আমৃত্যু নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলব : কাদের মির্জা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, তিনি আমৃত্যু নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলবেন, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস লালনকারী, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারী ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাবেন এবং কোম্পানীঞ্জের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, সন্দীপের এমপি কোম্পানীগঞ্জের হাজার হাজার ভূমি অস্ত্রের মুখে সন্ত্রাসী দিয়ে দখল করে নিয়েছেন অথচ এ এলাকার নদী ভাঙা ভূমিহীনরা এখানে ওখানে ভেসে বেড়াচ্ছে।

কোম্পানীগঞ্জের গ্যাস ফিল্ডের নাম কবিরহাটের একটা গ্রামের নামে করা হোক। হাজার হাজার ট্রিলিয়ন গ্যাস এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যায়। এলাকার মানুষ গ্যাস পায় না, কোম্পানীগঞ্জের শত শত কোটি টাকার কাজ করে বাইরের লোকেরা। এলাকার ঠিকাদাররা বেকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে। এলাকার বেকার যুবকরা চাকরি না পেয়ে মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। তাই মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও তার সচিবদের বলেছেন, এ বছরের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জে ৫০০ ও কবিরহাটে ৫০০ বেকার যুবককে চাকরি দিতে হবে এবং কোম্পানীগঞ্জ গ্যাসফিল্ড এলাকায় সংযোগ দিতে হবে নয়তো পৌরনির্বাচনের পর কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

তিনি সোমবার ও মঙ্গলবার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের পথসভায় এসব বক্তব্য রাখেন। এসব পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিনসহ উপজেলা পৌর আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা নেতারা।

গত সোমবার বিকেলে পৌরসভার জামাইরটেকে ও মঙ্গলবার সকালে ২নং ওয়ার্ডের রামদি ও ৭নং ওয়ার্ডের দুই স্থানে পথসভা ও মহিলা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তার স্বভাবসুলভ বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করি। দেশরতœ শেখ হাসিনা ও জাতীয় নেতা ওবায়দুল কাদেরের উন্নয়নকে ম্লান করে যারা আখের গোছাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আজীবন কথা বলে যাব। তিনি দুঃখ করে বলেন, ওরা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে পুলিশের চাকরিতে ৫ লাখ টাকা করে ঘুষ নেয়, স্বাস্থ্য বিভাগে ৬/৭ লাখ টাকা, নোবিপ্রবিতে চাকরিতে নিয়োগ বাণিজ্য করে এ জেলার গরিব মানুষদের ঘরবাড়ি বিক্রি করিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তাদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সব প্রমাণ দেয়া হবে। ওরা আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরকে জিম্মি করে শত শত কোটি টাকার বাণিজ্য করছে। নেতা অসুস্থ, তিনি ইচ্ছা থাকলেও সব কিছুর খবর রাখতে পারেন না।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ফেনীর এক এমপি উপজেলার চেয়ারম্যানকে গুলি করে গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করেছে তার পরিবার এর বিচার পায়নি। সে এমপি এখন অস্ত্র পাঠাচ্ছে আমাকে হত্যার জন্য। পৌরনির্বাচনকে বানচাল করে আমাকে ও নেতা ওবায়দুল কাদেরকে বিতর্কিত করার জন্য।

তিনি বলেন, মৃত্যুকে ভয় পাই না আমার কবরের জায়গা নির্দিষ্ট করে রেখেছি। আবদুল কাদের মির্জা বলেন, বিএনপি বলে এদেশে মানুষের ভোটের অধিকার নাই। আমরা প্রমাণ করব এ বসুরহাট পৌরসভায় যার ভোট সে দেবে কেউ বাধা দেবে না। আমরা প্রমাণ করব শেখ হাসিনার সরকার ও তার দল মানুষের ভোটাধিকারও নিশ্চিত করেছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, বার বার অনুরোধ করার পরও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। তার ভাগিনা রাহাতের মাধ্যমে ফেনী থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এসেছে। নোয়াখালীর এক সংসদ সদস্যপুত্র আগ্নেয়াস্ত্র চালান পাঠিয়েছে। এ অস্ত্র যদি মানুষের ওপর ব্যবহার হয় তাহলে পুলিশ ও প্রশাসনকে এ দায় দায়িত্ব নিতে হবে। তার নিরাপত্তায় গানম্যান দিলেও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান আবদুল কাদের মির্জা।

বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২১ , ২৩ পৌষ ১৪২৭, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

