জনবল সংকটে ভুগছে মেহেরপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। এতে বিঘিœত হচ্ছে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। শীতজনিত কারণে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা কম। কাগজে-কলমে কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ রয়েছে ৪২টি। বাস্তবে আছেন ১৭ জন। ১১ জন মেডিকেল অফিসারের মধ্যে রয়েছে মাত্র দুজন। এতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
শুধু মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালই নয়, জনবল সংকট রয়েছে দেশের অনেক সরকারি হাসপাতালে। প্রায়ই এ ধরনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। অনেক হাসপাতালে আধুনিক মানের যন্ত্রপাতি নেই। কোথাও যন্ত্রপাতি থাকলেও নেই চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ান। জনবলের অভাবে বিকল হয়ে আছে অনেক যন্ত্রপাতি। ছুটির দিনে বন্ধ থাকে বহির্বিভাগ ও প্যাথলজি। এতে ভোগান্তি বাড়ে রোগীর।
রোগ দিনক্ষণ বুঝে হয় না। প্রতিদিনই নানা জটিল রোগী হাসপাতালে আসছেন। তাই ২৪ ঘণ্টা রোগীর সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ জরুরি। কিন্তু যে পেশার সঙ্গে মানুষের জীবন-মৃত্যু জড়িত, সেখানে ছুটির দিনে রোগীদের সেবা প্রদানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকা উচিত। সব চিকিৎসককেই অন্তত দুই বছর মাঠপর্যায়ে চিকিৎসাসেবা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। কেউ সরকারি নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বরাদ্দের অপ্রতুলতা আছে। এটা দূর করতে হবে। চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিকস, টেকনিশিয়ানসহ প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামো থাকতে হবে। এর কোন একটির ঘাটতি হলে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১ , ২ মাঘ ১৪২৭, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪২
জনবল সংকটে ভুগছে মেহেরপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। এতে বিঘিœত হচ্ছে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। শীতজনিত কারণে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা কম। কাগজে-কলমে কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ রয়েছে ৪২টি। বাস্তবে আছেন ১৭ জন। ১১ জন মেডিকেল অফিসারের মধ্যে রয়েছে মাত্র দুজন। এতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
শুধু মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালই নয়, জনবল সংকট রয়েছে দেশের অনেক সরকারি হাসপাতালে। প্রায়ই এ ধরনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। অনেক হাসপাতালে আধুনিক মানের যন্ত্রপাতি নেই। কোথাও যন্ত্রপাতি থাকলেও নেই চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ান। জনবলের অভাবে বিকল হয়ে আছে অনেক যন্ত্রপাতি। ছুটির দিনে বন্ধ থাকে বহির্বিভাগ ও প্যাথলজি। এতে ভোগান্তি বাড়ে রোগীর।
রোগ দিনক্ষণ বুঝে হয় না। প্রতিদিনই নানা জটিল রোগী হাসপাতালে আসছেন। তাই ২৪ ঘণ্টা রোগীর সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ জরুরি। কিন্তু যে পেশার সঙ্গে মানুষের জীবন-মৃত্যু জড়িত, সেখানে ছুটির দিনে রোগীদের সেবা প্রদানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকা উচিত। সব চিকিৎসককেই অন্তত দুই বছর মাঠপর্যায়ে চিকিৎসাসেবা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। কেউ সরকারি নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বরাদ্দের অপ্রতুলতা আছে। এটা দূর করতে হবে। চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিকস, টেকনিশিয়ানসহ প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামো থাকতে হবে। এর কোন একটির ঘাটতি হলে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।