জকিগঞ্জ রহিমপুর খালের পাম্প হাউজ চার বছর ধরে বন্ধ

দু’দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরের প্রস্তাব

ভারতের বাধার কারণে ৪ বছর যাবত বন্ধ রয়েছে সিলেটের জকিগঞ্জের রহিমপুর খালের পাম্প হাউজটি। তাই পাম্প হাউজটি চালুর জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)। এছাড়া ত্রিপুরার আগরতলা শহরের শিল্প ও হাসপাতাল বর্জ্যে বাংলাদেশের আখাউড়ার কালন্দি খালের পানি দূষিত হচ্ছে। তাই ভারতের অংশে একটি পানি শোধনাঘার (ইটিপি) স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রবাহমান খোয়াই, ধরলা, দুধকুমার, মনু, মুহুরী ও গোমতী অভিন্ন এই ৬টি নদী ব্যবহারের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের তথ্য বিনিময় করেছে উভয়দেশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)’র টেকনিক্যাল কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এই প্রস্তাব দেয়া হয়। গত মঙ্গল ও বুধবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত হওয়া দুই দিনব্যাপী এই বৈঠক বাংলাদেশের যৌথনদী কমিশনের মেম্বার মো. মাহমুদুল রহমানের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এছাড়া ভারতের যৌথ নদী কমিশনের মেম্বার অতুল জৌনের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি অংশ নেয়।

এ বিষয়ে সিইজিআইএস’র নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান সংবাদকে বলেন, দুই দেশের মধ্যে প্রবাহমান অভিন্ন ৬ নদীর তথ্য বিনিময়ের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য উভয় দেশ সম্মত হয়েছে। তাই চুক্তি স্বাক্ষরের আগে এই ৬ নদী পানি উত্তোলন, ব্যবহারসহ ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২২ বছরের তথ্য-উপাত্ত বিনিময় করা হয়েছে। তবে তথ্য শেয়ারিং চুক্তির আরও কিছু তথ্যের প্রয়োজন হয়। সেজন্য আমরা আরও কিছু তথ্য চেয়েছি। এছাড়া গঙ্গা চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান।

পানি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)’র দুই দিনব্যাপী ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রথমদিন গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া অভিন্ন ৬ তথ্য বিনিময়, রহিমপুরের খালের পাম্প হাউজ চালুর এমওইউ স্বাক্ষর, ফেনী নদীর পরিদর্শনের জন্য কমিটি গঠন ও আখাউড়ায় কালিন্দ খালের পানি দূষণমুক্ত করতে ইটিপি স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। তবে চলতি বছরের দুই দেশের উচ্চপর্যায়ে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে সম্মত হয়েছে উভয়দেশ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভারতের বিএসএফের বাধার কারণে ৪ বছর যাবত বন্ধ রয়েছে সিলেটের জকিগঞ্জের রহিমপুর খালের পাম্প হাউজটি। ৫০ মিটার খনন কাজ করলে পাম্প হাউজটি চালু করা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে ভারত বাধা দিচ্ছে। অথচ অভিন্ন এই খাল থেকে ভারত ৪৯টি স্থান থেকে ছোট ছোট পাম্প দিয়ে পানি উত্তোতন করছে। ‘আপার সুরমা-কুশিয়ারা’ প্রকল্পের আওতায় সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর এলাকায় পাম্প হাউজ ও পাম্প হাউজের সঙ্গে কুশিয়ারা নদীর সংযোগকারী ইনটেক চ্যানেল নির্মাণ কাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রকল্পটি ২০০১-০২ অর্থ বছর হতে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হয়। প্রকল্পের আওতায় খাল পুনঃখনন, বাধ পুনঃনির্মাণ করা হয়। প্রকল্পের পাম্প হাউজ নির্মাণ কাজসহ খাল পুনঃখনন, বাধ নির্মাণ সম্পন্ন করা হলেও ইনটেক চ্যানেল নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। ইনটেক চ্যানেলের ৪১০ মিটার দৈর্ঘ্যরে মধ্যে ৩২৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন ইনটেক চ্যানেলের অবশিষ্ট অংশ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের আপত্তি কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল সুদীর্ঘ ১৫ বছর হয়ে যাওয়ায়, প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাল আর বৃদ্ধি না করে ইনটেক চ্যানেল নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখেই প্রকল্প সমাপ্ত করা হয়েছে। প্রকল্প সমাপ্তির পরও প্রায় ৪ বছর অতিবাহিত হয়েছে। ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল ৫৩ হাজার ৮২০ হেক্টর এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন সুবিধাসহ প্রায় ১০ হাজার ৬০০ হেক্টর এলাকা সেচ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয় ১৪৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ, ৪৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার নিষ্কাশন খাল এবং ৩৯ দশমিক ৫০ কিলোমিটা সেচ খাল খনন।

