নতুন বইয়ের স্পর্শে আলো আসুক ফিরে

করোনা মহামারীর মধ্যেও এবার বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ শুরু হয়। রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্কুলে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দিচ্ছেন শিক্ষকরা। তবে প্রতি বছরের মতো নয় এবারের উৎসব। প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে নতুন বই। আর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে একদিনে বই দেয়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শিক্ষার্থীদের ভাগ করে ধাপে ধাপে দেয়া হচ্ছে নতুন বই।

২০২১ সালেও বই উৎসব পালিত হয়েছে, তবে ভিন্নরূপে, ভিন্ন মাত্রায়। বই পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছিল না উল্লাস। চোখে-মুখে ছিল ভয় ও বিষণœতা। নতুন বইয়ের ঘ্রাণেও যেন মহামারীর গন্ধ ভাসে। কিন্তু এই ঘ্রাণ পূর্ববর্তী বছরে শিক্ষার্থীদের কাছে সমাদৃত হতো নতুন বইয়ের স্বাদ, নতুন প্রেরণা হিসেবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সর্বমোট পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যা ১০ কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৫টি। এর মধ্যে প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীর জন্য ২ কোটি ৫৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৭১টি বই, তৃতীয়-চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ কোটি ৯৬ লাখ, ৯৭ হাজার ৩৭৪টি। তাছাড়া মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৪ কোটি ৩৩ লাখ ৩৪ হাজার কপি বই মুদ্রণ করার কাজ চলমান রয়েছে। এটাই প্রত্যাশা করি যে, আঁধার কেটে আলো আসুক, নতুন বইয়ের গন্ধে শিক্ষার্থীরা মেতে উঠুক জ্ঞান অর্জনে।

জসীম উদ্দিন

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

নতুন বইয়ের স্পর্শে আলো আসুক ফিরে

image

করোনা মহামারীর মধ্যেও এবার বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ শুরু হয়। রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্কুলে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দিচ্ছেন শিক্ষকরা। তবে প্রতি বছরের মতো নয় এবারের উৎসব। প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে নতুন বই। আর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে একদিনে বই দেয়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শিক্ষার্থীদের ভাগ করে ধাপে ধাপে দেয়া হচ্ছে নতুন বই।

২০২১ সালেও বই উৎসব পালিত হয়েছে, তবে ভিন্নরূপে, ভিন্ন মাত্রায়। বই পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছিল না উল্লাস। চোখে-মুখে ছিল ভয় ও বিষণœতা। নতুন বইয়ের ঘ্রাণেও যেন মহামারীর গন্ধ ভাসে। কিন্তু এই ঘ্রাণ পূর্ববর্তী বছরে শিক্ষার্থীদের কাছে সমাদৃত হতো নতুন বইয়ের স্বাদ, নতুন প্রেরণা হিসেবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সর্বমোট পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যা ১০ কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৫টি। এর মধ্যে প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীর জন্য ২ কোটি ৫৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৭১টি বই, তৃতীয়-চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ কোটি ৯৬ লাখ, ৯৭ হাজার ৩৭৪টি। তাছাড়া মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৪ কোটি ৩৩ লাখ ৩৪ হাজার কপি বই মুদ্রণ করার কাজ চলমান রয়েছে। এটাই প্রত্যাশা করি যে, আঁধার কেটে আলো আসুক, নতুন বইয়ের গন্ধে শিক্ষার্থীরা মেতে উঠুক জ্ঞান অর্জনে।

জসীম উদ্দিন