‘শুধু ব্যবসা নয়, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ’

কাসেম গ্রুপের সিওও মাহবুবুল আলম জানালেন তাদের ব্যবসায় পরিকল্পনা

কাসেম গ্রুপের যাত্রা শুরু অনেক আগে। তখন দেশে তেমন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। কামেস গ্রুপই ১৯৮০ সালে আইএসও সার্টিফিকেট পাওয়া একমাত্র ড্রাইসেল কোম্পানি। কয়েক যুগ ধরে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসা এই প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই নিজেদের অভিনবত্ব ধরে রেখেছে। প্রতিযোগী অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যখন নিজেদের প্রচার প্রচারণায় অর্থ খরচ করতে গিয়ে মানহীন পণ্য উৎপাদন করছে, সেখানে কাসেম গ্রুপ নীরবে ‘সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা’ সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও সিইও মাহবুবুল আলমের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

শুরু থেকেই কোম্পানিটি সব সময় গুণগত মান ও নতুনত্ব ধরে রেখেছে। যখন কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করা হয় তখন দেশে সেভাবে শিল্প গড়ে উঠেনি। তখন তারা পাট রপ্তানি শুরু করে। তারাই সবচেয়ে বেশি পাট রপ্তানিকারক ছিল সেই সময়। তারপর টেক্সটাইল রপ্তানি শুরু হয়। দেশের প্রাইভেট সেক্টরের দিক দিয়ে এটিই প্রথম কোম্পানি। এর আগে কোন প্রাইভেট কোম্পানি ছিল না। টেক্সটাইল খাতে অনেকগুলো কোম্পানি ছিল প্রতিষ্ঠানটির।

মূলত কাসেম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ তখন টেক্সটাইল প্রডাক্ট উৎপাদন করত। কিন্তু সেই ব্যবসা এক সময় প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রতিষ্ঠানটি ব্যাটারি উৎপাদন শুরু করে। তখন হাতে গোনা কয়েকটি ব্র্রান্ডের ব্যাটারি উৎপাদন হতো। যেমন হক, চান্দা, অলেম্পিক ইত্যাদি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাটারির মার্কেটের প্রায় ৭৫ শতাংশ শেয়ার দখল করে আছে। এরপর ব্যাটারি অপারেটেড যেসব পণ্য আছে সেগুলো উৎপাদন শুরু করে। এরপর আসে গ্যাসলাইটসহ আরও কয়েকটি পণ্য। এর পাশাপাশি আরেকটি ফ্যাক্টেরি চালু করে। সেটার নাম কাসেম ফুড প্রডাক্ট।

সিইও মাহবুবুল আলম সংবাদকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে মার্কেট রিসার্চ করলাম। দেখলাম, চিপসের মার্কেটের প্রবৃদ্ধি খুব ভালো। এই পণ্য উৎপাদনে আমরা ভালো করতে পারব। কারণ মার্কেটে যেসব চিপস পাওয়া যায়, সেগুলো প্রকৃত পটেটো চিপস নয়। বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করে সেগুলোকে পটেটো চিপস বলে চালিয়ে দেয়া হয়। আমরাই প্রথম তৈরি করলাম প্রকৃত পটেটো চিসপ। পটেটো চিপসের প্রায় ৬০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার আমাদের। এরপর আমরা প্রন ক্যাকার্স তৈরি শুরু করলাম। এই প্রন ক্যাকার্সের মানও অনেক ভালো। প্রন ক্রাকার্সের ৬০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার আমাদের। এরপর আমরা ঘি তৈরি শুরু করি। বাজারের অন্যান্য কোম্পানি যেভাবে ঘি তৈরি করে তা দেখলে কেউই ঘি কিনবে না। কারণ এগুলো খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করা হয়। আমাদের সান ব্র্রান্ডের ঘি তৈরি করা হয় একেবারে অটোমেশিনে এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে। আমাদের প্রডাক্ট তৈরির প্রসেসটা এতোটাই স্বচ্ছ যে, সেখানে মান হ্রাসের কোন উপায় থাকে না। বাটার সংগ্রহ থেকে শুরু করে ঘিয়ের কন্টেনার কার্টনে মুড়িয়ে বের হওয়া পর্যন্ত অটোমেশনেই হয়। বাজারের অন্য ঘি তৈরির জন্য ওপেন প্লেসে দুধ জ্বাল দেয়া হয়। সেখানে কোন হাইজিন মানা হয় না। আমাদের ঘি তাদের থেকে আলাদা গুণে ও মানে।’

