প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থিতা

পদোন্নতি বা বিভাগীয় প্রার্থিতার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের যোগ্য, কর্মঠ ও মেধাবীদের অভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতা পর্যায়ক্রমে সেই বিভাগের উচ্চ পদগুলোতে বিনিয়োগ করা গেলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জন ত্বরান্বিত হয়। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত তিন লাখের বেশি সহকারী শিক্ষক মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে পাঠদানের বাইরেও সরকারি অনেক কাজের দায়িত্বে তাদের সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে আসছেন।

চলমান করোনা ক্রান্তিকালে বিদ্যালয় বন্ধ হলেও থেমে নেই তাদের কর্মতৎপরতা। কিন্তু শত ব্যস্ততায় আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকলেও সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য অভিন্ন খসড়া নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের জন্য সুযোগ বহাল রেখে সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ইউআরসি ও পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদে পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ বাদ দেয়া হয়েছে।

এমনিতেই প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতি সোনার হরিণ সমতুল্য। তার ওপর বিভাগীয় প্রার্থিতার সুযোগ থেকেও যদি বঞ্চিত করা হয় তবে তা হবে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। অন্যান্য সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি বা বিভাগীয় প্রার্থিতার মাধ্যমে যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মীদের অভিজ্ঞতা সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমৃদ্ধিতে কাজে লাগানো হলেও প্রাথমিকে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে যোগদান করে মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকার পরও সেই পদের তকমা নিয়েই অবসরে যেতে হচ্ছে। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শিক্ষকরাই বড় কুশীলব। তাই, খসড়া নিয়োগবিধি সংশোধনপূর্বক উপর্যুক্ত পদগুলোতে মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থিতার সুযোগ প্রদানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কাম্য।

আবু ফারুক

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থিতা

পদোন্নতি বা বিভাগীয় প্রার্থিতার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের যোগ্য, কর্মঠ ও মেধাবীদের অভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতা পর্যায়ক্রমে সেই বিভাগের উচ্চ পদগুলোতে বিনিয়োগ করা গেলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জন ত্বরান্বিত হয়। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত তিন লাখের বেশি সহকারী শিক্ষক মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে পাঠদানের বাইরেও সরকারি অনেক কাজের দায়িত্বে তাদের সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে আসছেন।

চলমান করোনা ক্রান্তিকালে বিদ্যালয় বন্ধ হলেও থেমে নেই তাদের কর্মতৎপরতা। কিন্তু শত ব্যস্ততায় আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকলেও সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য অভিন্ন খসড়া নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের জন্য সুযোগ বহাল রেখে সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ইউআরসি ও পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদে পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ বাদ দেয়া হয়েছে।

এমনিতেই প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতি সোনার হরিণ সমতুল্য। তার ওপর বিভাগীয় প্রার্থিতার সুযোগ থেকেও যদি বঞ্চিত করা হয় তবে তা হবে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। অন্যান্য সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি বা বিভাগীয় প্রার্থিতার মাধ্যমে যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মীদের অভিজ্ঞতা সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমৃদ্ধিতে কাজে লাগানো হলেও প্রাথমিকে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে যোগদান করে মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকার পরও সেই পদের তকমা নিয়েই অবসরে যেতে হচ্ছে। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শিক্ষকরাই বড় কুশীলব। তাই, খসড়া নিয়োগবিধি সংশোধনপূর্বক উপর্যুক্ত পদগুলোতে মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থিতার সুযোগ প্রদানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কাম্য।

আবু ফারুক