বিজয় দিবসের পূর্ণতা লাভ ১০ জানুয়ারি তোফায়েল আহমেদ

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ণতা অর্জন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই দিনটি স্মরণীয় ও অনন্য ঐতিহাসিক দিন। ১৬ ডিসেম্বর আমরা হানাদার মুক্ত হই কিন্তু আমরা স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করতে পারিনি। যে দিন বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন, সে দিনই আমরা স্বাধীনতার পরিপূর্ণতা লাভ করেছিলাম। ওই দিন বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের মাটি প্রথম স্পর্শ করেন। তোফায়েল আহমেদসহ ৪ জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে প্রথম অভ্যর্ত্থ্যনা জানান বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আর্দশ নিয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশের মানুষের সেবা করে যাওয়ার কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। গতকাল ভোলায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটিকে স্মরণীয় করতে জেলা আওয়ামী লীগের অর্ধ লক্ষ নেতাকর্মীর আনন্দ শোভাযাত্রার পূর্বে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠের বিশাল সমাবেশে তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়ালি) এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আজও আমরা পাকিস্তানের দাসত্বে আবদ্ধ থাকতাম।

বার বার বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। ১৯৬৮ সালে রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব অর্থাৎ আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এক পাশে ছিল ফাঁসির মঞ্চ। আরেক পাশে ছিল প্রধানমন্ত্রীর গদি। বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর গদি ত্যাগ করে ফাঁসির জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তিনি কোন আপস করেননি। তার আদর্শ নিয়ে আজও বেঁচে আছেন, এ আদর্শ নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে চান উল্লেখ করে প্রবীণ এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আর্দশ নিয়েই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্নের কথা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে প্রথম স্বপ্নপূরণ করে গেছেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয় বিপ্লব, ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ সময় তোফায়েল আহমেদ ভোলার আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এ জেলার আওয়ামী লীগ ঐকক্যবদ্ধ। অর্ধলক্ষ মানুষের সমাবেশ ও আনন্দ শোভাযাত্রা এর প্রমাণ বলেও উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি সবাইকে ঐক্যবব্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।

জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি দোস্ত মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব। সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠের ওই সমাবেশ শেষে এক বর্নাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। সকাল থেকে জেলা সদরের ১৩ ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা বাদ্য বাজিয়ে মিছিল নিয়ে নেচে গেয়ে প্রথমে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে যুক্ত হন। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রায় অংশ নেন ওই সব মিছিল।

সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১ , ২৭ পৌষ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

বিজয় দিবসের পূর্ণতা লাভ ১০ জানুয়ারি তোফায়েল আহমেদ

প্রতিনিধি, ভোলা

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ণতা অর্জন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই দিনটি স্মরণীয় ও অনন্য ঐতিহাসিক দিন। ১৬ ডিসেম্বর আমরা হানাদার মুক্ত হই কিন্তু আমরা স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করতে পারিনি। যে দিন বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন, সে দিনই আমরা স্বাধীনতার পরিপূর্ণতা লাভ করেছিলাম। ওই দিন বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের মাটি প্রথম স্পর্শ করেন। তোফায়েল আহমেদসহ ৪ জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে প্রথম অভ্যর্ত্থ্যনা জানান বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আর্দশ নিয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশের মানুষের সেবা করে যাওয়ার কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। গতকাল ভোলায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটিকে স্মরণীয় করতে জেলা আওয়ামী লীগের অর্ধ লক্ষ নেতাকর্মীর আনন্দ শোভাযাত্রার পূর্বে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠের বিশাল সমাবেশে তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়ালি) এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আজও আমরা পাকিস্তানের দাসত্বে আবদ্ধ থাকতাম।

বার বার বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। ১৯৬৮ সালে রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব অর্থাৎ আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এক পাশে ছিল ফাঁসির মঞ্চ। আরেক পাশে ছিল প্রধানমন্ত্রীর গদি। বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর গদি ত্যাগ করে ফাঁসির জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তিনি কোন আপস করেননি। তার আদর্শ নিয়ে আজও বেঁচে আছেন, এ আদর্শ নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে চান উল্লেখ করে প্রবীণ এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আর্দশ নিয়েই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্নের কথা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে প্রথম স্বপ্নপূরণ করে গেছেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয় বিপ্লব, ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ সময় তোফায়েল আহমেদ ভোলার আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এ জেলার আওয়ামী লীগ ঐকক্যবদ্ধ। অর্ধলক্ষ মানুষের সমাবেশ ও আনন্দ শোভাযাত্রা এর প্রমাণ বলেও উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি সবাইকে ঐক্যবব্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।

জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি দোস্ত মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব। সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠের ওই সমাবেশ শেষে এক বর্নাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। সকাল থেকে জেলা সদরের ১৩ ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা বাদ্য বাজিয়ে মিছিল নিয়ে নেচে গেয়ে প্রথমে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে যুক্ত হন। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রায় অংশ নেন ওই সব মিছিল।