প্রকল্পের প্রধানতম উদ্দেশ্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন সুবিধা সম্পূর্ণরূপে অর্জিত হলেও সেচ সুবিধা সম্পূর্ণরূপে প্রদান করা সম্ভব হয় নাই। কারণ ৩৯ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সেচ খাল খননের মাধ্যমে ৫ হাজার ৬০০ হেক্টর এলাকা সেচ সুবিধা করা হলেও পাম্প হাউজের মাধ্যমে আরও ৫ হাজার হেক্টর এলাকায় সেচ প্রকল্প চালু করা যেত। কিন্তু ভারতের বাধার কারণে তা সম্ভব্য হচ্ছে না। প্রকল্পের রহিমপুর পাম্প হাউজের মাধ্যমে কুশিয়ারা নদী হতে পানি উত্তোলনের মাধ্যমে সরাসরি সেচ প্রদানের মাধ্যমে অবশিষ্ট ৫০০০ হেক্টর এলাকা সেচ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। সম্পূর্ণ ইনটেক চ্যানেল নির্মাণ এবং কুশিয়ারা নদী হতে পানি উত্তোলনের জন্য ভারতের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব্য বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদকে বলেন, সিলেটের জকিগঞ্জের রহিমপুর খালের পাম্প হাউজটি নির্মাণ কাজ শেষ হলেও ভারতের বাধার কারণে তা সম্ভব্য হচ্ছে না। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তাই যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

আরও খবর
এলপি গ্যাসের দাম ব্যবসায়ীরাই নিয়ন্ত্রণ করবে
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কমছে
বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারির ভাষণে দেশ পরিচালনার সব দিকনির্দেশনা ছিল প্রধানমন্ত্রী
১৩২টি দেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রায় দিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর খুনিসহ ৫২ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল
ট্রাম্পের অপসারণ চান ৫৭ শতাংশ আমেরিকান
দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ২৫ শনাক্ত ১০৭১
যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা বস্তুনিষ্ঠ নয়
ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার
চালের দাম বৃদ্ধির কারণ মজুদদারি
পিকে হালদারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও ৪ জনকে দুদকে তলব
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি নিহত ১

সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১ , ২৭ পৌষ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

ভারতের বাধার কারণে

জকিগঞ্জ রহিমপুর খালের পাম্প হাউজ চার বছর ধরে বন্ধ

দু’দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরের প্রস্তাব

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

ভারতের বাধার কারণে ৪ বছর যাবত বন্ধ রয়েছে সিলেটের জকিগঞ্জের রহিমপুর খালের পাম্প হাউজটি। তাই পাম্প হাউজটি চালুর জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)। এছাড়া ত্রিপুরার আগরতলা শহরের শিল্প ও হাসপাতাল বর্জ্যে বাংলাদেশের আখাউড়ার কালন্দি খালের পানি দূষিত হচ্ছে। তাই ভারতের অংশে একটি পানি শোধনাঘার (ইটিপি) স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রবাহমান খোয়াই, ধরলা, দুধকুমার, মনু, মুহুরী ও গোমতী অভিন্ন এই ৬টি নদী ব্যবহারের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের তথ্য বিনিময় করেছে উভয়দেশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)’র টেকনিক্যাল কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এই প্রস্তাব দেয়া হয়। গত মঙ্গল ও বুধবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত হওয়া দুই দিনব্যাপী এই বৈঠক বাংলাদেশের যৌথনদী কমিশনের মেম্বার মো. মাহমুদুল রহমানের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এছাড়া ভারতের যৌথ নদী কমিশনের মেম্বার অতুল জৌনের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি অংশ নেয়।

এ বিষয়ে সিইজিআইএস’র নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান সংবাদকে বলেন, দুই দেশের মধ্যে প্রবাহমান অভিন্ন ৬ নদীর তথ্য বিনিময়ের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য উভয় দেশ সম্মত হয়েছে। তাই চুক্তি স্বাক্ষরের আগে এই ৬ নদী পানি উত্তোলন, ব্যবহারসহ ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২২ বছরের তথ্য-উপাত্ত বিনিময় করা হয়েছে। তবে তথ্য শেয়ারিং চুক্তির আরও কিছু তথ্যের প্রয়োজন হয়। সেজন্য আমরা আরও কিছু তথ্য চেয়েছি। এছাড়া গঙ্গা চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান।