আমৃত্যু নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলব : কাদের মির্জা

মনিরুজ্জামান চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট থেকে ফিরে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, তিনি আমৃত্যু নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলবেন, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস লালনকারী, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারী ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাবেন এবং কোম্পানীঞ্জের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, সন্দীপের এমপি কোম্পানীগঞ্জের হাজার হাজার ভূমি অস্ত্রের মুখে সন্ত্রাসী দিয়ে দখল করে নিয়েছেন অথচ এ এলাকার নদী ভাঙা ভূমিহীনরা এখানে ওখানে ভেসে বেড়াচ্ছে।

কোম্পানীগঞ্জের গ্যাস ফিল্ডের নাম কবিরহাটের একটা গ্রামের নামে করা হোক। হাজার হাজার ট্রিলিয়ন গ্যাস এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যায়। এলাকার মানুষ গ্যাস পায় না, কোম্পানীগঞ্জের শত শত কোটি টাকার কাজ করে বাইরের লোকেরা। এলাকার ঠিকাদাররা বেকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে। এলাকার বেকার যুবকরা চাকরি না পেয়ে মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। তাই মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও তার সচিবদের বলেছেন, এ বছরের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জে ৫০০ ও কবিরহাটে ৫০০ বেকার যুবককে চাকরি দিতে হবে এবং কোম্পানীগঞ্জ গ্যাসফিল্ড এলাকায় সংযোগ দিতে হবে নয়তো পৌরনির্বাচনের পর কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

তিনি সোমবার ও মঙ্গলবার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের পথসভায় এসব বক্তব্য রাখেন। এসব পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিনসহ উপজেলা পৌর আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা নেতারা।

গত সোমবার বিকেলে পৌরসভার জামাইরটেকে ও মঙ্গলবার সকালে ২নং ওয়ার্ডের রামদি ও ৭নং ওয়ার্ডের দুই স্থানে পথসভা ও মহিলা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তার স্বভাবসুলভ বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করি। দেশরতœ শেখ হাসিনা ও জাতীয় নেতা ওবায়দুল কাদেরের উন্নয়নকে ম্লান করে যারা আখের গোছাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আজীবন কথা বলে যাব। তিনি দুঃখ করে বলেন, ওরা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে পুলিশের চাকরিতে ৫ লাখ টাকা করে ঘুষ নেয়, স্বাস্থ্য বিভাগে ৬/৭ লাখ টাকা, নোবিপ্রবিতে চাকরিতে নিয়োগ বাণিজ্য করে এ জেলার গরিব মানুষদের ঘরবাড়ি বিক্রি করিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তাদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সব প্রমাণ দেয়া হবে। ওরা আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরকে জিম্মি করে শত শত কোটি টাকার বাণিজ্য করছে। নেতা অসুস্থ, তিনি ইচ্ছা থাকলেও সব কিছুর খবর রাখতে পারেন না।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ফেনীর এক এমপি উপজেলার চেয়ারম্যানকে গুলি করে গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করেছে তার পরিবার এর বিচার পায়নি। সে এমপি এখন অস্ত্র পাঠাচ্ছে আমাকে হত্যার জন্য। পৌরনির্বাচনকে বানচাল করে আমাকে ও নেতা ওবায়দুল কাদেরকে বিতর্কিত করার জন্য।

তিনি বলেন, মৃত্যুকে ভয় পাই না আমার কবরের জায়গা নির্দিষ্ট করে রেখেছি। আবদুল কাদের মির্জা বলেন, বিএনপি বলে এদেশে মানুষের ভোটের অধিকার নাই। আমরা প্রমাণ করব এ বসুরহাট পৌরসভায় যার ভোট সে দেবে কেউ বাধা দেবে না। আমরা প্রমাণ করব শেখ হাসিনার সরকার ও তার দল মানুষের ভোটাধিকারও নিশ্চিত করেছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, বার বার অনুরোধ করার পরও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। তার ভাগিনা রাহাতের মাধ্যমে ফেনী থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এসেছে। নোয়াখালীর এক সংসদ সদস্যপুত্র আগ্নেয়াস্ত্র চালান পাঠিয়েছে। এ অস্ত্র যদি মানুষের ওপর ব্যবহার হয় তাহলে পুলিশ ও প্রশাসনকে এ দায় দায়িত্ব নিতে হবে। তার নিরাপত্তায় গানম্যান দিলেও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান আবদুল কাদের মির্জা।