ক্যাপিটাল তাণ্ডবে ভাইরাল দু’জনের পরিচয় !

ট্রাম্পের চোখে দেশপ্রেমিক, বিরোধীরা বলছে দুর্বৃত্ত, আর গণমাধ্যমের ভাষায় তারা সবাই অনুপ্রবেশকারী। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে তাণ্ডব চালিয়েছে ট্রাম্প সমর্থকরা। অধিবেশন চলাকালে নিরাপত্তার বেড়াজাল ছিড়ে হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা। তছনছ করে দেয় গোটা ভবন।

এসব অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন বেশ কয়েকজন। তারা আসলে কারা? কী এদের পরিচয়?

শিং ও পশুর চামরায় কিউ শামান : যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে হামলাকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন খালি গায়ে মাথায় শিং ও পশুর চামড়া পরা এক ব্যক্তি। জানা গেছে, তার আসল নাম জেক অ্যানজেলি। তিনি ২০১৯ সাল থেকে অ্যারিজোনা ক্যাপিটাল ভবনে রয়েছেন। সেখান থেকে বেশকিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করেছেন, বিশেষ করে বিতর্কিত কিউঅ্যানন বিষয়ক। উগ্র ডানপন্থি কিউঅ্যানন তত্ত্বের বিশ্বাসীরা মনে করেন, শয়তানের উপাসক ও শিশুনিপীড়ক একটি গোপন সংগঠন বিশ্বব্যাপী শিশুপাচার কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই তত্ত্বের কোন ধরনের যুক্তিসঙ্গত তথ্য বা প্রমাণ কোথাও মেলেনি। তারপরও অনুসারীর সংখ্যা নেহায়েৎ কম নয়। জেক অ্যানজেলি তাদেরই একজন। আসল নামের বদলে তিনি নিজেকে ‘কিউ শামান’ হিসেবেই পরিচয় দিতে পছন্দ করেন।

পেলোসির টেবিলে পা তোলা রিচার্ড বার্নেট : মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির অফিসে টেবিলের ওপর পা তুলে বসে থাকা লোকটির নাম রিচার্ড বার্নেট। তিনি আরাকানসাসের বাসিন্দা। ট্রাম্পের বক্তব্য শুনতেই সুদূর ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছিলেন বার্নেট।

তবে এই ট্রাম্পভক্তের দাবি, তিনি ইচ্ছা করে ক্যাপিটাল ভবনে ঢোকেননি। ভিড়ের ধাক্কায় বাধ্য হয়েই ভেতরে চলে গিয়েছিলেন, পরে পেলোসির অফিসটা খুঁজে পান।

বার্নেট ফাইভ নিউজ নামে একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ওই সময় আমি টেবিলে পা তুলে দিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, কোন গর্দভের কারণে পা কেটে গেছে। আর তার (পেলোসি) খামের ওপর আমার রক্তও ঝরেছে। এ কারণে আমি সেটি তুলে পকেটে নিয়ে আসি আর তার টেবিলে একটি সিকি (২৫ পয়সা) রেখে আসি, কারণ আমি চোর নই। যদিও তার এই দাবির পক্ষে তেমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং ভাইরাল ছবিগুলোতে তাকে বেশ হাস্যোজ্জ্বলই দেখা গেছে।

জানা যায়, রিচার্ড বার্নেট নিজেকে ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি ‘সেভ আওয়ার চিলড্রেন’-এর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন।

শনিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২১ , ২৫ পৌষ ১৪২৭, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

ক্যাপিটাল তাণ্ডবে ভাইরাল দু’জনের পরিচয় !

image

ট্রাম্পের চোখে দেশপ্রেমিক, বিরোধীরা বলছে দুর্বৃত্ত, আর গণমাধ্যমের ভাষায় তারা সবাই অনুপ্রবেশকারী। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে তাণ্ডব চালিয়েছে ট্রাম্প সমর্থকরা। অধিবেশন চলাকালে নিরাপত্তার বেড়াজাল ছিড়ে হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা। তছনছ করে দেয় গোটা ভবন।

এসব অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন বেশ কয়েকজন। তারা আসলে কারা? কী এদের পরিচয়?

শিং ও পশুর চামরায় কিউ শামান : যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে হামলাকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন খালি গায়ে মাথায় শিং ও পশুর চামড়া পরা এক ব্যক্তি। জানা গেছে, তার আসল নাম জেক অ্যানজেলি। তিনি ২০১৯ সাল থেকে অ্যারিজোনা ক্যাপিটাল ভবনে রয়েছেন। সেখান থেকে বেশকিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করেছেন, বিশেষ করে বিতর্কিত কিউঅ্যানন বিষয়ক। উগ্র ডানপন্থি কিউঅ্যানন তত্ত্বের বিশ্বাসীরা মনে করেন, শয়তানের উপাসক ও শিশুনিপীড়ক একটি গোপন সংগঠন বিশ্বব্যাপী শিশুপাচার কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই তত্ত্বের কোন ধরনের যুক্তিসঙ্গত তথ্য বা প্রমাণ কোথাও মেলেনি। তারপরও অনুসারীর সংখ্যা নেহায়েৎ কম নয়। জেক অ্যানজেলি তাদেরই একজন। আসল নামের বদলে তিনি নিজেকে ‘কিউ শামান’ হিসেবেই পরিচয় দিতে পছন্দ করেন।

পেলোসির টেবিলে পা তোলা রিচার্ড বার্নেট : মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির অফিসে টেবিলের ওপর পা তুলে বসে থাকা লোকটির নাম রিচার্ড বার্নেট। তিনি আরাকানসাসের বাসিন্দা। ট্রাম্পের বক্তব্য শুনতেই সুদূর ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছিলেন বার্নেট।

তবে এই ট্রাম্পভক্তের দাবি, তিনি ইচ্ছা করে ক্যাপিটাল ভবনে ঢোকেননি। ভিড়ের ধাক্কায় বাধ্য হয়েই ভেতরে চলে গিয়েছিলেন, পরে পেলোসির অফিসটা খুঁজে পান।

বার্নেট ফাইভ নিউজ নামে একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ওই সময় আমি টেবিলে পা তুলে দিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, কোন গর্দভের কারণে পা কেটে গেছে। আর তার (পেলোসি) খামের ওপর আমার রক্তও ঝরেছে। এ কারণে আমি সেটি তুলে পকেটে নিয়ে আসি আর তার টেবিলে একটি সিকি (২৫ পয়সা) রেখে আসি, কারণ আমি চোর নই। যদিও তার এই দাবির পক্ষে তেমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং ভাইরাল ছবিগুলোতে তাকে বেশ হাস্যোজ্জ্বলই দেখা গেছে।

জানা যায়, রিচার্ড বার্নেট নিজেকে ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি ‘সেভ আওয়ার চিলড্রেন’-এর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন।