মাস্টারমাইন্ড শিক্ষার্থীর দাফন কুষ্টিয়ায়

দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি মানববন্ধনে

বয়স ১৭, পুলিশ লিখেছে ১৯ বছর মা-বাবার অভিযোগ

ধর্ষণ ও হত্যার শিকার রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থীর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদরের গোপালপুর গ্রামে। গতকাল তার দাফন শেষে এলাকাবাসী দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।

তারা মেধাবী এই শিক্ষার্থী হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত ফারদিন ইফতেখার দিহানের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। এ ঘটনায় আর কারও সংশ্লিষ্টতা থাকলে তদন্তপূর্বক তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে এবং কোন নরপিশাচ যাতে দুঃসাহস না দেখায় সেজন্য সব অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযুক্ত তানভীর ইফতেখার দিহান সম্পর্কে শিক্ষার্থীর মায়ের বক্তব্য এই ছেলেকে তিনি আগে কখনও দেখেননি। মেয়েও তাকে কোন দিন কিছুই বলেনি। মায়ের অভিযোগ, তানভীর কখনওই তার মেয়ের বন্ধু হতে পারে না। হয়তো ফেসবুকে যোগাযোগ করে কৌশলে মেয়েকে বাসায় নিয়ে গেছে। পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তার অভিযোগ।

বাবা-মা দুজনের অভিযোগ, মেয়ের বয়স নিয়ে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিড়ম্বনায় ফেলেছে। তাদের মেয়ে ২০০৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছে। পাসপোর্ট ও জন্মসনদ অনুযায়ী মেয়ের বয়স ১৭ বছর। মামলা দুর্বল করতে বয়স লেখা হয়েছে ১৯ বছর।

দিহানের তিন বন্ধুকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর কলাবাগানে ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তানভীর ইফতেখার দিহানের তিন বন্ধুকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আসামি দিহান আদালতে বলেছে তার তিন বন্ধু এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। আসামি নিজেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি দিহানের তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার রাতেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়া মামলার এজাহারে ও দিহান ছাড়া অন্য কাউকে আসামি করা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার কোন সত্যতা না পাওয়ায় মুচলেকা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেয়া হয়। তবে তদন্তের স্বার্থে যে কোন তথ্যের জন্য জিজ্ঞাসাবাদে তাদের ডাকা হতে পারে। গত ৭ জানুয়ারি কলাবাগানে অভিযুক্ত দিহানের নিজ বাসায় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ও লেভেলের শিক্ষার্থীকে। দিহানের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে নিহতের বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১ , ২৬ পৌষ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

মাস্টারমাইন্ড শিক্ষার্থীর দাফন কুষ্টিয়ায়

দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি মানববন্ধনে

বয়স ১৭, পুলিশ লিখেছে ১৯ বছর মা-বাবার অভিযোগ

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া

image

ধর্ষণ বন্ধ হোক, ধর্ষণের শিকার আনুশকা হত্যার বিচার দাবিতে গতকাল রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মোমবাতি প্রজ্বলন -সংবাদ

ধর্ষণ ও হত্যার শিকার রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থীর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদরের গোপালপুর গ্রামে। গতকাল তার দাফন শেষে এলাকাবাসী দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।

তারা মেধাবী এই শিক্ষার্থী হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত ফারদিন ইফতেখার দিহানের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। এ ঘটনায় আর কারও সংশ্লিষ্টতা থাকলে তদন্তপূর্বক তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে এবং কোন নরপিশাচ যাতে দুঃসাহস না দেখায় সেজন্য সব অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযুক্ত তানভীর ইফতেখার দিহান সম্পর্কে শিক্ষার্থীর মায়ের বক্তব্য এই ছেলেকে তিনি আগে কখনও দেখেননি। মেয়েও তাকে কোন দিন কিছুই বলেনি। মায়ের অভিযোগ, তানভীর কখনওই তার মেয়ের বন্ধু হতে পারে না। হয়তো ফেসবুকে যোগাযোগ করে কৌশলে মেয়েকে বাসায় নিয়ে গেছে। পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তার অভিযোগ।

বাবা-মা দুজনের অভিযোগ, মেয়ের বয়স নিয়ে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিড়ম্বনায় ফেলেছে। তাদের মেয়ে ২০০৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছে। পাসপোর্ট ও জন্মসনদ অনুযায়ী মেয়ের বয়স ১৭ বছর। মামলা দুর্বল করতে বয়স লেখা হয়েছে ১৯ বছর।

দিহানের তিন বন্ধুকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর কলাবাগানে ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তানভীর ইফতেখার দিহানের তিন বন্ধুকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আসামি দিহান আদালতে বলেছে তার তিন বন্ধু এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। আসামি নিজেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি দিহানের তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার রাতেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়া মামলার এজাহারে ও দিহান ছাড়া অন্য কাউকে আসামি করা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার কোন সত্যতা না পাওয়ায় মুচলেকা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেয়া হয়। তবে তদন্তের স্বার্থে যে কোন তথ্যের জন্য জিজ্ঞাসাবাদে তাদের ডাকা হতে পারে। গত ৭ জানুয়ারি কলাবাগানে অভিযুক্ত দিহানের নিজ বাসায় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ও লেভেলের শিক্ষার্থীকে। দিহানের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে নিহতের বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।