সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোক নিরাপদ

বিশ্বজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করে দিয়েছে। মানুষ তার আবেগ-অনুভূতি কিংবা অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে। এ মাধ্যমের সবচেয়ে বড় সাফল্য জনমত তৈরি করা। কেউ দুর্নীতি বা কোন অন্যায় করলে এ মাধ্যমে সবাই প্রতিবাদ জানায়। আগে যে কাজ এক মাসেরও বেশি সময় লাগতো এখন সেটা হয়ে যাচ্ছে নিমিষেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেমন মানুষের উপকার হয় তেমনি এগুলোই আবার কখনও কখনও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাবা-মা অজ্ঞতাবশত স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেন। এতে উপকার হওয়ার চাইতে ক্ষতিই বেশি হয়। করোনার দুর্যোগে অনেকেই অনলাইন ক্লাসের নাম করে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে।

বন্ধুবান্ধব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট খুলে ভার্চুয়াল বন্ধুবান্ধব তৈরি করছে। রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সক্রিয় থাকার ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। মোবাইল ফোন আর কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য চোখ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি মেরুদণ্ডের ব্যথা হতে পারে। হতে পারে ঘুমের সমস্যাও।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তির কারণে শিশুরা অন্তর্মুখী হয়ে যাওয়াসহ আচরণগত অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। শিশুরা পিতামাতা, ভাইবোনের চেয়ে ফেসবুক বন্ধুদের প্রতি বেশি নির্ভরশীল হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোন সমস্যার কথা শেয়ার করতে চায় না, বরং তাদের ফেসবুক বন্ধুদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করতে চায়। ফলে পরিবারের মধ্যে বন্ধন শিথিল হয়ে যায়।

প্রযুক্তির ব্যবহারে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের সঙ্গে বন্ধুর মতো ব্যবহার করতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে আপনি তার সবচেয়ে বড় শুভাকাক্সক্ষী। আপনার সঙ্গে সন্তান যেন সবসময় যোগাযোগ করতে পারে সেধরনের পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

অনেক বাবা-মা অর্থবিত্তের পেছনে ছুটতে গিয়ে সন্তানদের সময় দেন না। এর ফলে সন্তানেরা নিজের জগৎ তৈরি করে, যেখানে ফেসবুক বা ক্লাসের বন্ধুরা হয়ে উঠে তার অত্যন্ত আপনজন।

বন্ধুত্ব গড়ে তোলা খারাপ কিছু নয়, তবে অনেক সময় অসৎ সঙ্গে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য পিতামাতার উচিত সবসময় সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখা। শিশুরা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করে। তাই মাঝে মধ্যে বা স্কুল ছুটির সময় একসঙ্গে সময় কাটানোর ব্যবস্থা হিসেবে পিকনিকের আয়োজন করা যেতে পারে।

মোহাম্মদ হাসান

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোক নিরাপদ

বিশ্বজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করে দিয়েছে। মানুষ তার আবেগ-অনুভূতি কিংবা অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে। এ মাধ্যমের সবচেয়ে বড় সাফল্য জনমত তৈরি করা। কেউ দুর্নীতি বা কোন অন্যায় করলে এ মাধ্যমে সবাই প্রতিবাদ জানায়। আগে যে কাজ এক মাসেরও বেশি সময় লাগতো এখন সেটা হয়ে যাচ্ছে নিমিষেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেমন মানুষের উপকার হয় তেমনি এগুলোই আবার কখনও কখনও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাবা-মা অজ্ঞতাবশত স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেন। এতে উপকার হওয়ার চাইতে ক্ষতিই বেশি হয়। করোনার দুর্যোগে অনেকেই অনলাইন ক্লাসের নাম করে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে।

বন্ধুবান্ধব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট খুলে ভার্চুয়াল বন্ধুবান্ধব তৈরি করছে। রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সক্রিয় থাকার ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। মোবাইল ফোন আর কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য চোখ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি মেরুদণ্ডের ব্যথা হতে পারে। হতে পারে ঘুমের সমস্যাও।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তির কারণে শিশুরা অন্তর্মুখী হয়ে যাওয়াসহ আচরণগত অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। শিশুরা পিতামাতা, ভাইবোনের চেয়ে ফেসবুক বন্ধুদের প্রতি বেশি নির্ভরশীল হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোন সমস্যার কথা শেয়ার করতে চায় না, বরং তাদের ফেসবুক বন্ধুদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করতে চায়। ফলে পরিবারের মধ্যে বন্ধন শিথিল হয়ে যায়।

প্রযুক্তির ব্যবহারে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের সঙ্গে বন্ধুর মতো ব্যবহার করতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে আপনি তার সবচেয়ে বড় শুভাকাক্সক্ষী। আপনার সঙ্গে সন্তান যেন সবসময় যোগাযোগ করতে পারে সেধরনের পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

অনেক বাবা-মা অর্থবিত্তের পেছনে ছুটতে গিয়ে সন্তানদের সময় দেন না। এর ফলে সন্তানেরা নিজের জগৎ তৈরি করে, যেখানে ফেসবুক বা ক্লাসের বন্ধুরা হয়ে উঠে তার অত্যন্ত আপনজন।

বন্ধুত্ব গড়ে তোলা খারাপ কিছু নয়, তবে অনেক সময় অসৎ সঙ্গে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য পিতামাতার উচিত সবসময় সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখা। শিশুরা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করে। তাই মাঝে মধ্যে বা স্কুল ছুটির সময় একসঙ্গে সময় কাটানোর ব্যবস্থা হিসেবে পিকনিকের আয়োজন করা যেতে পারে।

মোহাম্মদ হাসান