আশুলিয়ায় জাল টাকার কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব ১)। গতকাল দক্ষিণ বাদাইল এলাকায় জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন বাড়ির ৩য় তলায় একটি ফ্ল্যাটে জাল টাকার এ কারখানার খোঁজ মেলে। অভিযানে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত মো. মিজানুর রহমান (৩৯) এবং মো. রেজাউল ইসলামকে (৩৬) আটক করা হয়েছে। জাল টাকা তৈরির নানা উপকরণ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, গতকাল র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে আশুলিয়া থানার দক্ষিণ ভাদাইল হাজী নুরুল হক প্রি-ক্যাডেট হাইস্কুলের পাশে স্থানীয় জাহাঙ্গীরের বাড়ির ৩য় তলার পূর্ব পাশের ফ্ল্যাটে একটি চক্র জাল টাকা তৈরি করে আসছে। আভিযান চালিয়ে জালনোট ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান এবং মো. রেজাউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬শ’ টাকা মূল্যমানের জালনোট, ৫টি মোবাইল ফোন, ১টি কিবোর্ড, ২টি টোনার, ১টি ল্যাপটপ, ১টি লেমিনেটিং মেশিন, প্রিন্টার, স্ক্যানার বোর্ড, থাই বোর্ড, টুপার্ট পেপার জল ছাপ, বোয়ম, সোনালী রংসহ জাল টাকা তৈরির নানা উপকরণ জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবত জালনোট তৈরি করে আসছিল। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে জালনোট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করে জালনোট তৈরি করে। জাল টাকা তৈরি ও বিপণনের কাজে জড়িত চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। একটি গ্রুপ অর্ডার অনুযায়ী জাল নোট তৈরি করে, অন্য গ্রুপ টাকার বান্ডেল পৌঁছে দেয়, আরেক গ্রুপ এসব টাকা বাজারে ছড়িয়ে দেয়। আসামিরা প্যাকেট আকারে সুনির্দিষ্ট কিছু লোককে সরবরাহের নিমিত্তে বিপুল পরিমাণ জালনোট তৈরি এবং বাজারে সরবরাহ করে আসছিল।
মো. মিজানুর রহমান জানায়, সে ২০১২ সালে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। ইতিপূর্বে মাদক মামলায় ১ বছর কারাভোগ করে। কারাভোগ শেষে গত ৩ মাস আগে অধিক মুনাফার লোভে জাল টাকা তৈরি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। রেজাউল ইসলাম তার এই অবৈধ জাল টাকা তৈরিতে সহযোগী হিসেবে কাজ করত বলে জানা যায়।
র্যাব জানায়, সম্প্রতিকালে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে বেশ কয়েকটি চক্র জড়িত আছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়। বাংলাদেশের আর্থিক চাকাকে অচল করতে এবং সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে অধিক মুনাফার লোভে জাল টাকা তৈরি ও বাজারজাত করার সংঘবদ্ধ কিছু চক্র সক্রিয় হয়ে পড়ছে। এই চক্রগুলো জাল টাকা তৈরি করে নির্দিষ্ট কয়েকজন সদস্য দিয়ে আসল টাকার ভিতর জাল টাকা মিলিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর এরকম চক্রের কিছু সদস্য র্যাবের জালে ধরা পড়েছে।
সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১ , ২৭ পৌষ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
আশুলিয়ায় জাল টাকার কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব ১)। গতকাল দক্ষিণ বাদাইল এলাকায় জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন বাড়ির ৩য় তলায় একটি ফ্ল্যাটে জাল টাকার এ কারখানার খোঁজ মেলে। অভিযানে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত মো. মিজানুর রহমান (৩৯) এবং মো. রেজাউল ইসলামকে (৩৬) আটক করা হয়েছে। জাল টাকা তৈরির নানা উপকরণ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, গতকাল র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে আশুলিয়া থানার দক্ষিণ ভাদাইল হাজী নুরুল হক প্রি-ক্যাডেট হাইস্কুলের পাশে স্থানীয় জাহাঙ্গীরের বাড়ির ৩য় তলার পূর্ব পাশের ফ্ল্যাটে একটি চক্র জাল টাকা তৈরি করে আসছে। আভিযান চালিয়ে জালনোট ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান এবং মো. রেজাউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬শ’ টাকা মূল্যমানের জালনোট, ৫টি মোবাইল ফোন, ১টি কিবোর্ড, ২টি টোনার, ১টি ল্যাপটপ, ১টি লেমিনেটিং মেশিন, প্রিন্টার, স্ক্যানার বোর্ড, থাই বোর্ড, টুপার্ট পেপার জল ছাপ, বোয়ম, সোনালী রংসহ জাল টাকা তৈরির নানা উপকরণ জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবত জালনোট তৈরি করে আসছিল। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে জালনোট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করে জালনোট তৈরি করে। জাল টাকা তৈরি ও বিপণনের কাজে জড়িত চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। একটি গ্রুপ অর্ডার অনুযায়ী জাল নোট তৈরি করে, অন্য গ্রুপ টাকার বান্ডেল পৌঁছে দেয়, আরেক গ্রুপ এসব টাকা বাজারে ছড়িয়ে দেয়। আসামিরা প্যাকেট আকারে সুনির্দিষ্ট কিছু লোককে সরবরাহের নিমিত্তে বিপুল পরিমাণ জালনোট তৈরি এবং বাজারে সরবরাহ করে আসছিল।
মো. মিজানুর রহমান জানায়, সে ২০১২ সালে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। ইতিপূর্বে মাদক মামলায় ১ বছর কারাভোগ করে। কারাভোগ শেষে গত ৩ মাস আগে অধিক মুনাফার লোভে জাল টাকা তৈরি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। রেজাউল ইসলাম তার এই অবৈধ জাল টাকা তৈরিতে সহযোগী হিসেবে কাজ করত বলে জানা যায়।
র্যাব জানায়, সম্প্রতিকালে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে বেশ কয়েকটি চক্র জড়িত আছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়। বাংলাদেশের আর্থিক চাকাকে অচল করতে এবং সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে অধিক মুনাফার লোভে জাল টাকা তৈরি ও বাজারজাত করার সংঘবদ্ধ কিছু চক্র সক্রিয় হয়ে পড়ছে। এই চক্রগুলো জাল টাকা তৈরি করে নির্দিষ্ট কয়েকজন সদস্য দিয়ে আসল টাকার ভিতর জাল টাকা মিলিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর এরকম চক্রের কিছু সদস্য র্যাবের জালে ধরা পড়েছে।