৩ পুলিশ আহত
কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক ও অস্ত্র মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টায় পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন আসামির এক ভাই। নিহত ব্যক্তির নাম খোরশেদ আলম (২২)। তার বিরুদ্ধেও ৮টি মামলা রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার মিঠাপানিরছড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের ৩ সদস্যও। তারা হলেন- টেকনাফ থানার এএসআই রতন মিয়া, কনস্টেবল শফিকুল হক, কনস্টেবল বলরাম দাশ। আহতরা টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত খোরশেদ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়ার বাসিন্দা হাজী গোলাম হোসেনের ছেলে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান আরও জানান, ইয়াবা, অস্ত্র, মানিলন্ডারিংসহ ৭টি মামলার আসামি শামসুল আলমকে (৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশের একটি দল। থানায় ফেরার পথে মিঠা পানিরছড়া বাজার এলাকায় ব্যাড়িকেট দিয়ে পুলিশের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ৩টি গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে। এতে পুলিশের ৩ সদস্য আহত হন। এতে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। হামলাকারী পালিয়ে গেলে পুলিশ গ্রেফতার আসামিকে নিয়ে থানায় ফিরে আসে।
এসপি বলেন, পরে গ্রেফতারকৃত আসামির ছোট ভাই খোরশেদ আলম ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় বলে পুলিশ খবর পায়। নিহত খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধেও মাদক ও অস্ত্রসহ নানা অভিযোগে ৮টি মামলা রয়েছে।
নিহতের ভাই শাহীন আলম বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের মিঠা পানিরছড়া বাজার এলাকায় তার ভাই খোরশেদ আলমসহ স্থানীয় যুবকরা মিলে ব্যাটমিন্টন খেলছিল। এক পর্যায়ে তাদের বড় ভাই শামসুল আলমকে কয়েকজন অজ্ঞাত লোক বাড়ি থেকে একটি অটোরিকশায় তুলে টেকনাফের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।
তিনি বলেন, এ সময় খবর পেয়ে দেড় কিলোমিটার দূরে মিঠাপানিরছড়া বাজার এলাকায় গাড়িটি ধরার জন্য সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে শামসুলকে কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলে গাড়ি থেকে গুলি করা হয়। গাড়িটি তার ভাই শামশুল আলমকে নিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। গাড়ি থেকে করা গুলিতে ছোট ভাই খোরশেদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসপি হাসানুজ্জামান জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২১ , ২৩ পৌষ ১৪২৭, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
৩ পুলিশ আহত
প্রতিনিধি, কক্সবাজার/টেকনাফ
কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক ও অস্ত্র মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টায় পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন আসামির এক ভাই। নিহত ব্যক্তির নাম খোরশেদ আলম (২২)। তার বিরুদ্ধেও ৮টি মামলা রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার মিঠাপানিরছড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের ৩ সদস্যও। তারা হলেন- টেকনাফ থানার এএসআই রতন মিয়া, কনস্টেবল শফিকুল হক, কনস্টেবল বলরাম দাশ। আহতরা টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত খোরশেদ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়ার বাসিন্দা হাজী গোলাম হোসেনের ছেলে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান আরও জানান, ইয়াবা, অস্ত্র, মানিলন্ডারিংসহ ৭টি মামলার আসামি শামসুল আলমকে (৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশের একটি দল। থানায় ফেরার পথে মিঠা পানিরছড়া বাজার এলাকায় ব্যাড়িকেট দিয়ে পুলিশের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ৩টি গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে। এতে পুলিশের ৩ সদস্য আহত হন। এতে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। হামলাকারী পালিয়ে গেলে পুলিশ গ্রেফতার আসামিকে নিয়ে থানায় ফিরে আসে।
এসপি বলেন, পরে গ্রেফতারকৃত আসামির ছোট ভাই খোরশেদ আলম ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় বলে পুলিশ খবর পায়। নিহত খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধেও মাদক ও অস্ত্রসহ নানা অভিযোগে ৮টি মামলা রয়েছে।
নিহতের ভাই শাহীন আলম বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের মিঠা পানিরছড়া বাজার এলাকায় তার ভাই খোরশেদ আলমসহ স্থানীয় যুবকরা মিলে ব্যাটমিন্টন খেলছিল। এক পর্যায়ে তাদের বড় ভাই শামসুল আলমকে কয়েকজন অজ্ঞাত লোক বাড়ি থেকে একটি অটোরিকশায় তুলে টেকনাফের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।
তিনি বলেন, এ সময় খবর পেয়ে দেড় কিলোমিটার দূরে মিঠাপানিরছড়া বাজার এলাকায় গাড়িটি ধরার জন্য সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে শামসুলকে কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলে গাড়ি থেকে গুলি করা হয়। গাড়িটি তার ভাই শামশুল আলমকে নিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। গাড়ি থেকে করা গুলিতে ছোট ভাই খোরশেদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসপি হাসানুজ্জামান জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।