানা ১২ বছর হলেও চার মেয়াদে ইতোমধ্যে ১৭ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত মার্গারেট থ্যাচার সত্তরের দশকে দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন প্রায় এগারো বছর সাত মাস।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী ষাটের দশকে দায়িত্ব নিয়ে টানা এগারো বছর তিন মাস, এরপর আশির দশকে আবার চার বছর নয় মাসের মতো ক্ষমতায় ছিলেন। লৌহমানবী হিসেবে খ্যাত প্রয়াত শ্রীমাভো বন্দরনায়েক ১৯৬০-৬৫, ১৯৭০-৭৭ এবং ১৯৯৪-২০০০ তিন মেয়াদে মোট প্রায় সাড়ে ১৭ বছর শ্রীলঙ্কার (সিলন) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৪ সালে তার মেয়ে চন্দ্রিকা বন্দরনায়েক কুমারাতুঙ্গা প্রায় তিন মাস প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে এরপর রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রায় ১১ বছর ৭ মাস ক্ষমতায় ছিলেন।

সেন্ট লুসিয়ার গভর্নর জেনারেল ডেম পারলেট লুইজি সবচেয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা নারী। তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ২০ বছর ১০৫ দিন দেশ শাসন করেছেন। আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ভিগডিস ফিনবোগডোটিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮০ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত প্রায় ১৬ বছর। তবে, বিশ্ব রাজনীতিতে এ দুই নেতা খুব বেশি পরিচিত ছিলেন না।

এছাড়া, নব্বইয়ের দশকে ডমেনিকার প্রধানমন্ত্রী হয়ে ডেম উজেনিন প্রায় ১৪ বছর দশ মাস ক্ষমতায় ছিলেন। আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি মেরি ম্যাকএলেস ক্ষমতায় ছিলেন ১৩ বছর এগারো মাসের কিছু বেশি।

জন্ম-নির্বাসিত জীবন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনা। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার জন্ম। শিক্ষাজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। সে সময় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান। ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেই দেশে ফেরেন তিনি।

বুধবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২১ , ২২ পৌষ ১৪২৭, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

এক যুগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এই রাজনীতিক এখন অবিসংবাদিত নেতা। মোট চারবারের প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা হিসেবে প্রায় ১৭ বছর দায়িত্ব পালন করছেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ তার এক যুগ পূর্ণ হলো। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতি দায়িত্বে আছেন তিনি টানা ৪১ বছর। সাত বারের সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে তিন মেয়াদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্বে ছিলেন। দল ও সরকার উভয় জায়গায় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন নারীর দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকার এমন ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও খুব বেশি নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা ক্ষমতায় টিকে থাকার রহস্য বা কারণ জানতে সাধারণ মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। এই গুরুদায়িত্বে দিন-রাত, বছরব্যাপী এতো কাজ, কিভাবে সামলান তিনি! তাকে তো ছুটি কাটাতে দেখা যায় না!

‘সকালে ঘুম ভাঙার পর আগে জায়নামাজ খুঁজি। নামাজ পড়ি। তারপর নিজের চা নিজে বানিয়ে খাই’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই জানিয়েছেন তার দিন কিভাবে শুরু হয়।

দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকারীদের এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা তার অন্যতম সাফল্য বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বহুবার। এরপরও তার বেঁচে যাওয়া অলৌকিক বলেই মনে করেন তার দলের নেতাকর্মীরা।

রাজনীতি সচেতন মানুষদের মতে, আওয়ামী লীগে বঙ্গবন্ধু কন্যার কোন বিকল্প নেই। তার নেতৃত্বে দল কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ। যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, তিনিই নেতাকর্মীদের ভরসাস্থল। দলের ঐক্য ধরে রাখতে বিভিন্ন সময় তিনি যাকে প্রয়োজন তাকে কাছে টেনেছেন। যারা দলের জন্য ক্ষতিকর, প্রভাবশালী হলেও তাদের দূরে সরিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রেও একই নীতিতে অটল তিনি।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম সংসদ নির্বাচনে চার-তৃতীয়াংশ আসনে বিশাল বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে ব্যর্থ বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় মেয়াদের মহাজোট সরকার গঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয় মেয়াদে শপথ নেয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদে, ১৯৯১ সালের পঞ্চম এবং ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে অর্থাৎ মোট তিন দফায় বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্বে ছিলেন শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক পরিম-লে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতাসীন নারী

দেশে দীর্ঘমেয়াদে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড শেখ হাসিনার অনেক আগে থেকেই। জীবিতদের মধ্যে তার অর্জন এখন দক্ষিণ এশিয়া পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচিত নারীনেত্রীদের শীর্ষে অবস্থান করছে।

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মরকেল টানা পনেরো বছর ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড ধরে রেখেছেন। শেখ হাসিনা টানা ১২ বছর হলেও চার মেয়াদে ইতোমধ্যে ১৭ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত মার্গারেট থ্যাচার সত্তরের দশকে দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন প্রায় এগারো বছর সাত মাস।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী ষাটের দশকে দায়িত্ব নিয়ে টানা এগারো বছর তিন মাস, এরপর আশির দশকে আবার চার বছর নয় মাসের মতো ক্ষমতায় ছিলেন। লৌহমানবী হিসেবে খ্যাত প্রয়াত শ্রীমাভো বন্দরনায়েক ১৯৬০-৬৫, ১৯৭০-৭৭ এবং ১৯৯৪-২০০০ তিন মেয়াদে মোট প্রায় সাড়ে ১৭ বছর শ্রীলঙ্কার (সিলন) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৪ সালে তার মেয়ে চন্দ্রিকা বন্দরনায়েক কুমারাতুঙ্গা প্রায় তিন মাস প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে এরপর রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রায় ১১ বছর ৭ মাস ক্ষমতায় ছিলেন।

সেন্ট লুসিয়ার গভর্নর জেনারেল ডেম পারলেট লুইজি সবচেয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা নারী। তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ২০ বছর ১০৫ দিন দেশ শাসন করেছেন। আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ভিগডিস ফিনবোগডোটিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮০ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত প্রায় ১৬ বছর। তবে, বিশ্ব রাজনীতিতে এ দুই নেতা খুব বেশি পরিচিত ছিলেন না।

এছাড়া, নব্বইয়ের দশকে ডমেনিকার প্রধানমন্ত্রী হয়ে ডেম উজেনিন প্রায় ১৪ বছর দশ মাস ক্ষমতায় ছিলেন। আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি মেরি ম্যাকএলেস ক্ষমতায় ছিলেন ১৩ বছর এগারো মাসের কিছু বেশি।

জন্ম-নির্বাসিত জীবন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনা। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার জন্ম। শিক্ষাজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। সে সময় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান। ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেই দেশে ফেরেন তিনি।