এছাড়া কাসেম গ্রুপের আরও অনেকগুলো পণ্য আছে যেমন মশা মারার স্প্রে, এয়ারফ্রেসনার, গ্যাস সিলিন্ডার ইত্যাদি। এসব পণ্য তৈরিতে ইউনিক স্টাইল ধরে রেখেছে কাসেম গ্রুপ। যেমন অন্যান্য এয়ারফ্রেসনার উৎপাদক কোম্পানিগুলো এক জায়গা থেকে সিলিন্ডার কিনে, আরেক জায়গা থেকে গ্যাস কিনে, তারপর আরেক জায়গা থেকে উপরে কভার করা প্লাস্টিকটা কিনে। তারপর সবগুলোকে এক জায়গায় করে এয়ারফ্রেসনার তৈরি করে। কিন্তু কাসেম গ্রুপের একটা প্রডাক্ট তৈরি করতে যতগুলো উপাদান প্রয়োজন হয়, সবগুলো তারা নিজে উৎপাদন করে। যেমন একটা এয়ারফ্রেসনার তৈরি করতে যা লাগে আমরা সবই এক সঙ্গে অটো মেশিনে দিয়ে দেয়। তারপর সবগুলো এক সঙ্গে হয়ে মূল পণ্যটি উৎপাদন হয়।

তিনি বলেন, ‘অন্যদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য, আমরা কারও কোন উপাদান নিয়ে পণ্য তৈরি করি না। পণ্যে সঙ্গে জড়িত সব উপাদান আমরা নিজেরাই তৈরি করি। কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ এই দিকে অন্য সবার চেয়ে আলাদা। আমরা গুণগতমানের সঙ্গে কোন ধরনের আপস করি না।’

কাসেম গ্রুপের সান ব্রান্ডের পানির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সান ব্রান্ডের পানি বাজারের সবার চেয়ে ভালো মান দিয়ে তৈরি করি। উত্তরবঙ্গ থেকে ভুর্গস্থ পানি সংগ্রহ করি। তারপর পানির ক্ষতিকারক অংশটুকু ফেলে বিশুদ্ধ অংশটুকু রাখি। তাই আমাদের পানিতে মিনারেল অটুট থাকে। অন্যদের পানিতে মিনারেল থাকে না। কারণ তারা প্রায় সবাই আরও (রিভার্স ওসমোসিস) পদ্ধতি ব্যবহার করে। এতে পানির সঙ্গে যে মিনারেল থাকে, সেগুলোও বের হয়ে যায়। অর্থাৎ রিভার্স ওসমোসিস পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধ হয়, এটা ঠিক, কিন্তু মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় মিনারেল থাকে না। আমাদের পানিতে সেসব মিনারেল অটুট থাকে। যে গ্রাহক একবার আমাদের সান ব্রান্ডের পানি পান করবে, সে বাজারের অন্য কোন পানি মুখে নিলেই বুঝতে পারবে পার্থক্য।’

চিপস তৈরি প্রক্রিয়ার বর্ণানা দিয়ে তিনি বলেন, ‘পটেটো চিপস উৎপাদনেও আমরা একই পদ্ধতি অবলম্বন করি। আলুর চিপস তৈরির জন্য জার্মানি থেকে আলাদা জাতের আলুর প্রয়োজন হয়। সেই আলুর বীজ আমদানি করে আমাদের নিবন্ধিত কৃষক দিয়ে চাষাবাদ করাই। তারপর তাদের কাছে সেই আলু সংগ্রহ করে চিপস বানাই। বর্তমানে আমরাই রিয়েল পটেটো চিপস তৈরি করি। বাজারে থাকা অন্য ব্রান্ডের পটেটো চিপস বলা হলেও সেগুলো প্রকৃত পটেটো চিপস নয়।’

কাসেম গ্রুপের পণ্যগুলোর মধ্যে পটেটো চিপসে ৬০ শতাংশ, প্রন ক্র্যাকার্সে ৬০ শতাংশ, গ্যাসলাইটে ৮০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে। এছাড়া নতুন পণ্যের মধ্যে সান ব্রান্ডের পানি, ঘি, সেভিংস ফোম, এয়ারফ্রেসনারসহ প্রায় ৪০টি পণ্য রয়েছে। শতভাগ গুণগত মান ও নতুনত্ব নিয়ে আগামীতে আরও পণ্য উৎপাদন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

