পাবনায় মেয়র প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আ’লীগের বিক্ষোভ

আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে গতকাল পাবনা শহরে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবদুল হামিদ সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের শুরুতে পৌর সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। এ সময় শহরের ব্যাস্ততম প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। শহরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শিল্পপতির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেন সন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সাইফুল আলম বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম পাকন, সহ-সভাপতি আবদুল হামিদ, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু, কোষাধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, দফতর সস্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল আহাদ বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট তসলিম হাসান সুমন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মামুন, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রকিব হাসান টিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ আজাদ প্রমুখ। বক্তারা দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেন, পাবনায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোন অনুপ্রবেশকারীকে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া হবে না। দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে সদ্য প্রবেশ করা নেতাদের যেকোন মূল্যে প্রতিহত করা হবে।

শিল্পপতির নাম উচ্চারণ না করে বক্তারা বলেন, পাবনা শহরে এই শিল্প গ্রুপ কোন জনহিতকর প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ইত্যাদি) প্রতিষ্ঠা করে নাই। উপরন্তু তারা পাবনার সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেমন বনমালী ইনস্টিটিউট, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, প্রাচীনতম পাবলিক লাইব্রেরি, টাউন হল ইত্যাদি একজন ব্যবসায়ী-শিল্পপতি তার কর্তৃত্বাধীন করেছে এবং শহরের প্রাণকেন্দ্রের সব অর্পিত সম্পত্তি নিজের দখলে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘মুক্তিযোদ্ধা ভবন’ শহরের বাইরে নির্মানে প্রভাব খাটিয়েছেন এবং এই বড় শিল্প গ্রুপের মালিক তার নিজের স্বার্থে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল বুঝিয়ে পাবনা পৌর নির্বাচনে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে একজনকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন তাদের মধ্য থেকে যেকোন একজনকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান তারা।

বক্তারা আরও বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে পাবনায় আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান তৈরি করা হয়েছে। নতুন করে আর কাউকে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া হবে না।

বুধবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২১ , ২২ পৌষ ১৪২৭, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

পাবনায় মেয়র প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আ’লীগের বিক্ষোভ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা

আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে গতকাল পাবনা শহরে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবদুল হামিদ সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের শুরুতে পৌর সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। এ সময় শহরের ব্যাস্ততম প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। শহরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শিল্পপতির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেন সন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সাইফুল আলম বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম পাকন, সহ-সভাপতি আবদুল হামিদ, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু, কোষাধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, দফতর সস্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল আহাদ বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট তসলিম হাসান সুমন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মামুন, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রকিব হাসান টিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ আজাদ প্রমুখ। বক্তারা দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেন, পাবনায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোন অনুপ্রবেশকারীকে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া হবে না। দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে সদ্য প্রবেশ করা নেতাদের যেকোন মূল্যে প্রতিহত করা হবে।

শিল্পপতির নাম উচ্চারণ না করে বক্তারা বলেন, পাবনা শহরে এই শিল্প গ্রুপ কোন জনহিতকর প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ইত্যাদি) প্রতিষ্ঠা করে নাই। উপরন্তু তারা পাবনার সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেমন বনমালী ইনস্টিটিউট, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, প্রাচীনতম পাবলিক লাইব্রেরি, টাউন হল ইত্যাদি একজন ব্যবসায়ী-শিল্পপতি তার কর্তৃত্বাধীন করেছে এবং শহরের প্রাণকেন্দ্রের সব অর্পিত সম্পত্তি নিজের দখলে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘মুক্তিযোদ্ধা ভবন’ শহরের বাইরে নির্মানে প্রভাব খাটিয়েছেন এবং এই বড় শিল্প গ্রুপের মালিক তার নিজের স্বার্থে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল বুঝিয়ে পাবনা পৌর নির্বাচনে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে একজনকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন তাদের মধ্য থেকে যেকোন একজনকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান তারা।

বক্তারা আরও বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে পাবনায় আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান তৈরি করা হয়েছে। নতুন করে আর কাউকে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া হবে না।