পানি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)’র দুই দিনব্যাপী ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রথমদিন গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া অভিন্ন ৬ তথ্য বিনিময়, রহিমপুরের খালের পাম্প হাউজ চালুর এমওইউ স্বাক্ষর, ফেনী নদীর পরিদর্শনের জন্য কমিটি গঠন ও আখাউড়ায় কালিন্দ খালের পানি দূষণমুক্ত করতে ইটিপি স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। তবে চলতি বছরের দুই দেশের উচ্চপর্যায়ে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে সম্মত হয়েছে উভয়দেশ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভারতের বিএসএফের বাধার কারণে ৪ বছর যাবত বন্ধ রয়েছে সিলেটের জকিগঞ্জের রহিমপুর খালের পাম্প হাউজটি। ৫০ মিটার খনন কাজ করলে পাম্প হাউজটি চালু করা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে ভারত বাধা দিচ্ছে। অথচ অভিন্ন এই খাল থেকে ভারত ৪৯টি স্থান থেকে ছোট ছোট পাম্প দিয়ে পানি উত্তোতন করছে। ‘আপার সুরমা-কুশিয়ারা’ প্রকল্পের আওতায় সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর এলাকায় পাম্প হাউজ ও পাম্প হাউজের সঙ্গে কুশিয়ারা নদীর সংযোগকারী ইনটেক চ্যানেল নির্মাণ কাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রকল্পটি ২০০১-০২ অর্থ বছর হতে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হয়। প্রকল্পের আওতায় খাল পুনঃখনন, বাধ পুনঃনির্মাণ করা হয়। প্রকল্পের পাম্প হাউজ নির্মাণ কাজসহ খাল পুনঃখনন, বাধ নির্মাণ সম্পন্ন করা হলেও ইনটেক চ্যানেল নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। ইনটেক চ্যানেলের ৪১০ মিটার দৈর্ঘ্যরে মধ্যে ৩২৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন ইনটেক চ্যানেলের অবশিষ্ট অংশ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের আপত্তি কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল সুদীর্ঘ ১৫ বছর হয়ে যাওয়ায়, প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাল আর বৃদ্ধি না করে ইনটেক চ্যানেল নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখেই প্রকল্প সমাপ্ত করা হয়েছে। প্রকল্প সমাপ্তির পরও প্রায় ৪ বছর অতিবাহিত হয়েছে। ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল ৫৩ হাজার ৮২০ হেক্টর এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন সুবিধাসহ প্রায় ১০ হাজার ৬০০ হেক্টর এলাকা সেচ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয় ১৪৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ, ৪৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার নিষ্কাশন খাল এবং ৩৯ দশমিক ৫০ কিলোমিটা সেচ খাল খনন।

প্রকল্পের প্রধানতম উদ্দেশ্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন সুবিধা সম্পূর্ণরূপে অর্জিত হলেও সেচ সুবিধা সম্পূর্ণরূপে প্রদান করা সম্ভব হয় নাই। কারণ ৩৯ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সেচ খাল খননের মাধ্যমে ৫ হাজার ৬০০ হেক্টর এলাকা সেচ সুবিধা করা হলেও পাম্প হাউজের মাধ্যমে আরও ৫ হাজার হেক্টর এলাকায় সেচ প্রকল্প চালু করা যেত। কিন্তু ভারতের বাধার কারণে তা সম্ভব্য হচ্ছে না। প্রকল্পের রহিমপুর পাম্প হাউজের মাধ্যমে কুশিয়ারা নদী হতে পানি উত্তোলনের মাধ্যমে সরাসরি সেচ প্রদানের মাধ্যমে অবশিষ্ট ৫০০০ হেক্টর এলাকা সেচ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। সম্পূর্ণ ইনটেক চ্যানেল নির্মাণ এবং কুশিয়ারা নদী হতে পানি উত্তোলনের জন্য ভারতের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব্য বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদকে বলেন, সিলেটের জকিগঞ্জের রহিমপুর খালের পাম্প হাউজটি নির্মাণ কাজ শেষ হলেও ভারতের বাধার কারণে তা সম্ভব্য হচ্ছে না। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তাই যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।