‘শুধু ব্যবসা নয়, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ’

কাসেম গ্রুপের সিওও মাহবুবুল আলম জানালেন তাদের ব্যবসায় পরিকল্পনা

রেজাউল করিম

image

কাসেম গ্রুপের যাত্রা শুরু অনেক আগে। তখন দেশে তেমন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। কামেস গ্রুপই ১৯৮০ সালে আইএসও সার্টিফিকেট পাওয়া একমাত্র ড্রাইসেল কোম্পানি। কয়েক যুগ ধরে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসা এই প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই নিজেদের অভিনবত্ব ধরে রেখেছে। প্রতিযোগী অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যখন নিজেদের প্রচার প্রচারণায় অর্থ খরচ করতে গিয়ে মানহীন পণ্য উৎপাদন করছে, সেখানে কাসেম গ্রুপ নীরবে ‘সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা’ সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও সিইও মাহবুবুল আলমের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

শুরু থেকেই কোম্পানিটি সব সময় গুণগত মান ও নতুনত্ব ধরে রেখেছে। যখন কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করা হয় তখন দেশে সেভাবে শিল্প গড়ে উঠেনি। তখন তারা পাট রপ্তানি শুরু করে। তারাই সবচেয়ে বেশি পাট রপ্তানিকারক ছিল সেই সময়। তারপর টেক্সটাইল রপ্তানি শুরু হয়। দেশের প্রাইভেট সেক্টরের দিক দিয়ে এটিই প্রথম কোম্পানি। এর আগে কোন প্রাইভেট কোম্পানি ছিল না। টেক্সটাইল খাতে অনেকগুলো কোম্পানি ছিল প্রতিষ্ঠানটির।

মূলত কাসেম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ তখন টেক্সটাইল প্রডাক্ট উৎপাদন করত। কিন্তু সেই ব্যবসা এক সময় প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রতিষ্ঠানটি ব্যাটারি উৎপাদন শুরু করে। তখন হাতে গোনা কয়েকটি ব্র্রান্ডের ব্যাটারি উৎপাদন হতো। যেমন হক, চান্দা, অলেম্পিক ইত্যাদি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাটারির মার্কেটের প্রায় ৭৫ শতাংশ শেয়ার দখল করে আছে। এরপর ব্যাটারি অপারেটেড যেসব পণ্য আছে সেগুলো উৎপাদন শুরু করে। এরপর আসে গ্যাসলাইটসহ আরও কয়েকটি পণ্য। এর পাশাপাশি আরেকটি ফ্যাক্টেরি চালু করে। সেটার নাম কাসেম ফুড প্রডাক্ট।

সিইও মাহবুবুল আলম সংবাদকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে মার্কেট রিসার্চ করলাম। দেখলাম, চিপসের মার্কেটের প্রবৃদ্ধি খুব ভালো। এই পণ্য উৎপাদনে আমরা ভালো করতে পারব। কারণ মার্কেটে যেসব চিপস পাওয়া যায়, সেগুলো প্রকৃত পটেটো চিপস নয়। বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করে সেগুলোকে পটেটো চিপস বলে চালিয়ে দেয়া হয়। আমরাই প্রথম তৈরি করলাম প্রকৃত পটেটো চিসপ। পটেটো চিপসের প্রায় ৬০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার আমাদের। এরপর আমরা প্রন ক্যাকার্স তৈরি শুরু করলাম। এই প্রন ক্যাকার্সের মানও অনেক ভালো। প্রন ক্রাকার্সের ৬০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার আমাদের। এরপর আমরা ঘি তৈরি শুরু করি। বাজারের অন্যান্য কোম্পানি যেভাবে ঘি তৈরি করে তা দেখলে কেউই ঘি কিনবে না। কারণ এগুলো খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করা হয়। আমাদের সান ব্র্রান্ডের ঘি তৈরি করা হয় একেবারে অটোমেশিনে এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে। আমাদের প্রডাক্ট তৈরির প্রসেসটা এতোটাই স্বচ্ছ যে, সেখানে মান হ্রাসের কোন উপায় থাকে না। বাটার সংগ্রহ থেকে শুরু করে ঘিয়ের কন্টেনার কার্টনে মুড়িয়ে বের হওয়া পর্যন্ত অটোমেশনেই হয়। বাজারের অন্য ঘি তৈরির জন্য ওপেন প্লেসে দুধ জ্বাল দেয়া হয়। সেখানে কোন হাইজিন মানা হয় না। আমাদের ঘি তাদের থেকে আলাদা গুণে ও মানে।’

