সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে আমজেদ গাজী নামের একজন বয়স্ক কৃষক নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে দেয়াড়া-ভাটপাড়া গ্রামের নিকটস্থ বিলে এঘটনা ঘটে। আমজেদ গাজী ওই গ্রামের ওমর আলী গাজীর ছেলে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বিলের একখ- জমি নিয়ে আমজেদ গাজীর সঙ্গে প্রতিবেশি আনসার গাজীর বিরোধ চলছিল। দেওয়ানী আদালতে এ নিয়ে মামলা রয়েছে। মাস দুয়েক আগে ওই জমির ওপর আমজেদ গাজীর আবেদনে আদালতের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারী হয়। সম্প্রতি আনসার গাজীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের মাধ্যমে ১৪৫ ধারা জারী হলে জমির দখলে যান আনসার গাজী। গতকাল সকালে ১৪৫ ধারা উপেক্ষা করে জমি চাষ করতে গেলে আমজেদ গাজীকে বাঁধা দেন আনসার গাজী। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের একপর্যায়ে আনসার গাজী আমজেদ গাজীর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে মারা যান আমজেদ গাজী।
কলারোয়া থানার ওসি খায়রুল ইসলাম জানান পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এছাড়া হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আনসার গাজী, তার স্ত্রী ফুলমতি, তাদের ছোট পুত্রবধূ রিক্তা খাতুন ও সেজ পুত্রবধূ সায়মা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি বলে জানান ওসি।
বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১ , ৩০ পৌষ ১৪২৭, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে আমজেদ গাজী নামের একজন বয়স্ক কৃষক নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে দেয়াড়া-ভাটপাড়া গ্রামের নিকটস্থ বিলে এঘটনা ঘটে। আমজেদ গাজী ওই গ্রামের ওমর আলী গাজীর ছেলে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বিলের একখ- জমি নিয়ে আমজেদ গাজীর সঙ্গে প্রতিবেশি আনসার গাজীর বিরোধ চলছিল। দেওয়ানী আদালতে এ নিয়ে মামলা রয়েছে। মাস দুয়েক আগে ওই জমির ওপর আমজেদ গাজীর আবেদনে আদালতের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারী হয়। সম্প্রতি আনসার গাজীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের মাধ্যমে ১৪৫ ধারা জারী হলে জমির দখলে যান আনসার গাজী। গতকাল সকালে ১৪৫ ধারা উপেক্ষা করে জমি চাষ করতে গেলে আমজেদ গাজীকে বাঁধা দেন আনসার গাজী। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের একপর্যায়ে আনসার গাজী আমজেদ গাজীর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে মারা যান আমজেদ গাজী।
কলারোয়া থানার ওসি খায়রুল ইসলাম জানান পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এছাড়া হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আনসার গাজী, তার স্ত্রী ফুলমতি, তাদের ছোট পুত্রবধূ রিক্তা খাতুন ও সেজ পুত্রবধূ সায়মা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি বলে জানান ওসি।