করোনায় শিক্ষার ক্ষতি
পুরো একটি শিক্ষাবর্ষ শিক্ষার্থীরা সশরীরে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডির বাইরে রয়েছে। যদিও অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু শুরু থেকেই নতুন এই প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে শিক্ষকদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার আগ্রহ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে অস্বাভাবিক এক দূরত্ব।
করোনার কারণে শিক্ষার যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না? নানাভাবে আমরা এই ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছি। অনলাইন ও ক্যাবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে বার্ষিক যাচাই এবং সর্বোপরি অটো প্রমোশন। এভাবে হয়তো শিক্ষার স্বাভাবিক গতি বজায় থাকবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের গুণগত উন্নয়ন ঘটবে না।
যে শিশুদের নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মেতে থাকার কথা, তাদের হাতে এখন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ? তারা যেন নতুন এক ভার্চুয়াল জগতে ভেসে বেড়াচ্ছে।
অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থায় খুব একটা আশাব্যঞ্জক সাফল্য লাভ হয়নি। একটি জাতীয় দৈনিকের তথ্য মতে, অনলাইন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত দেশের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী। শহুরে শিক্ষার্থীরা এই সুযোগের আওতাধীন হলেও গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা এ থেকে পুরোপুরি বাইরে। অনেকেরই নেই স্মার্টফোন, ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক। গ্রাম, চর, হাওর অথবা দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল শিক্ষা সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। দুর্বল ইন্টারনেট ও ইন্টারনেটের উচ্চমূল্যের কথা বলা বাহুল্য।
এরপরও ভার্চুয়াল ক্লাসের মাধ্যমে ইতিবাচক সাফল্য নিশ্চিতভাবেই হয়েছে। এর ফলে সামান্য হলেও পড়াশোনার সংস্পর্শে আছে অধিকাংশ শিক্ষার্থী। বিকল্প উপায়ে পাঠদানের এ উদ্যোগ প্রাসঙ্গিক। কিন্তু এই পাঠদান প্রক্রিয়া কখনোই শ্রেণীকক্ষের সক্রিয় পাঠদানের সমান কার্যকর নয়।
আহসান হাবীব,
শিক্ষার্থী, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বেসরকারি ব্যাংকে
এফডিআর বিড়ম্বনা
গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে ইস্টার্ণ ব্যাংক প্রিন্সিপাল শাখায় ২০ লাখ টাকার একটি এফ ডি আর ভাঙ্গিয়েছি। এর পনের পরও আমার একাউন্টে লাভ তো দূরের কথা মূল টাকাও জমা হয়নি। আমার মূল একাউন্টটি উক্ত ব্যাংকের বংশাল শাখায়। আমি প্রিন্সিপাল ও বংশাল উভয় শাখায় যোগাযোগ করেছি।
কিন্তু ব্যাংকের কর্মকর্তারা কেউই বলতে পারছে না আমার টাকাটা কোথায়? ৬ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় এফ ডি আরের টাকার হদিস না পেয়ে ব্যাংক হতে স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করি। সেখানেও ১৫ দিন পর এফ ডি আরের টাকা জমা না হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পাশাপাশি ইস্টার্ন ব্যাংকের হেড অফিসে অভিযোগ করি। অভিযোগের পর ওই দিনই দুপুরে এফ ডি আরের সম্পূর্ণ টাকা আমার একাউন্টে জমা হয় এবং আমি মোবাইলে ম্যাসেজ পাই। এতদিনের মানসিক যন্ত্রণা ও দুশ্চিন্তা হতে মুহূর্তেই মুক্তি পেলাম।
প্রশ্ন হলো, এফ ডি আরের টাকা এতদিন কোথায় ছিল এবং কার কাছে ছিল? টাকাটা আত্মসাৎ করার কোন-চক্রান্ত হয়েছিল কি না-তা জানা যায়নি। এত টাকা গায়েব বা আত্মসাৎ হয়ে গিয়েছে এই ভয়ে আমার রাতে ঘুম হতো না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং খেয়ালীপনা আমাকে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে।
আজকাল ব্যাংকে টাকা রাখাটা যে নিরাপদ নয়, এ ধরনের প্রতারণা ও হয়রানি থেকে অনুধাবন করছি। কিছু সংখ্যক অসৎ ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য দেশের সার্বিক ব্যাংকগুলোর অবস্থা বেহাল। এ ধরনের সার্ভিসের মাধ্যমে ব্যাংকের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়ে থাকে। আশা করি এফডিআর-সংক্রান্ত অভিযোগটি আমলে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইবিএল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
ঢাকা।
শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১ মাঘ ১৪২৭, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪২
করোনায় শিক্ষার ক্ষতি
পুরো একটি শিক্ষাবর্ষ শিক্ষার্থীরা সশরীরে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডির বাইরে রয়েছে। যদিও অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু শুরু থেকেই নতুন এই প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে শিক্ষকদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার আগ্রহ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে অস্বাভাবিক এক দূরত্ব।
করোনার কারণে শিক্ষার যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না? নানাভাবে আমরা এই ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছি। অনলাইন ও ক্যাবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে বার্ষিক যাচাই এবং সর্বোপরি অটো প্রমোশন। এভাবে হয়তো শিক্ষার স্বাভাবিক গতি বজায় থাকবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের গুণগত উন্নয়ন ঘটবে না।
যে শিশুদের নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মেতে থাকার কথা, তাদের হাতে এখন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ? তারা যেন নতুন এক ভার্চুয়াল জগতে ভেসে বেড়াচ্ছে।
অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থায় খুব একটা আশাব্যঞ্জক সাফল্য লাভ হয়নি। একটি জাতীয় দৈনিকের তথ্য মতে, অনলাইন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত দেশের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী। শহুরে শিক্ষার্থীরা এই সুযোগের আওতাধীন হলেও গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা এ থেকে পুরোপুরি বাইরে। অনেকেরই নেই স্মার্টফোন, ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক। গ্রাম, চর, হাওর অথবা দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল শিক্ষা সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। দুর্বল ইন্টারনেট ও ইন্টারনেটের উচ্চমূল্যের কথা বলা বাহুল্য।
এরপরও ভার্চুয়াল ক্লাসের মাধ্যমে ইতিবাচক সাফল্য নিশ্চিতভাবেই হয়েছে। এর ফলে সামান্য হলেও পড়াশোনার সংস্পর্শে আছে অধিকাংশ শিক্ষার্থী। বিকল্প উপায়ে পাঠদানের এ উদ্যোগ প্রাসঙ্গিক। কিন্তু এই পাঠদান প্রক্রিয়া কখনোই শ্রেণীকক্ষের সক্রিয় পাঠদানের সমান কার্যকর নয়।
আহসান হাবীব,
শিক্ষার্থী, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বেসরকারি ব্যাংকে
এফডিআর বিড়ম্বনা
গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে ইস্টার্ণ ব্যাংক প্রিন্সিপাল শাখায় ২০ লাখ টাকার একটি এফ ডি আর ভাঙ্গিয়েছি। এর পনের পরও আমার একাউন্টে লাভ তো দূরের কথা মূল টাকাও জমা হয়নি। আমার মূল একাউন্টটি উক্ত ব্যাংকের বংশাল শাখায়। আমি প্রিন্সিপাল ও বংশাল উভয় শাখায় যোগাযোগ করেছি।
কিন্তু ব্যাংকের কর্মকর্তারা কেউই বলতে পারছে না আমার টাকাটা কোথায়? ৬ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় এফ ডি আরের টাকার হদিস না পেয়ে ব্যাংক হতে স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করি। সেখানেও ১৫ দিন পর এফ ডি আরের টাকা জমা না হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পাশাপাশি ইস্টার্ন ব্যাংকের হেড অফিসে অভিযোগ করি। অভিযোগের পর ওই দিনই দুপুরে এফ ডি আরের সম্পূর্ণ টাকা আমার একাউন্টে জমা হয় এবং আমি মোবাইলে ম্যাসেজ পাই। এতদিনের মানসিক যন্ত্রণা ও দুশ্চিন্তা হতে মুহূর্তেই মুক্তি পেলাম।
প্রশ্ন হলো, এফ ডি আরের টাকা এতদিন কোথায় ছিল এবং কার কাছে ছিল? টাকাটা আত্মসাৎ করার কোন-চক্রান্ত হয়েছিল কি না-তা জানা যায়নি। এত টাকা গায়েব বা আত্মসাৎ হয়ে গিয়েছে এই ভয়ে আমার রাতে ঘুম হতো না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং খেয়ালীপনা আমাকে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে।
আজকাল ব্যাংকে টাকা রাখাটা যে নিরাপদ নয়, এ ধরনের প্রতারণা ও হয়রানি থেকে অনুধাবন করছি। কিছু সংখ্যক অসৎ ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য দেশের সার্বিক ব্যাংকগুলোর অবস্থা বেহাল। এ ধরনের সার্ভিসের মাধ্যমে ব্যাংকের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়ে থাকে। আশা করি এফডিআর-সংক্রান্ত অভিযোগটি আমলে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইবিএল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
ঢাকা।