এছাড়া কাসেম গ্রুপের আরও অনেকগুলো পণ্য আছে যেমন মশা মারার স্প্রে, এয়ারফ্রেসনার, গ্যাস সিলিন্ডার ইত্যাদি। এসব পণ্য তৈরিতে ইউনিক স্টাইল ধরে রেখেছে কাসেম গ্রুপ। যেমন অন্যান্য এয়ারফ্রেসনার উৎপাদক কোম্পানিগুলো এক জায়গা থেকে সিলিন্ডার কিনে, আরেক জায়গা থেকে গ্যাস কিনে, তারপর আরেক জায়গা থেকে উপরে কভার করা প্লাস্টিকটা কিনে। তারপর সবগুলোকে এক জায়গায় করে এয়ারফ্রেসনার তৈরি করে। কিন্তু কাসেম গ্রুপের একটা প্রডাক্ট তৈরি করতে যতগুলো উপাদান প্রয়োজন হয়, সবগুলো তারা নিজে উৎপাদন করে। যেমন একটা এয়ারফ্রেসনার তৈরি করতে যা লাগে আমরা সবই এক সঙ্গে অটো মেশিনে দিয়ে দেয়। তারপর সবগুলো এক সঙ্গে হয়ে মূল পণ্যটি উৎপাদন হয়।

তিনি বলেন, ‘অন্যদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য, আমরা কারও কোন উপাদান নিয়ে পণ্য তৈরি করি না। পণ্যে সঙ্গে জড়িত সব উপাদান আমরা নিজেরাই তৈরি করি। কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ এই দিকে অন্য সবার চেয়ে আলাদা। আমরা গুণগতমানের সঙ্গে কোন ধরনের আপস করি না।’

কাসেম গ্রুপের সান ব্রান্ডের পানির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সান ব্রান্ডের পানি বাজারের সবার চেয়ে ভালো মান দিয়ে তৈরি করি। উত্তরবঙ্গ থেকে ভুর্গস্থ পানি সংগ্রহ করি। তারপর পানির ক্ষতিকারক অংশটুকু ফেলে বিশুদ্ধ অংশটুকু রাখি। তাই আমাদের পানিতে মিনারেল অটুট থাকে। অন্যদের পানিতে মিনারেল থাকে না। কারণ তারা প্রায় সবাই আরও (রিভার্স ওসমোসিস) পদ্ধতি ব্যবহার করে। এতে পানির সঙ্গে যে মিনারেল থাকে, সেগুলোও বের হয়ে যায়। অর্থাৎ রিভার্স ওসমোসিস পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধ হয়, এটা ঠিক, কিন্তু মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় মিনারেল থাকে না। আমাদের পানিতে সেসব মিনারেল অটুট থাকে। যে গ্রাহক একবার আমাদের সান ব্রান্ডের পানি পান করবে, সে বাজারের অন্য কোন পানি মুখে নিলেই বুঝতে পারবে পার্থক্য।’

চিপস তৈরি প্রক্রিয়ার বর্ণানা দিয়ে তিনি বলেন, ‘পটেটো চিপস উৎপাদনেও আমরা একই পদ্ধতি অবলম্বন করি। আলুর চিপস তৈরির জন্য জার্মানি থেকে আলাদা জাতের আলুর প্রয়োজন হয়। সেই আলুর বীজ আমদানি করে আমাদের নিবন্ধিত কৃষক দিয়ে চাষাবাদ করাই। তারপর তাদের কাছে সেই আলু সংগ্রহ করে চিপস বানাই। বর্তমানে আমরাই রিয়েল পটেটো চিপস তৈরি করি। বাজারে থাকা অন্য ব্রান্ডের পটেটো চিপস বলা হলেও সেগুলো প্রকৃত পটেটো চিপস নয়।’

কাসেম গ্রুপের পণ্যগুলোর মধ্যে পটেটো চিপসে ৬০ শতাংশ, প্রন ক্র্যাকার্সে ৬০ শতাংশ, গ্যাসলাইটে ৮০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে। এছাড়া নতুন পণ্যের মধ্যে সান ব্রান্ডের পানি, ঘি, সেভিংস ফোম, এয়ারফ্রেসনারসহ প্রায় ৪০টি পণ্য রয়েছে। শতভাগ গুণগত মান ও নতুনত্ব নিয়ে আগামীতে আরও পণ্য উৎপাদন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।