জাতীয় রাজনীতির কথা বলিনি বলেছি ফেনীর অপরাজনীতি লুটপাটের কথা কাদের মির্জা

বসুর হাট থেকে ফিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুর হাট পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, তিনি জাতীয় রাজনীতির কোন কথা বলেননি, তিনি বলছেন নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতি, সন্ত্রাসী কর্মকা-, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ অনিয়মের কথা। এ কথাগুলো যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে তারা কিছু মিডিয়াকে দিয়ে আমার কথার অংশ বিশেষ এডিট করে প্রচার ও প্রকাশ করছে।

তিনি গতকাল সকাল কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা শহর বসুরহাট-বাজারের ব্যবসায়ীদের আয়োজিত নৌকার সমর্থনে ঐতিহাসিক রুপালী চত্বরে নির্বাচনী পথ সভায় বক্তব্য রাখছিলেন, এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন, আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত ও বক্তব্য রাখেন। আবদুল কাদের সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ী, দোকান কর্মচারীসহ কয়েক হাজার জনতাকে সাক্ষী রেখে জিঙ্গাসা করেন আমি কি কখনও জাতীয় রাজনীতির কথা বলেছি? জনতা সমস্বরে চিৎকার করে জবাব দেন না বলে। তিনি বলেন আমি বলেছি নোয়াখালী ও ফেনীর সন্ত্রাসী, অপরাজনীতি, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, নিয়োগ বাণিজ্যের কথা। এবং যতদিন বেঁচে আছি ততদিন বলব, আমি বলেছি আমার এলাকার গ্যাসের কথা, বেকার যুবকদের চাকরির কথা। আমি বলেছি ১৯৯৬ সাল ও ২০০৮ সালে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আসার কথা আমি বলেছি, দেশে ভোট ডাকাতি শুরু হয়েছে জিয়ার হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে, আমি বলেছি মাগুরায় ভোট ডাকাতির কথা। এসব কথায় যাদের আঁতে ঘা লেগেছে তারা মিডিয়ার মাধ্যমে এডিট করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কানভারী করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কোন লাভ হবে না বঙ্গবন্ধু কন্য চাটুকার নার্ভ ধরতে পারেন। তা না হলে তিনি একটানা ১২ বছর দেশ চালাচ্ছেন কি করে।

আবদুল কাদের বলেন, তার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ নেই, ডিসি এসপি নেই এমনকি তার ভাই ওবায়দুল কাদের ও নেই তাতে কি আল্লাহ তায়ালা আছে আর আছে জনতা। তিনি বলেন ছাত্রজীবন থেকে কত উপোষ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে গিয়ে জেল জুলুম খেটেছি কিন্তু কোম্পানিগঞ্জ ও কবির হাটে রাজনীতি করে গেছি। আদর্শ বিচ্যুত হইনি। আজকে কষ্ট লাগে যখন শুনি আমার কবির হাটের শত শত কর্মীর চাকরি হয়নি তার উপোষ থাকে আর ৫/৭ লাখ টাকা দিয়ে জামায়াত, বিএনপি, শিবিরের চাকরি হয়েছে। এ কথা বললে আমি খারাপ। আমি মন্ত্রীর দুই সচিবকে বলেছি আগামি ২ মাসের মধ্যে এ দুই উপজেলায় ১০০০ বেকারকে চাকরি দিতে হবে।

তিনি তার ভাই মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে বলেন, এলাকার এমপি হিসেবে আপনার দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আমি সহায়তা করব। তিনি মন্ত্রীর শুভাকাক্সক্ষীদের বলেন মন্ত্রীকে বুঝান তিনিতো এখন আমার কথা শোনে না।

জনতার উদ্দেশে আবদুল কাদের বলেন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ফেনী ও কবির হাটে বসে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে, এক এমপির ছেলের নেতৃত্বে বসুর হাটে অস্র পাঠাচ্ছে। আমি প্রশাসনকে বলেছি তারা কিছু করছে না। তাই আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমি কোন অনিয়ম করব না এবং কাউকে অনিয়ম করতে দেব না।

আরও খবর
আ’লীগ সরকার আছে বলেই দেশ স্বনির্ভর ও উন্নত : প্রধানমন্ত্রী
দেওয়ানি আদালতে বিচারকদের আর্থিক এখতিয়ার বাড়ল
২শ’ বছর পর ফিরে আসছে ঐতিহ্যবাহী মসলিন
প্রধানমন্ত্রী নারী উন্নয়নে প্রচুর কাজ করছেন মেয়র আইভী
চট্টগ্রামে করোনা টিকা বিতরণে ১৪ সদস্যের কমিটি
অগ্নিকাণ্ডে রোগীর মৃত্যু ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ ইউনাইটেডকে
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান মারা গেছেন
গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা
অরক্ষিত ড্রেনে পড়ে কবি আবদুল বাসিতের মৃত্যু
নির্বাচন কমিশন ঘৃণিত প্রতিষ্ঠান মির্জা ফখরুল
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যু
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১ , ২৮ পৌষ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

