শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের দায়ে তরিকুল হাওলাদার মোরসালিন নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে।
গতকাল বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত মোরসালিনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সে মুলাদী উপজেলার রামারপুল গ্রামের মালেক হাওলাদারের ছেলে।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাড়ি মুলাদীর রামারপুল গ্রামে। ২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল মোরসালিন তাকে একা পেয়ে রান্নাঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার আগেরদিন মা তাকে বাড়িতে রেখে অন্যত্র বেড়াতে গিয়েছিলেন। যুবতীর ডাক-চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসার আগেই মোরসালিন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় একই বছরের ২৭ এপ্রিল ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে মোরসালিনকে একমাত্র আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১০ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুলাদী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম মোরসালিনকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। ট্রাইব্যুনাল ৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক উপরোক্ত দ-াদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২১ , ২৩ পৌষ ১৪২৭, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল
শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের দায়ে তরিকুল হাওলাদার মোরসালিন নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে।
গতকাল বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত মোরসালিনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সে মুলাদী উপজেলার রামারপুল গ্রামের মালেক হাওলাদারের ছেলে।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাড়ি মুলাদীর রামারপুল গ্রামে। ২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল মোরসালিন তাকে একা পেয়ে রান্নাঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার আগেরদিন মা তাকে বাড়িতে রেখে অন্যত্র বেড়াতে গিয়েছিলেন। যুবতীর ডাক-চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসার আগেই মোরসালিন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় একই বছরের ২৭ এপ্রিল ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে মোরসালিনকে একমাত্র আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১০ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুলাদী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম মোরসালিনকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। ট্রাইব্যুনাল ৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক উপরোক্ত দ-াদেশ দেন।