করোনায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়

উত্তরণে বাধা ঋণের বোঝা : বিশ্বব্যাংক

করোনাভাইরাস মহামারীতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় আক্রান্ত দেশগুলোকে আরও পরিবেশবান্ধব ন্যায্য উন্নয়নের পথ অনুসরণের সুযোগ দিচ্ছে বলে মনে করেছে বিশ্বব্যাংক।

তবে অতি মাত্রায় ঋণের বোঝা এ বিপর্যয় থেকে উত্তরণে দরিদ্র দেশগুলোর সামনে বড় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাসে এসব কথা বলা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস সতর্ক করে বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত ঋণের সমস্যা ও তা নিরসনে যথাযথ উদ্যোগহীনতা করোনাসৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে দরিদ্র দেশগুলোর বের হওয়া বিলম্বিত করবে।’

গত বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি ৪.৩ শতাংশে সংকুচিত হওয়ার বিষয় বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটিতে আসে। চলতি বছর চার শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

২০২২ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ পর্যন্ত যাবে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক।

তবে এ প্রবৃদ্ধি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে টিকা সংগ্রহ ও বিতরণে দেরি এবং করোনাসৃষ্ট অন্যান্য সমস্যা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে পিছিয়ে দেবে। করোনায় ৯০ শতাংশেরও বেশি উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে মাথাপিছু আয় কমেছে। এতে লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত এক-চতুর্থাংশেরও বেশি দেশে অন্তত ১০ বছরের মাথাপিছু আয়ের অর্জনকে ধূলিসাৎ করেছে করোনা।

বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২১ , ২৩ পৌষ ১৪২৭, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

করোনায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়

উত্তরণে বাধা ঋণের বোঝা : বিশ্বব্যাংক

image

করোনাভাইরাস মহামারীতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় আক্রান্ত দেশগুলোকে আরও পরিবেশবান্ধব ন্যায্য উন্নয়নের পথ অনুসরণের সুযোগ দিচ্ছে বলে মনে করেছে বিশ্বব্যাংক।

তবে অতি মাত্রায় ঋণের বোঝা এ বিপর্যয় থেকে উত্তরণে দরিদ্র দেশগুলোর সামনে বড় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাসে এসব কথা বলা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস সতর্ক করে বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত ঋণের সমস্যা ও তা নিরসনে যথাযথ উদ্যোগহীনতা করোনাসৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে দরিদ্র দেশগুলোর বের হওয়া বিলম্বিত করবে।’

গত বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি ৪.৩ শতাংশে সংকুচিত হওয়ার বিষয় বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটিতে আসে। চলতি বছর চার শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

২০২২ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ পর্যন্ত যাবে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক।

তবে এ প্রবৃদ্ধি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে টিকা সংগ্রহ ও বিতরণে দেরি এবং করোনাসৃষ্ট অন্যান্য সমস্যা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে পিছিয়ে দেবে। করোনায় ৯০ শতাংশেরও বেশি উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে মাথাপিছু আয় কমেছে। এতে লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত এক-চতুর্থাংশেরও বেশি দেশে অন্তত ১০ বছরের মাথাপিছু আয়ের অর্জনকে ধূলিসাৎ করেছে করোনা।