করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোকে আরও ঋণ দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে

করোনাভাইরাস আক্রান্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য আরও বিপুল পরিমাণ ঋণ বিতরণ করতে পারবে বাংলাদেশ। দুর্বল ঋণ স্থায়ী হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম হওয়ায় দেশের করোনাভাইরাস আক্রান্ত খাতগুলোকে ঋণভিত্তিক সহায়তা করার সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের চিফ ইকনোমিস্ট ইউনিট থেকে প্রকাশিত ‘কোভিড-১৯ সংকট এবং বাংলাদেশ অর্থনীতির জন্য আর্থিক ক্ষেত্র : দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক নীতিমালায় এ কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ রক্ষণশীল উপায়ে মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) অনুপাতে জনগণের ঋণ পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তুত করা একটি নীতিমালার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য বাংলাদেশ আরও ঋণ গ্রহণ করতে পারে, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ জিডিপি অনুপাতের প্রায় ৩৪ শতাংশের কম ঋণ পেয়েছে। অতএব, অর্থনীতির ক্ষতিগ্রস্ত খাতকে সমর্থন করার জন্য দেশীয় ঋণ এবং বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রয়োজনে পর্যাপ্ত পরিমাণে তাদের ব্যয় বাড়িয়ে তুলতে পারে, নীতিমালায় বলা হয়েছে।

‘কোভিড-১৯ সংকট এবং আর্থিক ক্ষেত্র : দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ’ শিরোনামের এই নীতিমালা প্রণয়ন কমিটিতে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ড. মো. এজাজুল ইসলাম, উপ-মহাব্যবস্থাপক ড. মো. সেলিম আল মামুন ও উপপরিচালক রাজু আহমেদ।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকার স্বল্প ও মধ্য মেয়াদে ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত উন্নয়নের জন্য কর নীতিমালা সংস্কার এবং যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে কর উন্নয়ন করতে পারে। এখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জিডিপি অনুপাতের তুলনায় বাংলাদেশ প্রায় ১০ শতাংশ কর বজায় রেখেছে, যা প্রতিবেশী দেশ ভারত বাদে অন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় কম।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালে মহামারী এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত দুর্দান্ত লকডাউন দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘাটতি বাড়িয়ে তোলে। বিশ্বব্যাংক অনুমান করেছে, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের আর্থিক ঘাটতি রয়েছে। তারপরও এশিয়ার দেশগুলোতে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৯.১৩ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলো তাদের আর্থিক ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উৎস থেকে বিভিন্ন উপায়ে ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছে।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১ , ২৮ পৌষ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোকে আরও ঋণ দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাস আক্রান্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য আরও বিপুল পরিমাণ ঋণ বিতরণ করতে পারবে বাংলাদেশ। দুর্বল ঋণ স্থায়ী হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম হওয়ায় দেশের করোনাভাইরাস আক্রান্ত খাতগুলোকে ঋণভিত্তিক সহায়তা করার সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের চিফ ইকনোমিস্ট ইউনিট থেকে প্রকাশিত ‘কোভিড-১৯ সংকট এবং বাংলাদেশ অর্থনীতির জন্য আর্থিক ক্ষেত্র : দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক নীতিমালায় এ কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ রক্ষণশীল উপায়ে মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) অনুপাতে জনগণের ঋণ পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তুত করা একটি নীতিমালার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য বাংলাদেশ আরও ঋণ গ্রহণ করতে পারে, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ জিডিপি অনুপাতের প্রায় ৩৪ শতাংশের কম ঋণ পেয়েছে। অতএব, অর্থনীতির ক্ষতিগ্রস্ত খাতকে সমর্থন করার জন্য দেশীয় ঋণ এবং বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রয়োজনে পর্যাপ্ত পরিমাণে তাদের ব্যয় বাড়িয়ে তুলতে পারে, নীতিমালায় বলা হয়েছে।

‘কোভিড-১৯ সংকট এবং আর্থিক ক্ষেত্র : দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ’ শিরোনামের এই নীতিমালা প্রণয়ন কমিটিতে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ড. মো. এজাজুল ইসলাম, উপ-মহাব্যবস্থাপক ড. মো. সেলিম আল মামুন ও উপপরিচালক রাজু আহমেদ।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকার স্বল্প ও মধ্য মেয়াদে ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত উন্নয়নের জন্য কর নীতিমালা সংস্কার এবং যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে কর উন্নয়ন করতে পারে। এখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জিডিপি অনুপাতের তুলনায় বাংলাদেশ প্রায় ১০ শতাংশ কর বজায় রেখেছে, যা প্রতিবেশী দেশ ভারত বাদে অন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় কম।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালে মহামারী এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত দুর্দান্ত লকডাউন দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘাটতি বাড়িয়ে তোলে। বিশ্বব্যাংক অনুমান করেছে, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের আর্থিক ঘাটতি রয়েছে। তারপরও এশিয়ার দেশগুলোতে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৯.১৩ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলো তাদের আর্থিক ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উৎস থেকে বিভিন্ন উপায়ে ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছে।