মাস্টারমাইন্ড স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

চারজন আটক

রাজধানীর কলাবাগনে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ও লেভেলের এক শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণের পর’ হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বিকেলে ওই শিক্ষার্থীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে কলাবাগান থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বন্ধু দিহানকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ৩ জন পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, ওই তরুণীর বাসা ধানমন্ডির সোবাহানবাগ এলাকায়। গতকাল নিজ বাসা থেকে বন্ধু দিহানের বাসায় আসে। দিহানের বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় ওই তরুণীকে দিহান আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক ওই কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ডিসি সাজ্জাদুর রহমান জানান, তরুণীর শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে বুঝা যাবে মুত্যুর কারণ। তবে যেহেতু দিহানের বাসায় ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে তাই দিহানকে আটক করেছে পুলিশ। দিহানকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে।

পুলিশ জানায়, দিহান ও ওই শিক্ষার্র্থী পরস্পর বন্ধু। দিহানের সঙ্গে শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে শোনা যাচ্ছে। দিহানের বাবা একজন রেজিস্ট্রার। রাজশাহীতে থাকেন। দিহান তার মায়ের সঙ্গে ধানমন্ডির ৬৪/৩ নম্বর বাসায় থাকে। গতকাল সকালে দিহানের মা বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর ওই শিক্ষার্থীকে বাসায় ডেকে আনে দিহান। সেখানে কি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। দিহান অচেতন অবস্থায় শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দিহানের আরও ৩ বন্ধু আসে। পুলিশ দিহানসহ ৪ জনকেই আটক করেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা থানায় গেছে। ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা পুলিশ তা জানার চেষ্টা করেছে। যেহেতু দিহানের সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক রয়েছে তাই ধারণা করা হচ্ছে তরুণীর সঙ্গে খারাপ কিছু করতে চেয়েছিল দিহান। বাধা দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। অন্য কিছুও থাকতে পারে। সবগুলো বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।

শুক্রবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২১ , ২৪ পৌষ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

রাজধানীর কলাবাগান

মাস্টারমাইন্ড স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

চারজন আটক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজধানীর কলাবাগনে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ও লেভেলের এক শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণের পর’ হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বিকেলে ওই শিক্ষার্থীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে কলাবাগান থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বন্ধু দিহানকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ৩ জন পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, ওই তরুণীর বাসা ধানমন্ডির সোবাহানবাগ এলাকায়। গতকাল নিজ বাসা থেকে বন্ধু দিহানের বাসায় আসে। দিহানের বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় ওই তরুণীকে দিহান আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক ওই কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ডিসি সাজ্জাদুর রহমান জানান, তরুণীর শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে বুঝা যাবে মুত্যুর কারণ। তবে যেহেতু দিহানের বাসায় ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে তাই দিহানকে আটক করেছে পুলিশ। দিহানকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে।

পুলিশ জানায়, দিহান ও ওই শিক্ষার্র্থী পরস্পর বন্ধু। দিহানের সঙ্গে শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে শোনা যাচ্ছে। দিহানের বাবা একজন রেজিস্ট্রার। রাজশাহীতে থাকেন। দিহান তার মায়ের সঙ্গে ধানমন্ডির ৬৪/৩ নম্বর বাসায় থাকে। গতকাল সকালে দিহানের মা বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর ওই শিক্ষার্থীকে বাসায় ডেকে আনে দিহান। সেখানে কি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। দিহান অচেতন অবস্থায় শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দিহানের আরও ৩ বন্ধু আসে। পুলিশ দিহানসহ ৪ জনকেই আটক করেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা থানায় গেছে। ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা পুলিশ তা জানার চেষ্টা করেছে। যেহেতু দিহানের সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক রয়েছে তাই ধারণা করা হচ্ছে তরুণীর সঙ্গে খারাপ কিছু করতে চেয়েছিল দিহান। বাধা দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। অন্য কিছুও থাকতে পারে। সবগুলো বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।