আ’লীগ-বিএনপির মেয়র প্রার্থীর দুই প্রতিশ্রুতি

আসন্ন চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদকের বিরুদ্ধে আমি সবসময় জনগণকে নিয়ে মাঠে ছিলাম। রাজপথে এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। মেয়র হয়ে রাজপথ ও প্রশাসনিক দপ্তরের শক্তি দিয়ে মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত চট্টগ্রাম গড়ে তোলা অসম্ভব কিছু নয়। তিনি বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রাম সিটির মেয়র নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত ব্যবসাবান্ধব নগর গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল দুপুরে বহদ্দারহাটের স্বজন সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। চট্টগ্রামের মানুষের দেখভাল করার জন্য তিনি আমার ওপর আস্থা রেখে দায়িত্ব দিতে চান। মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করতে তিনি নৌকা প্রতীক দিয়ে আমাকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন।

নগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক আহমদুর রহমান সিদ্দীকি, মোহাম্মদ শাহজাহান সুফি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। কল্যাণ সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর সিকদারের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন আবুল কাশেম, মো. এখতেয়ার হোসেন, দিদারুল আলম, খোরশেদ আলম, মো. শাহ আলম, মো. মামুন খলিফা, মো. আবদুর রশিদ, হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, মশকনিধন, বর্জ্য অপসারণ, যানজট, জলাবদ্ধতা, পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত যতো নাগরিক সমস্যা আছে তা সব শ্রেণীর প্রতিনিধির পরামর্শক্রমে সমম্বিত পরিকল্পনায় দূর করতে আমি প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে কাজ করে যাব।

এদিকে চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। জনগণের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিমুক্ত রাখাই আমাদের কাছে মুখ্য। চট্টগ্রাম এখন করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে, এটি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামে ক্যান্সার রোগীও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই চট্টগ্রামবাসীর নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি শহরের জন্য আমরা জনগণের দল হিসেবে জনগণের পাশে আছি এবং থাকব। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে ইনশাআল্লাহ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে একটি আধুনিক বিশেষায়িত করোনা মহামারী হাসপাতাল এবং একটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করব। তিনি গতকাল দুপুরে নগরীর ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন। 

পাহাড়তলী আমবাগান জনতা ব্যাংকের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে ফ্লোরাপাস রোড, সরদার নগর, ঝাউতলা বাজার, ঝাউতলা কলোনি, ওয়্যালেস মোড় হয়ে সেগুন বাগান এলাকায় এসে পথসভায় মিলিত হন। এর আগে তিনি ওয়্যালেস মোড়ে ধানের শীষ প্রতীক ও কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম দুলালের ঘুড়ি প্রতীক এবং মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ছখিনা বেগমের মোবাইল প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন। তিনি এ সময় এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নেতাকর্মীরা এলাকার সাধারণ জনগণের কাছে বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।

এ সময় ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চসিকের অধীনে নগরীতে যে ৫৬টি স্বাস্থকেন্দ্র এবং ৫টি হাসপাতাল রয়েছে সেগুলোকে উন্নত, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও সংস্কার করার পাশাপাশি প্রতিটা ওয়ার্ডে মা, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য রোগ নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, শিশুদের জন্য ৬/৭ বেডের এনআইসিও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে মা ও শিশুদের উন্নত সেবার পাশাপশি বয়স্কদের বাত-ব্যাথাসহ নানা রোগের চিকিৎসা নিজ এলাকায় পেতে পারেন। একই সঙ্গে প্রতি ওয়ার্ডে একটি আইসোলেশন সেন্টার করে সেগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার ও হাইফ্লো অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারলে করোনা রোগীদের দুর্ভোগ কমে যাবে। করোনা চলে গেলেও এসব সেন্টারে অন্যান্য মহামারীর চিকিৎসা করা যাবে।

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

চসিক নির্বাচন : চলছে প্রচার

আ’লীগ-বিএনপির মেয়র প্রার্থীর দুই প্রতিশ্রুতি

নিরুপম দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম ব্যুরো

আসন্ন চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদকের বিরুদ্ধে আমি সবসময় জনগণকে নিয়ে মাঠে ছিলাম। রাজপথে এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। মেয়র হয়ে রাজপথ ও প্রশাসনিক দপ্তরের শক্তি দিয়ে মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত চট্টগ্রাম গড়ে তোলা অসম্ভব কিছু নয়। তিনি বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রাম সিটির মেয়র নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত ব্যবসাবান্ধব নগর গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল দুপুরে বহদ্দারহাটের স্বজন সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। চট্টগ্রামের মানুষের দেখভাল করার জন্য তিনি আমার ওপর আস্থা রেখে দায়িত্ব দিতে চান। মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করতে তিনি নৌকা প্রতীক দিয়ে আমাকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন।

নগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক আহমদুর রহমান সিদ্দীকি, মোহাম্মদ শাহজাহান সুফি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। কল্যাণ সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর সিকদারের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন আবুল কাশেম, মো. এখতেয়ার হোসেন, দিদারুল আলম, খোরশেদ আলম, মো. শাহ আলম, মো. মামুন খলিফা, মো. আবদুর রশিদ, হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, মশকনিধন, বর্জ্য অপসারণ, যানজট, জলাবদ্ধতা, পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত যতো নাগরিক সমস্যা আছে তা সব শ্রেণীর প্রতিনিধির পরামর্শক্রমে সমম্বিত পরিকল্পনায় দূর করতে আমি প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে কাজ করে যাব।

এদিকে চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। জনগণের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিমুক্ত রাখাই আমাদের কাছে মুখ্য। চট্টগ্রাম এখন করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে, এটি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামে ক্যান্সার রোগীও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই চট্টগ্রামবাসীর নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি শহরের জন্য আমরা জনগণের দল হিসেবে জনগণের পাশে আছি এবং থাকব। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে ইনশাআল্লাহ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে একটি আধুনিক বিশেষায়িত করোনা মহামারী হাসপাতাল এবং একটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করব। তিনি গতকাল দুপুরে নগরীর ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন। 

পাহাড়তলী আমবাগান জনতা ব্যাংকের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে ফ্লোরাপাস রোড, সরদার নগর, ঝাউতলা বাজার, ঝাউতলা কলোনি, ওয়্যালেস মোড় হয়ে সেগুন বাগান এলাকায় এসে পথসভায় মিলিত হন। এর আগে তিনি ওয়্যালেস মোড়ে ধানের শীষ প্রতীক ও কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম দুলালের ঘুড়ি প্রতীক এবং মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ছখিনা বেগমের মোবাইল প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন। তিনি এ সময় এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নেতাকর্মীরা এলাকার সাধারণ জনগণের কাছে বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।

এ সময় ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চসিকের অধীনে নগরীতে যে ৫৬টি স্বাস্থকেন্দ্র এবং ৫টি হাসপাতাল রয়েছে সেগুলোকে উন্নত, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও সংস্কার করার পাশাপাশি প্রতিটা ওয়ার্ডে মা, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য রোগ নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, শিশুদের জন্য ৬/৭ বেডের এনআইসিও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে মা ও শিশুদের উন্নত সেবার পাশাপশি বয়স্কদের বাত-ব্যাথাসহ নানা রোগের চিকিৎসা নিজ এলাকায় পেতে পারেন। একই সঙ্গে প্রতি ওয়ার্ডে একটি আইসোলেশন সেন্টার করে সেগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার ও হাইফ্লো অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারলে করোনা রোগীদের দুর্ভোগ কমে যাবে। করোনা চলে গেলেও এসব সেন্টারে অন্যান্য মহামারীর চিকিৎসা করা যাবে।