জাতীয় রাজনীতির কথা বলিনি বলেছি ফেনীর অপরাজনীতি লুটপাটের কথা কাদের মির্জা

মনিরুজ্জামান চৌধুরী

বসুর হাট থেকে ফিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুর হাট পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, তিনি জাতীয় রাজনীতির কোন কথা বলেননি, তিনি বলছেন নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতি, সন্ত্রাসী কর্মকা-, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ অনিয়মের কথা। এ কথাগুলো যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে তারা কিছু মিডিয়াকে দিয়ে আমার কথার অংশ বিশেষ এডিট করে প্রচার ও প্রকাশ করছে।

তিনি গতকাল সকাল কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা শহর বসুরহাট-বাজারের ব্যবসায়ীদের আয়োজিত নৌকার সমর্থনে ঐতিহাসিক রুপালী চত্বরে নির্বাচনী পথ সভায় বক্তব্য রাখছিলেন, এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন, আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত ও বক্তব্য রাখেন। আবদুল কাদের সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ী, দোকান কর্মচারীসহ কয়েক হাজার জনতাকে সাক্ষী রেখে জিঙ্গাসা করেন আমি কি কখনও জাতীয় রাজনীতির কথা বলেছি? জনতা সমস্বরে চিৎকার করে জবাব দেন না বলে। তিনি বলেন আমি বলেছি নোয়াখালী ও ফেনীর সন্ত্রাসী, অপরাজনীতি, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, নিয়োগ বাণিজ্যের কথা। এবং যতদিন বেঁচে আছি ততদিন বলব, আমি বলেছি আমার এলাকার গ্যাসের কথা, বেকার যুবকদের চাকরির কথা। আমি বলেছি ১৯৯৬ সাল ও ২০০৮ সালে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আসার কথা আমি বলেছি, দেশে ভোট ডাকাতি শুরু হয়েছে জিয়ার হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে, আমি বলেছি মাগুরায় ভোট ডাকাতির কথা। এসব কথায় যাদের আঁতে ঘা লেগেছে তারা মিডিয়ার মাধ্যমে এডিট করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কানভারী করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কোন লাভ হবে না বঙ্গবন্ধু কন্য চাটুকার নার্ভ ধরতে পারেন। তা না হলে তিনি একটানা ১২ বছর দেশ চালাচ্ছেন কি করে।

আবদুল কাদের বলেন, তার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ নেই, ডিসি এসপি নেই এমনকি তার ভাই ওবায়দুল কাদের ও নেই তাতে কি আল্লাহ তায়ালা আছে আর আছে জনতা। তিনি বলেন ছাত্রজীবন থেকে কত উপোষ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে গিয়ে জেল জুলুম খেটেছি কিন্তু কোম্পানিগঞ্জ ও কবির হাটে রাজনীতি করে গেছি। আদর্শ বিচ্যুত হইনি। আজকে কষ্ট লাগে যখন শুনি আমার কবির হাটের শত শত কর্মীর চাকরি হয়নি তার উপোষ থাকে আর ৫/৭ লাখ টাকা দিয়ে জামায়াত, বিএনপি, শিবিরের চাকরি হয়েছে। এ কথা বললে আমি খারাপ। আমি মন্ত্রীর দুই সচিবকে বলেছি আগামি ২ মাসের মধ্যে এ দুই উপজেলায় ১০০০ বেকারকে চাকরি দিতে হবে।

তিনি তার ভাই মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে বলেন, এলাকার এমপি হিসেবে আপনার দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আমি সহায়তা করব। তিনি মন্ত্রীর শুভাকাক্সক্ষীদের বলেন মন্ত্রীকে বুঝান তিনিতো এখন আমার কথা শোনে না।

জনতার উদ্দেশে আবদুল কাদের বলেন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ফেনী ও কবির হাটে বসে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে, এক এমপির ছেলের নেতৃত্বে বসুর হাটে অস্র পাঠাচ্ছে। আমি প্রশাসনকে বলেছি তারা কিছু করছে না। তাই আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমি কোন অনিয়ম করব না এবং কাউকে অনিয়ম করতে দেব না।