রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প

দুই বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের আশা

এক সময় অপপ্রচার ছিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে আশপাশের জনবসতি হুমকির সম্মুখীন হবে। জমিতে ফসল ফলবে না, নদীনালা, খালবিল, পুকুরের মাছ মারা যাবে। এমন ভীতিকর প্রচরণাই ছিল পাবনা ও কুষ্টিয়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল আতঙ্ক-উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। অথচ মানুষের মনে সেই আগের মতো আতঙ্ক নেই। মানুষজন এখন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গুণকীর্তন করতে শুরু করেছে।

আলোঝলমল এখন রূপপুর এবং পার্শ্ববর্তী পাকশী এলাকা। গ্রাম এখন ক্রমশ শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। দেশি-বিদেশি হাজার হাজার কর্মচারীর পদচারণায় মুখরিত জনপদ। স্থানীয় অর্থনীতিতে পড়েছে প্রভাব। সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান। পাবনা শহর থেকে ২৭ কিলোমিটার এবং ঈশ্বরদী শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের জনপদ রূপপুর। পদ্মা নদীর কোল ঘেঁষে শতবর্ষের হার্ডিঞ্জ রেল সেতুর নিকটবর্তী গ্রামটি ছিল শান্ত নিরিবিলি। দুই বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহের আশা করছেন রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের পরিচালক শওকত আকবর।

রাত নামলেই গাঢ় অন্ধকার সুনসান নীরবতা। এখন বদলে গেছে দৃশ্যপট। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপক ও বহুমুখী কাজ পুরোপুরি বদলে দিয়েছে এখানকার রাত-দিন, জনজীবন- সবকিছু। রূপপুরের আকাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ২০ তলা উচ্চ দৃষ্টিনন্দন আবাসিক ভবন। এখন ১৭টি বহুতল ভবন কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের প্রকৌশলী কর্মকর্তারা এসব ভবনে বাস করছেন। এমন মোট ২২টি ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রায় দেড় হাজার একর এলাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে। এসব কাজে কর্মরত কয়েকশত বিদেশি। বেশিরভাগই রাশিয়ান। অন্যদেশেরও রয়েছে কয়েকজন। কাজ করছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। এসব দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা শ্রমিকের কর্মচাঞ্চল্যে ২৪ ঘণ্টা মুখর থাকে প্রকল্প এলাকা।

রূপপুর এখন সন্ধ্যা হলেই আগের মতো অন্ধকার নামে না। রাতভর আলোকিত থাকে সার্চ লাইটের আলোয়। প্রকল্পের কাজ চলে সারারাত ধরে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আশরাফুল হক বলেন, রূপপুর প্রকল্পকে কেন্দ্র করে এলাকায় নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠছে। সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান। এলাকার মানুষের মধ্যে ক্রমশ এই বিশ্বাস দানা বাঁধছে যে, প্রকল্প সম্পন্ন হলে শুধু বিদ্যুতের আলোই নয় এই অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতির দ্বার প্রসারিত হবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাইট অফিসে খোলা হয়েছে তথ্যকেন্দ্র। প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভয় বিভ্রান্তি দূর করতে কাজ করছেন একদল অফিসার। গত বছরের মার্চ মাস থেকে করোনাজনিত লকডাউনের কারণে কিছুটা কাজে স্থবিরতা আসলেও এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে প্রকল্পের কাজ।

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডক্টর শওকত আকবর বলেন, ‘এখন রিঅ্যাকটর বিল্ডিং তৈরির কাজ চলছে। সাববেইজ তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় শেষের পথে মূল প্রকল্পের ফাউন্ডেশন। অবকাঠামো ছাড়াও অনেক কাজ চলছে। যেমন রড বাইন্ডিং, ল্যাবরেটরি ওয়ার্কশপ ইত্যাদি সুষ্ঠুভাবে বা পরিকল্পিতভাবে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি যথাসময়ে প্রকল্পের অবকাঠমো নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে এবং ২ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু করা সম্ভব হবে।’

প্রতিদিন এই প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশি ও রাশিয়ান কর্মী কাজ করছেন। শওকত আকবর জানান, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে থ্রিপ্লাস রিঅ্যাকটর বসবে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যা রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসমূহে রয়েছে। রাশিয়ার বাইরে এটিই হবে বিদেশে এধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকার, সাব কনট্রাকটর ও আমরা এক কমান্ডে কাজ করছি। কোন সমস্যা নেই। নিরাপত্তা নিয়েও কোন শঙ্কা নেই।’

