শেয়ারবাজারে বড় উত্থান

লেনদেন-সূচক দুটোই বেড়েছে

রোববারের মতো সোমবারও বড় উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজার লেনদেন। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। তবে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২ মাস পর ৫ হাজার ৭০০ পয়েন্ট অতিক্রম কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৪.৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭১৮.৭৫ পয়েন্টে। ডিএসইর এই সূচকটি ১ বছর ১০ মাস ১ দিন বা ২২ মাস বা ৪০৫ কার্যদিবস পর ৫ হাজার ৭০০ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। এর আগে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সূচকটি ৫ হাজার ৭১০ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৩.৪৯ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৫৬.৭৭ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি সূচক ১৮.৩৮ বেড়ে দাড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৯৭.৪১ পয়েন্টে, ২১২৩.৯৬ পয়েন্টে এবং ১২১২.৮৭ পয়েন্টে।

গতকাল ডিএসইতে ১ হাজার ৬৭৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৬৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫০৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২৮টির বা ৩৫.৫৫ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৮০টির বা ৫০ শতাংশের এবং ৫২টির বা ১৪.৪৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭৭.২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৬৫.৩৮ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ২৯০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৭টির আর ৩৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৭৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৬১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৯ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৩টি শেয়ার ৮৮ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৬১ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪২ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকার রেনেটার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিলের।

এছাড়া বিকন ফার্মার ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বিএসআরএম লিমিটেডের ১ কোািট ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ৪৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৫২ লাখ ৩৪ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকার, ইন্দো-বাংলা ফার্মার ৭৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, আইডিএলসির ১৬ লাখ ৬ হাজার টাকার, ইফাদ অটোসের ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার, আইএফআইসির ৬ লাখ ১৩ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার, লাফার্জহোলসিমের ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার, লিনডে বিডির ৪৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৪২ লাখ টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৮ লাখ ১০ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ২৭ লাখ টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ৪৭ লাখ ১ হাজার টাকার, ওয়ান ব্যাংকের ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকার, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৭ লাখ ৫১ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ২ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকার, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ৩০ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ১০ লাখ টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকার এবং ওয়ালটনের ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১ , ২৮ পৌষ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

শেয়ারবাজারে বড় উত্থান

লেনদেন-সূচক দুটোই বেড়েছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

রোববারের মতো সোমবারও বড় উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজার লেনদেন। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। তবে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২ মাস পর ৫ হাজার ৭০০ পয়েন্ট অতিক্রম কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৪.৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭১৮.৭৫ পয়েন্টে। ডিএসইর এই সূচকটি ১ বছর ১০ মাস ১ দিন বা ২২ মাস বা ৪০৫ কার্যদিবস পর ৫ হাজার ৭০০ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। এর আগে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সূচকটি ৫ হাজার ৭১০ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৩.৪৯ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৫৬.৭৭ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি সূচক ১৮.৩৮ বেড়ে দাড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৯৭.৪১ পয়েন্টে, ২১২৩.৯৬ পয়েন্টে এবং ১২১২.৮৭ পয়েন্টে।

গতকাল ডিএসইতে ১ হাজার ৬৭৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৬৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫০৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২৮টির বা ৩৫.৫৫ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৮০টির বা ৫০ শতাংশের এবং ৫২টির বা ১৪.৪৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭৭.২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৬৫.৩৮ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ২৯০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৭টির আর ৩৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৭৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৬১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৯ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৩টি শেয়ার ৮৮ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৬১ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪২ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকার রেনেটার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিলের।

এছাড়া বিকন ফার্মার ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বিএসআরএম লিমিটেডের ১ কোািট ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ৪৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৫২ লাখ ৩৪ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকার, ইন্দো-বাংলা ফার্মার ৭৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, আইডিএলসির ১৬ লাখ ৬ হাজার টাকার, ইফাদ অটোসের ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার, আইএফআইসির ৬ লাখ ১৩ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার, লাফার্জহোলসিমের ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার, লিনডে বিডির ৪৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৪২ লাখ টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৮ লাখ ১০ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ২৭ লাখ টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ৪৭ লাখ ১ হাজার টাকার, ওয়ান ব্যাংকের ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকার, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৭ লাখ ৫১ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ২ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকার, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ৩০ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ১০ লাখ টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকার এবং ওয়ালটনের ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।