অবৈধভাবে খাল এবং রাস্তা দখলকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে ঢাকা উত্তরের মেয়র

অবৈধভাবে খাল এবং রাস্তা দখলকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাস্তার দুই পাশে অবৈধভাবে তৈরি করা বাড়িগুলোর বর্ধিতাংশ ভেঙে দিয়েছি। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাড়িও রেহাই পায়নি। দখলদার যেই হোক না কেন, যত শক্তিশালীই হোক না কেন, যত বড় রাজনৈতিক ব্যক্তি হোক না কেন, অবৈধভাবে দখল করে রাখবে, এটি আমি মানতে পারব না। যারা অবৈধভাবে খাল এবং রাস্তা দখল করেছেন তাদের জন্য আমাদের জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে। গতকাল রাজধানীর কুনিপাড়ায় তেজগাঁও উত্তরা মটরস থেকে কুনিপাড়া রানার্স পর্যন্ত নতুন সড়কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৫৬ মিটার দৈর্ঘ্য সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ৬৫৬ মিটার পাইপ ড্রেন এবং ৫৯০ মিটার ফুটপাতও রয়েছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তরের মেয়র বলেন, ‘আমরা চাই এই ঢাকাকে একটি সুন্দর ঢাকায় রূপান্তরিত করার জন্য। আমরা জানি যে, আমাদের অনেক সমস্যা আছে। কিছু সমস্যা মানুষের তৈরি। আমরা দেখেছি কিভাবে রাস্তাগুলোকে দখল করে রাখে। এক তারিখে খালের দায়িত্ব পেয়েছি। আমি ইব্রাহিমপুর খালের সামনে যখন দাঁড়ালাম, তখন দেখি খালের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬০ ফিট, যখন ফিতা দিয়ে মাপলাম, ওই খাল আর ৬০ ফিট নাই। ওই খাল হয়ে গেছে মাত্র ১০ ফিট। তাহলে বৃষ্টি হলে পানি যাবে কোথায়? সেই পানি বিভিন্ন রাস্তায় চলে যাবে। আমি কালশি খাল ও গোদাখালী খাল থেকে ২০০ ট্রাক ডাবের খোসা উদ্ধার করেছি। এইখান থেকে জাজিম ৩৬টি, টেলিভিশন, ফ্রিজ সবকিছু খালে পেয়েছি।

ভাষানটেকে গত দুইদিন ধরে চলমান অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘ভাষানটেক থেকে মানিকদি রাস্তা পার হতে বের থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগত। পকেট গেইটে একটি দোতলা বাড়ির জন্য সেখানে দীর্ঘ যানজট তৈরি হতো। আমরা সেই বাড়িটি কিনে ভেঙে দিয়েছি। ১০টি ইউটার্ন নির্মাণ করব। ইতিপূর্বে তিনটি ইউটার্ন নির্মাণ করা হয়েছে, সম্প্রতি আরও তিনটি ইউটার্ন খুলে দেয়া হয়েছে। আরও চারটি নির্মাণাধীন। সবগুলো ইউটার্ন চালু হলে এর সুফল পাওয়া যাবে।’

আরও খবর
বিদেশে যেতে অন্ধকারে পা বাড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণকাজ ১৫ দিনের মধ্যে শেষ হবে
দেশপ্রিয়র বাড়ি ভাঙচুরের তদন্ত চান চসিক প্রশাসক
জামিন মেলেনি সাবেক ওসি প্রদীপের
ছাত্রলীগের স্মারক ডাকটিকিট নিয়ে বিতর্ক
অস্ত্র মামলায় নূর হোসেনের যাবজ্জীবন
পুলিশের হাতে সন্ত্রাসী নূরের সাজা পরোয়ানা
ট্রানজিট ক্যাম্পে দুর্ঘটনার হিসাব নেই রাষ্ট্রের কাছে
সালিসি বৈঠকে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা
সম্রাটের ঘনিষ্ঠ ৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিচ্ছে দুদক
বরিশালে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
আবুল কাশেম হত্যা বিচার কাজ ২৬ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে

বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২১ , ২৩ পৌষ ১৪২৭, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

অবৈধভাবে খাল এবং রাস্তা দখলকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে ঢাকা উত্তরের মেয়র

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

অবৈধভাবে খাল এবং রাস্তা দখলকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাস্তার দুই পাশে অবৈধভাবে তৈরি করা বাড়িগুলোর বর্ধিতাংশ ভেঙে দিয়েছি। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাড়িও রেহাই পায়নি। দখলদার যেই হোক না কেন, যত শক্তিশালীই হোক না কেন, যত বড় রাজনৈতিক ব্যক্তি হোক না কেন, অবৈধভাবে দখল করে রাখবে, এটি আমি মানতে পারব না। যারা অবৈধভাবে খাল এবং রাস্তা দখল করেছেন তাদের জন্য আমাদের জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে। গতকাল রাজধানীর কুনিপাড়ায় তেজগাঁও উত্তরা মটরস থেকে কুনিপাড়া রানার্স পর্যন্ত নতুন সড়কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৫৬ মিটার দৈর্ঘ্য সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ৬৫৬ মিটার পাইপ ড্রেন এবং ৫৯০ মিটার ফুটপাতও রয়েছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তরের মেয়র বলেন, ‘আমরা চাই এই ঢাকাকে একটি সুন্দর ঢাকায় রূপান্তরিত করার জন্য। আমরা জানি যে, আমাদের অনেক সমস্যা আছে। কিছু সমস্যা মানুষের তৈরি। আমরা দেখেছি কিভাবে রাস্তাগুলোকে দখল করে রাখে। এক তারিখে খালের দায়িত্ব পেয়েছি। আমি ইব্রাহিমপুর খালের সামনে যখন দাঁড়ালাম, তখন দেখি খালের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬০ ফিট, যখন ফিতা দিয়ে মাপলাম, ওই খাল আর ৬০ ফিট নাই। ওই খাল হয়ে গেছে মাত্র ১০ ফিট। তাহলে বৃষ্টি হলে পানি যাবে কোথায়? সেই পানি বিভিন্ন রাস্তায় চলে যাবে। আমি কালশি খাল ও গোদাখালী খাল থেকে ২০০ ট্রাক ডাবের খোসা উদ্ধার করেছি। এইখান থেকে জাজিম ৩৬টি, টেলিভিশন, ফ্রিজ সবকিছু খালে পেয়েছি।

ভাষানটেকে গত দুইদিন ধরে চলমান অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘ভাষানটেক থেকে মানিকদি রাস্তা পার হতে বের থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগত। পকেট গেইটে একটি দোতলা বাড়ির জন্য সেখানে দীর্ঘ যানজট তৈরি হতো। আমরা সেই বাড়িটি কিনে ভেঙে দিয়েছি। ১০টি ইউটার্ন নির্মাণ করব। ইতিপূর্বে তিনটি ইউটার্ন নির্মাণ করা হয়েছে, সম্প্রতি আরও তিনটি ইউটার্ন খুলে দেয়া হয়েছে। আরও চারটি নির্মাণাধীন। সবগুলো ইউটার্ন চালু হলে এর সুফল পাওয়া যাবে।’