ইতোমধ্যেই রিঅ্যাকটর ভ্যাসেলসহ বহু যন্ত্রপাতি চলে এসেছে। অবশিষ্ট যন্ত্রপাতি শীঘ্রই চলে আসবে। তারপর এখানে সংযোজন করা হবে। আগামী ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। পাকশী এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষক আতাহার আলী বলেন, মানুষজন আগের চেয়ে শিক্ষিত হয়েছে, সচেতন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাবনাবাসী সৌভাগ্যবান, সেই ১৯৬১ সালে এখানে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য জমি হুকুম দখল করা হয়েছিল। সব সরকারের সময় শুধু আশ্বাস প্রদান করা হয় বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ হবে। কোন সরকারই এটি করেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাকে হত্যা করে দেশের উন্নয়ন পিছিয়ে দেয় ষড়যন্ত্রকারীরা।

বঙ্গবন্ধুর জামাতা বিজ্ঞানী ডক্টর ওয়াজেদ আলীর অনুপ্রেরণায় শেখ হাসিনা সরকার এটি করার ঝুঁকি নিয়েছেন। সাবেক সংসদ সদস্য বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে দেশের ক্রমবর্ধমাণ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি শিল্প কারখানার বিকাশ লাভ করবে। দেশের মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার কারিগরি ও অর্থ সহায়তায় রূপপুরে নির্মাণাধীন এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি হবে দেশের প্রথম এবং একমাত্র বিদ্যুৎ প্রকল্প। দুটি ইউনিটে এই প্রকল্প থেকে উৎপাদন হবে ১২০০+১২০০=২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এটিই এখন বাংলাদেশে চলমান সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল প্রকল্প। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১ লাখ ১ হাজার ২শ’ কোটি টাকা। এর ৯০ ভাগ অর্থ ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। এই ঋণ হবে স্বল্প সুদের। অবশিষ্ট অর্থের যোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের ব্যয় বাড়তে পারে বলেও জানান প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের খরচ খুবই বেশি। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কম বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২১ , ২৫ পৌষ ১৪২৭, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প

দুই বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের আশা

হাবিবুর রহমান স্বপন, পাবনা

image

্রপাবনা : দ্রুত এগিয়ে চলেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ -সংবাদ

এক সময় অপপ্রচার ছিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে আশপাশের জনবসতি হুমকির সম্মুখীন হবে। জমিতে ফসল ফলবে না, নদীনালা, খালবিল, পুকুরের মাছ মারা যাবে। এমন ভীতিকর প্রচরণাই ছিল পাবনা ও কুষ্টিয়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল আতঙ্ক-উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। অথচ মানুষের মনে সেই আগের মতো আতঙ্ক নেই। মানুষজন এখন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গুণকীর্তন করতে শুরু করেছে।

আলোঝলমল এখন রূপপুর এবং পার্শ্ববর্তী পাকশী এলাকা। গ্রাম এখন ক্রমশ শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। দেশি-বিদেশি হাজার হাজার কর্মচারীর পদচারণায় মুখরিত জনপদ। স্থানীয় অর্থনীতিতে পড়েছে প্রভাব। সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান। পাবনা শহর থেকে ২৭ কিলোমিটার এবং ঈশ্বরদী শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের জনপদ রূপপুর। পদ্মা নদীর কোল ঘেঁষে শতবর্ষের হার্ডিঞ্জ রেল সেতুর নিকটবর্তী গ্রামটি ছিল শান্ত নিরিবিলি। দুই বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহের আশা করছেন রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের পরিচালক শওকত আকবর।

রাত নামলেই গাঢ় অন্ধকার সুনসান নীরবতা। এখন বদলে গেছে দৃশ্যপট। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপক ও বহুমুখী কাজ পুরোপুরি বদলে দিয়েছে এখানকার রাত-দিন, জনজীবন- সবকিছু। রূপপুরের আকাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ২০ তলা উচ্চ দৃষ্টিনন্দন আবাসিক ভবন। এখন ১৭টি বহুতল ভবন কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের প্রকৌশলী কর্মকর্তারা এসব ভবনে বাস করছেন। এমন মোট ২২টি ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রায় দেড় হাজার একর এলাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে। এসব কাজে কর্মরত কয়েকশত বিদেশি। বেশিরভাগই রাশিয়ান। অন্যদেশেরও রয়েছে কয়েকজন। কাজ করছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। এসব দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা শ্রমিকের কর্মচাঞ্চল্যে ২৪ ঘণ্টা মুখর থাকে প্রকল্প এলাকা।

