উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে বিদায় নিল ২০২০ সাল! ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি আলোচিত শব্দ করোনাভাইরাস। করোনা মহামারী কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বিশ্বজুড়ে ৮ কোটির মাইলফলক ছাড়িয়েছে সংক্রমণ। বেশ কয়েকটি দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ লেগেছে।

দেশে আমরা হারিয়েছি অনেক গুণীজনকে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে দেশের পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ। থমকে গেছে দেশের মানুষের জীবন, হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সহজ নয়। গত ১৭ মার্চ বন্ধ হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো খোলা সম্ভব হয়নি, শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে।

২০২০ সালের অন্যতম ইতিবাচক খবর, নিজস্ব অর্থায়নে সোয়া ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ করছে বাংলাদেশ। এটি দেশের জন্য একটি মাইলফলক। আরও একটি ইতিবাচক দিক হলো, করোনাভাইরাসের কারণে সব খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক অবস্থানেই আছে।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রাথমিক এ তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে বছরটিতে নেতিবাচকের দিকের তুলনায় ইতিবাচক দিক নিতান্তই কম।

ভ্যাকসিন চলে আসায় করোনাভাইরাস সংকট থেকে পরিত্রাণের একটা আশাবাদ তৈরি হয়েছে। যত শীঘ্রই পারা যায় ভ্যাকসিনটি দেশের মানুষের নাগালে নিয়ে আসতে হবে, পাশাপাশি সচেতনতাও বজায় রাখতে হবে। করোনার কারণে শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ যেসব সেক্টর পিছিয়ে পড়েছে, কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

আমজাদ হোসেন হৃদয়