বেপরোয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করুন

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে। বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের এসব নাগরিক বিভিন্ন ক্যাম্পে অর্থ লেনদেন ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ বছরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিরুদ্ধে ১২ ধরনের অপরাধে ৭৩১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে অস্ত্র, মাদক, মানব পাচার, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতি, হত্যা।

যতই দিন যাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ বাড়ছে। মানবিক চিন্তা থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হলেও তারা এখন নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক শ্রেণীর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কারণে সেখানকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিরোধ ঘটছে। রোহিঙ্গাদের হামলায় স্থানীয়রা নিহত হয়েছেন। ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন তাদের হামলায়। এখনই এদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।

প্রশ্ন হলো- শরণার্থী রোহিঙ্গারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে কেন? এর পেছনের কারণ কি? অভিযোগ রয়েছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের কোন প্রশ্রয়দাতা আছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের যারা উসকানি দিচ্ছে, যারা অস্ত্র ও মাদক সরবরাহ করছে, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে।

বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় শরণার্থীরা যে ক্যাম্পগুলোতে থাকে সেগুলো একটা সংরক্ষিত জায়গায় থাকে। চারদিকে বেড়া থাকে। কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে তেমন ব্যবস্থা নেই। এ কারণেই পাহাড়-বেষ্টিত এলাকায় রোহিঙ্গারা নির্বিঘেœ যেখানে সেখানে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই সংরক্ষিত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১ , ৩০ পৌষ ১৪২৭, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

বেপরোয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করুন

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে। বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের এসব নাগরিক বিভিন্ন ক্যাম্পে অর্থ লেনদেন ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ বছরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিরুদ্ধে ১২ ধরনের অপরাধে ৭৩১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে অস্ত্র, মাদক, মানব পাচার, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতি, হত্যা।

যতই দিন যাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ বাড়ছে। মানবিক চিন্তা থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হলেও তারা এখন নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক শ্রেণীর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কারণে সেখানকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিরোধ ঘটছে। রোহিঙ্গাদের হামলায় স্থানীয়রা নিহত হয়েছেন। ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন তাদের হামলায়। এখনই এদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।

প্রশ্ন হলো- শরণার্থী রোহিঙ্গারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে কেন? এর পেছনের কারণ কি? অভিযোগ রয়েছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের কোন প্রশ্রয়দাতা আছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের যারা উসকানি দিচ্ছে, যারা অস্ত্র ও মাদক সরবরাহ করছে, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে।

বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় শরণার্থীরা যে ক্যাম্পগুলোতে থাকে সেগুলো একটা সংরক্ষিত জায়গায় থাকে। চারদিকে বেড়া থাকে। কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে তেমন ব্যবস্থা নেই। এ কারণেই পাহাড়-বেষ্টিত এলাকায় রোহিঙ্গারা নির্বিঘেœ যেখানে সেখানে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই সংরক্ষিত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে।