কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে বাস্তবায়িত পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে আইপিএম মডেল ইউনিয়ন করা হয়েছে। এ বিশাল কর্মকা-ে ২০টি কৃষক দলের মাধ্যমে ৫০০ জন কৃষক নিয়ে বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নানা রকমের বিশমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। ১০০ একর জমিতে টমেটো, বেগুন, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, খিরা, বাংগি, স্কোয়াশ চাষ হচ্ছে। কোথাও নেট হাউজ, হলুদ, আঠালো ফাঁদ, ফেরোমন ফাঁদ, জৈব বালাইন, এ সকল জমিতে কোন রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে না।
দলভুক্ত কৃষক এ প্রশিক্ষণসহ বীজ, জৈব সার, কেরোমন ফাঁদ, জৈব বালাইনাশক, হলুদ, আঠালো ফাঁদ ইত্যাদি পেয়ে খুশি। এ ব্যাপারে দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সারোয়ার জামান জানান এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ১০টি উপজেলায় ১০টি ইউয়িনকে আইপিএম মডেল ইউনিয়ন হিসেবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখানে ৫০০ জন কৃষককে ২০টি গ্রুপ বিভক্ত করে সমন্বিত বালাই ববস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন আধুনিক জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কে জানবে এবং নিরাপদ সবজি উৎপাদন করলে এখানে নিরাপদ সবজি বা খাদ্য বিষয়ে জনগণকেও সচেতন করা হচ্ছে। টামটা গ্রামের কৃষক তসলিম বলেন, আমার জমিতে একটি নেট হাউজ হয়েছে। সেখানে কোন ধরনের স্প্রে করিনি, নেটের মাধ্যমে থাকা ফুলকপি, খুব সুন্দর হবে।
আগামীতে নেটে চাষ করলে ফসল উৎপাদন বাড়বে এবং দেখতে অনেক সুন্দর হবে। এভাবে আইপিএম পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে আমরা আশাবাদী কৃষকরা একদিন ভালো দাম পাবে এবং পর্যায়ক্রমে আইপিএম পদ্ধতি চাষ সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।
রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১ , ৩ মাঘ ১৪২৭, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, দাউদকান্দি (কুমিল্লা)
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে বাস্তবায়িত পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে আইপিএম মডেল ইউনিয়ন করা হয়েছে। এ বিশাল কর্মকা-ে ২০টি কৃষক দলের মাধ্যমে ৫০০ জন কৃষক নিয়ে বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নানা রকমের বিশমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। ১০০ একর জমিতে টমেটো, বেগুন, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, খিরা, বাংগি, স্কোয়াশ চাষ হচ্ছে। কোথাও নেট হাউজ, হলুদ, আঠালো ফাঁদ, ফেরোমন ফাঁদ, জৈব বালাইন, এ সকল জমিতে কোন রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে না।
দলভুক্ত কৃষক এ প্রশিক্ষণসহ বীজ, জৈব সার, কেরোমন ফাঁদ, জৈব বালাইনাশক, হলুদ, আঠালো ফাঁদ ইত্যাদি পেয়ে খুশি। এ ব্যাপারে দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সারোয়ার জামান জানান এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ১০টি উপজেলায় ১০টি ইউয়িনকে আইপিএম মডেল ইউনিয়ন হিসেবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখানে ৫০০ জন কৃষককে ২০টি গ্রুপ বিভক্ত করে সমন্বিত বালাই ববস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন আধুনিক জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কে জানবে এবং নিরাপদ সবজি উৎপাদন করলে এখানে নিরাপদ সবজি বা খাদ্য বিষয়ে জনগণকেও সচেতন করা হচ্ছে। টামটা গ্রামের কৃষক তসলিম বলেন, আমার জমিতে একটি নেট হাউজ হয়েছে। সেখানে কোন ধরনের স্প্রে করিনি, নেটের মাধ্যমে থাকা ফুলকপি, খুব সুন্দর হবে।
আগামীতে নেটে চাষ করলে ফসল উৎপাদন বাড়বে এবং দেখতে অনেক সুন্দর হবে। এভাবে আইপিএম পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে আমরা আশাবাদী কৃষকরা একদিন ভালো দাম পাবে এবং পর্যায়ক্রমে আইপিএম পদ্ধতি চাষ সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।