করোনা রোগীরা সুস্থ হওয়ার পর শারীরিক ও মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে

করোনা জয় করার পর করোনা-পরবর্তী সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে নানাবিধ শারীরিক মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাক, চোখের সমস্যা, হার্টের সমস্যাসহ নানাবিধ মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। করোনাপরবর্তীকালে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে সেই সঙ্গে মানসিক ডিপ্রেসন বেড়েছে বহুগুণে। গতকাল রংপুরের গুড হেলথ হাসপাতালে করোনাপরবর্তী শারীরিক মানসিক জটিলতা নিরসনে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মামুনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। আলোচনায় অংশ নেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শফিউজ্জামান, মানসিক বিশেষজ্ঞ রণজন কুমার সেন, রংপুরের সিভিল সার্জেন ডা. হিরম্বয় কুমার রায়। আলোচনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হবার পর তারা আবার নানাবিধ শারীরিক মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হবার কথা জানান।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, করোনা জয় করার পর নানাবিধ সমস্যা দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের শরীরে। বিশেষ করে আত্মহত্যার প্রবণতার কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, আগে যেখানে আত্মহত্যার সংখ্যা ১০ ভাগ ছিল, এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ ভাগে ওঠে এসেছে। ডিপ্রেসনও বেড়েছে করোনা আক্রান্ত হবার পর। রোগীদের আগে যেমন ডিপ্রেসনের সংখ্যা ছিল ১৫ ভাগ, এখন তা ৬০ ভাগে উন্নীত হয়েছে। উদাহরণ দিয়ে বলা হয় ঢাকায় এক পুলিশ কনস্টেবল করোনায় আক্রান্ত হবার সিমটম দেখেই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। এ সংখ্যা ইউরোপের দেশে আশঙ্কাজনক বেড়েছে। এমনকি চিকিৎসকরা যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারাও মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।

এছাড়াও কোন উপসর্গ ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক, হার্টের সমস্যা, চোখের সমস্যা ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে।

সে কারণে করোনার চিকিৎসার পাশাপাশি করোনা-পরবর্তী আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক মানসিক চিকিৎসা দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। গুড হেলথ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সপ্তাহে ৬ দিন বিনা মূল্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের করোনা-পরবর্তী সমস্যা সমাধানে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেবার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচনা সভা শেষে অর্ধশতাধিক করোনা আক্রান্ত রোগীর করোনা-পরবর্তী শারীরিক সমস্যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন। গুড হেলথ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে শুক্রবার ব্যতিত সপ্তাহের ছয়দিন তাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১ , ২৬ পৌষ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

রংপুরে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ

করোনা রোগীরা সুস্থ হওয়ার পর শারীরিক ও মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

করোনা জয় করার পর করোনা-পরবর্তী সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে নানাবিধ শারীরিক মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাক, চোখের সমস্যা, হার্টের সমস্যাসহ নানাবিধ মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। করোনাপরবর্তীকালে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে সেই সঙ্গে মানসিক ডিপ্রেসন বেড়েছে বহুগুণে। গতকাল রংপুরের গুড হেলথ হাসপাতালে করোনাপরবর্তী শারীরিক মানসিক জটিলতা নিরসনে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মামুনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। আলোচনায় অংশ নেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শফিউজ্জামান, মানসিক বিশেষজ্ঞ রণজন কুমার সেন, রংপুরের সিভিল সার্জেন ডা. হিরম্বয় কুমার রায়। আলোচনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হবার পর তারা আবার নানাবিধ শারীরিক মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হবার কথা জানান।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, করোনা জয় করার পর নানাবিধ সমস্যা দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের শরীরে। বিশেষ করে আত্মহত্যার প্রবণতার কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, আগে যেখানে আত্মহত্যার সংখ্যা ১০ ভাগ ছিল, এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ ভাগে ওঠে এসেছে। ডিপ্রেসনও বেড়েছে করোনা আক্রান্ত হবার পর। রোগীদের আগে যেমন ডিপ্রেসনের সংখ্যা ছিল ১৫ ভাগ, এখন তা ৬০ ভাগে উন্নীত হয়েছে। উদাহরণ দিয়ে বলা হয় ঢাকায় এক পুলিশ কনস্টেবল করোনায় আক্রান্ত হবার সিমটম দেখেই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। এ সংখ্যা ইউরোপের দেশে আশঙ্কাজনক বেড়েছে। এমনকি চিকিৎসকরা যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারাও মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।

এছাড়াও কোন উপসর্গ ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক, হার্টের সমস্যা, চোখের সমস্যা ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে।

সে কারণে করোনার চিকিৎসার পাশাপাশি করোনা-পরবর্তী আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক মানসিক চিকিৎসা দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। গুড হেলথ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সপ্তাহে ৬ দিন বিনা মূল্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের করোনা-পরবর্তী সমস্যা সমাধানে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেবার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচনা সভা শেষে অর্ধশতাধিক করোনা আক্রান্ত রোগীর করোনা-পরবর্তী শারীরিক সমস্যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন। গুড হেলথ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে শুক্রবার ব্যতিত সপ্তাহের ছয়দিন তাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।