রূপপুর এখন সন্ধ্যা হলেই আগের মতো অন্ধকার নামে না। রাতভর আলোকিত থাকে সার্চ লাইটের আলোয়। প্রকল্পের কাজ চলে সারারাত ধরে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আশরাফুল হক বলেন, রূপপুর প্রকল্পকে কেন্দ্র করে এলাকায় নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠছে। সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান। এলাকার মানুষের মধ্যে ক্রমশ এই বিশ্বাস দানা বাঁধছে যে, প্রকল্প সম্পন্ন হলে শুধু বিদ্যুতের আলোই নয় এই অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতির দ্বার প্রসারিত হবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাইট অফিসে খোলা হয়েছে তথ্যকেন্দ্র। প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভয় বিভ্রান্তি দূর করতে কাজ করছেন একদল অফিসার। গত বছরের মার্চ মাস থেকে করোনাজনিত লকডাউনের কারণে কিছুটা কাজে স্থবিরতা আসলেও এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে প্রকল্পের কাজ।

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডক্টর শওকত আকবর বলেন, ‘এখন রিঅ্যাকটর বিল্ডিং তৈরির কাজ চলছে। সাববেইজ তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় শেষের পথে মূল প্রকল্পের ফাউন্ডেশন। অবকাঠামো ছাড়াও অনেক কাজ চলছে। যেমন রড বাইন্ডিং, ল্যাবরেটরি ওয়ার্কশপ ইত্যাদি সুষ্ঠুভাবে বা পরিকল্পিতভাবে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি যথাসময়ে প্রকল্পের অবকাঠমো নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে এবং ২ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু করা সম্ভব হবে।’

প্রতিদিন এই প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশি ও রাশিয়ান কর্মী কাজ করছেন। শওকত আকবর জানান, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে থ্রিপ্লাস রিঅ্যাকটর বসবে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যা রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসমূহে রয়েছে। রাশিয়ার বাইরে এটিই হবে বিদেশে এধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকার, সাব কনট্রাকটর ও আমরা এক কমান্ডে কাজ করছি। কোন সমস্যা নেই। নিরাপত্তা নিয়েও কোন শঙ্কা নেই।’

ইতোমধ্যেই রিঅ্যাকটর ভ্যাসেলসহ বহু যন্ত্রপাতি চলে এসেছে। অবশিষ্ট যন্ত্রপাতি শীঘ্রই চলে আসবে। তারপর এখানে সংযোজন করা হবে। আগামী ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। পাকশী এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষক আতাহার আলী বলেন, মানুষজন আগের চেয়ে শিক্ষিত হয়েছে, সচেতন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাবনাবাসী সৌভাগ্যবান, সেই ১৯৬১ সালে এখানে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য জমি হুকুম দখল করা হয়েছিল। সব সরকারের সময় শুধু আশ্বাস প্রদান করা হয় বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ হবে। কোন সরকারই এটি করেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাকে হত্যা করে দেশের উন্নয়ন পিছিয়ে দেয় ষড়যন্ত্রকারীরা।

বঙ্গবন্ধুর জামাতা বিজ্ঞানী ডক্টর ওয়াজেদ আলীর অনুপ্রেরণায় শেখ হাসিনা সরকার এটি করার ঝুঁকি নিয়েছেন। সাবেক সংসদ সদস্য বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে দেশের ক্রমবর্ধমাণ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি শিল্প কারখানার বিকাশ লাভ করবে। দেশের মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার কারিগরি ও অর্থ সহায়তায় রূপপুরে নির্মাণাধীন এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি হবে দেশের প্রথম এবং একমাত্র বিদ্যুৎ প্রকল্প। দুটি ইউনিটে এই প্রকল্প থেকে উৎপাদন হবে ১২০০+১২০০=২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এটিই এখন বাংলাদেশে চলমান সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল প্রকল্প। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১ লাখ ১ হাজার ২শ’ কোটি টাকা। এর ৯০ ভাগ অর্থ ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। এই ঋণ হবে স্বল্প সুদের। অবশিষ্ট অর্থের যোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের ব্যয় বাড়তে পারে বলেও জানান প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের খরচ খুবই বেশি। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কম বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।