বরিশাল নগরীতে প্রতিষ্ঠিত দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটির নাম ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত যন্ত্রকৌশল বিভাগে তিন বছর যাবত শিক্ষার্থী ভর্তি করে প্রতারণা করে যাচ্ছে।
২০১৭ সনের ১৬ জুলাই অনুমোদন নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ কার্যক্রম শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে যন্ত্রকৌশল বিভাগে প্রায় পৌনে দুশ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ফকরুল ইসলাম ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের অনিয়মের বিষয়ে চিঠি দেন। বিনানুমতিতে শিক্ষার্থী ভর্তিও বিষয়ে তদন্ত শুরু হলে বিম্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চিঠির বিষয়ে অস্বীকার করেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ছয়টি বিষয় নিয়ে সিঅ্যান্ডবি রোডের একটি ভাড়া বাড়িতে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তিতে অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে যন্ত্রকৌশল (মেকানিক্যাল) বিষয় খুলে তাতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো শুরু করে। যখন শিক্ষার্থীরা জানতে পারে যে, ওই বিভাগটির অনুমোদন নেই তখন শিক্ষার্থীদেরকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে সার্টিফিকেট দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
প্রকাশ থাকে যে, জামাতের অনুসারী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইমরান চৌধুরি বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজের বিধান অনুযায়ী পরিচালনা করেন। অন্যদিকে জানা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বীকৃতির জন্য এক্সিম ব্যাংকের বরিশাল শাখায় তিন কোটি টাকার স্থায়ী আমানত হিসেবে খোলা হয়। পরবর্তীতে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইমরান চৌধুরী ওই স্থায়ী আমানতের বিপরীতে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি নিজেই ওই বিশ্ববিদ্যাালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগপত্র দেখিয়ে প্রতিমাসে বেতন গ্রহণ করছেন।
সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১ , ২৭ পৌষ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল
বরিশাল নগরীতে প্রতিষ্ঠিত দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটির নাম ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত যন্ত্রকৌশল বিভাগে তিন বছর যাবত শিক্ষার্থী ভর্তি করে প্রতারণা করে যাচ্ছে।
২০১৭ সনের ১৬ জুলাই অনুমোদন নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ কার্যক্রম শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে যন্ত্রকৌশল বিভাগে প্রায় পৌনে দুশ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ফকরুল ইসলাম ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের অনিয়মের বিষয়ে চিঠি দেন। বিনানুমতিতে শিক্ষার্থী ভর্তিও বিষয়ে তদন্ত শুরু হলে বিম্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চিঠির বিষয়ে অস্বীকার করেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ছয়টি বিষয় নিয়ে সিঅ্যান্ডবি রোডের একটি ভাড়া বাড়িতে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তিতে অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে যন্ত্রকৌশল (মেকানিক্যাল) বিষয় খুলে তাতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো শুরু করে। যখন শিক্ষার্থীরা জানতে পারে যে, ওই বিভাগটির অনুমোদন নেই তখন শিক্ষার্থীদেরকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে সার্টিফিকেট দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
প্রকাশ থাকে যে, জামাতের অনুসারী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইমরান চৌধুরি বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজের বিধান অনুযায়ী পরিচালনা করেন। অন্যদিকে জানা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বীকৃতির জন্য এক্সিম ব্যাংকের বরিশাল শাখায় তিন কোটি টাকার স্থায়ী আমানত হিসেবে খোলা হয়। পরবর্তীতে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইমরান চৌধুরী ওই স্থায়ী আমানতের বিপরীতে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি নিজেই ওই বিশ্ববিদ্যাালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগপত্র দেখিয়ে প্রতিমাসে বেতন গ্রহণ করছেন।