২০২০ সালে ধর্ষণের শিকার ৬২৬ শিশু

করোনাকালে শিশুধর্ষণ ও বাল্যবিবাহ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে মোট ৬২৬ শিশু। গতকাল অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন-এমজেএফ। বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২০ শিরোনামে শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদের আধেয়-বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপস্থাপন করে এমজেএফ-এর কর্মকর্তারা বলেন, ২০২০ সালে বাল্যবিবাহ ৬০ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশের শিশুদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানায় সংস্থাটি।

তারা আরও বলেন, এমজেএফ-এর পর্যালোচনা অনুযায়ী, শিশু অধিকার পরিস্থিতি থেকে এটি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, বাংলাদেশের শিশুরা তাদের ঘরেই নিরাপদ নয়, কারণ অধিকাংশ শিশুধর্ষণ পারিবারিক পরিম-লে পরিচিতদের দ্বারাই সংঘটিত হয়েছে। একইভাবে পারিবারিক প্রভাবের কারণে করোনাকালে বাল্যবিবাহ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংস্থাটি জানায়, ২০২০ সালে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরাই ধর্ষণের শিকার হয়েছে বেশি। এরপর ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু রয়েছে। শিশুদের চকলেট বা খাবারের লোভ দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে, মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে এবং ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণও করা হয়েছে। এমনকি ত্রাণ দেয়ার কথা বলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এমজেএফ-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, শিশুরক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের সবাইকে আরও বেশি দায়িত্ববান হওয়ার পাশাপাশি শিশু অধিকার রক্ষায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের শিশু-অধিকার বিষয়ক ককাসের সদস্য অ্যারোমা দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মুহিবুজ্জামান। এ সময় এমজেএফের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ফাতেমা ইউসুফসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১ , ২৬ পৌষ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

২০২০ সালে ধর্ষণের শিকার ৬২৬ শিশু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাকালে শিশুধর্ষণ ও বাল্যবিবাহ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে মোট ৬২৬ শিশু। গতকাল অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন-এমজেএফ। বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২০ শিরোনামে শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদের আধেয়-বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপস্থাপন করে এমজেএফ-এর কর্মকর্তারা বলেন, ২০২০ সালে বাল্যবিবাহ ৬০ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশের শিশুদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানায় সংস্থাটি।

তারা আরও বলেন, এমজেএফ-এর পর্যালোচনা অনুযায়ী, শিশু অধিকার পরিস্থিতি থেকে এটি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, বাংলাদেশের শিশুরা তাদের ঘরেই নিরাপদ নয়, কারণ অধিকাংশ শিশুধর্ষণ পারিবারিক পরিম-লে পরিচিতদের দ্বারাই সংঘটিত হয়েছে। একইভাবে পারিবারিক প্রভাবের কারণে করোনাকালে বাল্যবিবাহ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংস্থাটি জানায়, ২০২০ সালে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরাই ধর্ষণের শিকার হয়েছে বেশি। এরপর ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু রয়েছে। শিশুদের চকলেট বা খাবারের লোভ দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে, মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে এবং ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণও করা হয়েছে। এমনকি ত্রাণ দেয়ার কথা বলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এমজেএফ-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, শিশুরক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের সবাইকে আরও বেশি দায়িত্ববান হওয়ার পাশাপাশি শিশু অধিকার রক্ষায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের শিশু-অধিকার বিষয়ক ককাসের সদস্য অ্যারোমা দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মুহিবুজ্জামান। এ সময় এমজেএফের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ফাতেমা ইউসুফসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।