ঝিনাইদহ কালীগঞ্জসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চালের উৎপাদিত সবজি ও মাছ সারাদেশে চাহিদা মেটাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। যা দীর্ঘদিন ধরে পাইকাররা কিনে সড়কপথে বড় বড় গাড়ি ভরে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন। সড়কপথে মালামাল বহন করাটা অনেকটা ব্যয়বহুল কাজ। যে কারণে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে নিয়ে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। কিন্তু কৃষকদের বিক্রয়কৃত কম দামের সবজি চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। মাঝখানে সুযোগ ভোগ করছে অদৃশ্য মধ্যসত্ত্বভোগীরা। শুধু গলাকাটা পড়ছে অসহায় কৃষক আর ভোক্তাদের। এ অবস্থা বয়ে আসছে দীর্ঘদিন। এ সিন্ডিকেট থেকে কৃষক ও ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে ও স্থানীয় সাংসদ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য করণীয় বিষয়ে গত শনিবার দুপুরে উপজেলার বারোবাজার রেলস্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল জোনের মহাব্যবস্থাপক মহির কান্তি গুহের সভাপতিত্বে স্থানীয় কৃষক, পাইকার, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়াকর্মী সঙ্গে নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল জোনের ব্যবস্থাপক শাহিদুল ইসলাম, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. জাহাঙ্গীর সিদ্দিক, ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানীসহ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা, কৃষক জাহিদুল ইসলাম পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান, মিডিয়াকর্মী জামির হোসেন, টিপু সুলতান, সাবজাল হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্মীরা। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান বলেন, অতি শীঘ্রই খুলনা থেকে দর্শনা পর্যন্ত ডবল লাইনের রেল পথের কাজ শুরু হবে। এ অঞ্চলের ডাবল লাইন চালু হলে কৃষি ও ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটবে। তখন রেল যোগাযোগ হবে এ এলাকার অন্যতম মাধ্যম। কিন্ত কৃষকদের কথা চিন্তা করে খুলনা থেকে ঢাকার পথে কয়েকটি স্টেশনে এই কাঁচাপণ্যবাহী লাগেজ ভ্যানের স্টপিজ করা অচিরেই করা হবে। যেখানে টেন্ডারের মাধ্যমে এজেন্ট নিয়োগ করে কাঁচামাল বহনের সুযোগ করা হবে।
সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১ , ২৭ পৌষ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চালের উৎপাদিত সবজি ও মাছ সারাদেশে চাহিদা মেটাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। যা দীর্ঘদিন ধরে পাইকাররা কিনে সড়কপথে বড় বড় গাড়ি ভরে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন। সড়কপথে মালামাল বহন করাটা অনেকটা ব্যয়বহুল কাজ। যে কারণে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে নিয়ে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। কিন্তু কৃষকদের বিক্রয়কৃত কম দামের সবজি চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। মাঝখানে সুযোগ ভোগ করছে অদৃশ্য মধ্যসত্ত্বভোগীরা। শুধু গলাকাটা পড়ছে অসহায় কৃষক আর ভোক্তাদের। এ অবস্থা বয়ে আসছে দীর্ঘদিন। এ সিন্ডিকেট থেকে কৃষক ও ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে ও স্থানীয় সাংসদ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য করণীয় বিষয়ে গত শনিবার দুপুরে উপজেলার বারোবাজার রেলস্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল জোনের মহাব্যবস্থাপক মহির কান্তি গুহের সভাপতিত্বে স্থানীয় কৃষক, পাইকার, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়াকর্মী সঙ্গে নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল জোনের ব্যবস্থাপক শাহিদুল ইসলাম, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. জাহাঙ্গীর সিদ্দিক, ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানীসহ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা, কৃষক জাহিদুল ইসলাম পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান, মিডিয়াকর্মী জামির হোসেন, টিপু সুলতান, সাবজাল হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্মীরা। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান বলেন, অতি শীঘ্রই খুলনা থেকে দর্শনা পর্যন্ত ডবল লাইনের রেল পথের কাজ শুরু হবে। এ অঞ্চলের ডাবল লাইন চালু হলে কৃষি ও ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটবে। তখন রেল যোগাযোগ হবে এ এলাকার অন্যতম মাধ্যম। কিন্ত কৃষকদের কথা চিন্তা করে খুলনা থেকে ঢাকার পথে কয়েকটি স্টেশনে এই কাঁচাপণ্যবাহী লাগেজ ভ্যানের স্টপিজ করা অচিরেই করা হবে। যেখানে টেন্ডারের মাধ্যমে এজেন্ট নিয়োগ করে কাঁচামাল বহনের সুযোগ করা হবে।