বটিয়াঘাটায় খাসজমি দখলের মহোৎসব : ঘুমিয়ে প্রশাসন

ভূমি দখলকারীদের দৌরাত্ম্যে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বেশিরভাগ সরকারি খাস জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। বটিয়াঘাটায় সরকারিভাবে খাস জমির পরিমাণ কৃষি খাতে ৫৪৪৮.৭১ একর, অকৃষি খাস জমির পরিমাণ ২৯৯.৭৯ একর, বন্দোবস্ত যোগ্য কৃষি খাস জমি ৪৬৭৩.১৮ একর, বন্দোবস্তকৃত জমির পরিমাণ ৪৫৯৬.৯৮ একর। বর্তমানে বন্দোবস্ত যোগ্য কৃষি জমি ৭৬.০৫ একর, বন্দোবস্ত যোগ্য অকৃষি খাস জমি ২.২৭ একর। কিন্তু খাস জমির পরিমাণ আরও অনেক বেশি। পরিত্যাক্ত অবস্থায় যে যেভাবে পারছে ভোগদখল করছে। ভূমি প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন সঠিক তথ্য জানেন না। যদি কেউ কোথাও খাস জমি দখলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন তবেই কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেন, আবার কোথাও খোঁজ নেন না। এভাবে প্রতিনিয়ত সরকারের বহু খাস জমি খাল, বিল, নদী নালা দখল করে লোকজন বাড়িঘর, বালুর বেড, মাছের ঘেরসহ ধান চাষ করছে। উপজেলা সদরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত সরকারি বটিয়াঘাটা খালের জমি দখল করে অনেকে বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, সহকারী কমিশনার(ভূমি), বটিয়াঘাটা থানাকে অবহিত করা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে কোন প্রশাসনই কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। ফলে অবৈধ দখলদাররা তাদের দখল অব্যাহত রেখেছেন। যা জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. রাশেদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, উপজেলায় সরকারি খাস জমি যা নির্ধারণ করা হয়েছে, মূলত খাস জমির পরিমাণ তার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। কিন্তু সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করায় তা উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। কেউ অভিযোগ করলে সেটাই যাচাই বাছাই করা হয়। এমনি বহু খাস জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থেকে যে যেভাবে পারছে ভোগদখল করছে। এ সংক্রান্ত বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি খাস খাল বিল কারা দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে তা তিনি সবই জানেন। অতিদ্রুত এসব স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১ , ২৮ পৌষ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

বটিয়াঘাটায় খাসজমি দখলের মহোৎসব : ঘুমিয়ে প্রশাসন

প্রতিনিধি, বটিয়াঘাটা (খুলনা)

image

ভূমি দখলকারীদের দৌরাত্ম্যে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বেশিরভাগ সরকারি খাস জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। বটিয়াঘাটায় সরকারিভাবে খাস জমির পরিমাণ কৃষি খাতে ৫৪৪৮.৭১ একর, অকৃষি খাস জমির পরিমাণ ২৯৯.৭৯ একর, বন্দোবস্ত যোগ্য কৃষি খাস জমি ৪৬৭৩.১৮ একর, বন্দোবস্তকৃত জমির পরিমাণ ৪৫৯৬.৯৮ একর। বর্তমানে বন্দোবস্ত যোগ্য কৃষি জমি ৭৬.০৫ একর, বন্দোবস্ত যোগ্য অকৃষি খাস জমি ২.২৭ একর। কিন্তু খাস জমির পরিমাণ আরও অনেক বেশি। পরিত্যাক্ত অবস্থায় যে যেভাবে পারছে ভোগদখল করছে। ভূমি প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন সঠিক তথ্য জানেন না। যদি কেউ কোথাও খাস জমি দখলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন তবেই কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেন, আবার কোথাও খোঁজ নেন না। এভাবে প্রতিনিয়ত সরকারের বহু খাস জমি খাল, বিল, নদী নালা দখল করে লোকজন বাড়িঘর, বালুর বেড, মাছের ঘেরসহ ধান চাষ করছে। উপজেলা সদরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত সরকারি বটিয়াঘাটা খালের জমি দখল করে অনেকে বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, সহকারী কমিশনার(ভূমি), বটিয়াঘাটা থানাকে অবহিত করা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে কোন প্রশাসনই কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। ফলে অবৈধ দখলদাররা তাদের দখল অব্যাহত রেখেছেন। যা জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. রাশেদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, উপজেলায় সরকারি খাস জমি যা নির্ধারণ করা হয়েছে, মূলত খাস জমির পরিমাণ তার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। কিন্তু সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করায় তা উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। কেউ অভিযোগ করলে সেটাই যাচাই বাছাই করা হয়। এমনি বহু খাস জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থেকে যে যেভাবে পারছে ভোগদখল করছে। এ সংক্রান্ত বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি খাস খাল বিল কারা দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে তা তিনি সবই জানেন। অতিদ্রুত এসব স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে।