ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করুন

রাজধানীর কলাবাগানে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা জানিয়েছেন, তথ্য ও প্রমাণ থাকার পরও মামলার অগ্রগতি খুব একটা নেই। তদন্তের কাজ চলছে ধীরগতিতে।

কলাবাগানে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা যেমনটা বলেছেন, বর্তমান সময়ে দেশের বেশিরভাগ ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে তেমন পরিস্থিতি দেখা যায়। ধর্ষণ মামলার বিচারপ্রার্থীদের থানা থেকে আদালত পর্যন্ত অশেষ হয়রানি পোহাতে হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হলেও সময়সীমা মানা হয় না। ধর্ষণের অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। তদন্ত আর অভিযোগ গঠনে অনেক সময় চলে যায়। রহস্যজনক কারণে পুলিশ আসামিদের খুঁজে পায় না অথবা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায় না। পুলিশ আর সরকারি কৌঁসুলিরা (পিপি) সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করে মামলা জিততে পারেন না।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অন্তত ২৫টি ধর্ষণ মামলার বেশিরভাগ আসামি জামিন পেয়েছেন। যদিও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ অনুযায়ী তাদের জামিন পাওয়ার কথা নয়।

এ অসঙ্গতির অবসান ঘটাতে না পারলে ধর্ষণের প্রবণতা রোধ করা অসম্ভব। তদন্ত ও আইনি বিধান সঠিকভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত ও বিচার শেষ করতে হবে। পুলিশ, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ ধর্ষণ মামলার বিচারসংশ্লিষ্ট সবাইকে জেন্ডার সমতা, সংস্কারকৃত আইন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল সম্পর্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

আইনে তদন্ত ও বিচারের জন্য সময়সীমাসহ পুলিশ, ডাক্তার ও পিপির জবাবদিহির বিধান আছে। কিন্তু কর্তব্যে অবহেলা কিংবা বিচ্যুতির শাস্তি সুনির্দিষ্ট নয়। এক্ষেত্রে শাস্তির বিধান করা জরুরি।

রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১ , ৩ মাঘ ১৪২৭, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করুন

রাজধানীর কলাবাগানে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা জানিয়েছেন, তথ্য ও প্রমাণ থাকার পরও মামলার অগ্রগতি খুব একটা নেই। তদন্তের কাজ চলছে ধীরগতিতে।

কলাবাগানে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা যেমনটা বলেছেন, বর্তমান সময়ে দেশের বেশিরভাগ ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে তেমন পরিস্থিতি দেখা যায়। ধর্ষণ মামলার বিচারপ্রার্থীদের থানা থেকে আদালত পর্যন্ত অশেষ হয়রানি পোহাতে হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হলেও সময়সীমা মানা হয় না। ধর্ষণের অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। তদন্ত আর অভিযোগ গঠনে অনেক সময় চলে যায়। রহস্যজনক কারণে পুলিশ আসামিদের খুঁজে পায় না অথবা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায় না। পুলিশ আর সরকারি কৌঁসুলিরা (পিপি) সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করে মামলা জিততে পারেন না।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অন্তত ২৫টি ধর্ষণ মামলার বেশিরভাগ আসামি জামিন পেয়েছেন। যদিও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ অনুযায়ী তাদের জামিন পাওয়ার কথা নয়।

এ অসঙ্গতির অবসান ঘটাতে না পারলে ধর্ষণের প্রবণতা রোধ করা অসম্ভব। তদন্ত ও আইনি বিধান সঠিকভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত ও বিচার শেষ করতে হবে। পুলিশ, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ ধর্ষণ মামলার বিচারসংশ্লিষ্ট সবাইকে জেন্ডার সমতা, সংস্কারকৃত আইন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল সম্পর্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

আইনে তদন্ত ও বিচারের জন্য সময়সীমাসহ পুলিশ, ডাক্তার ও পিপির জবাবদিহির বিধান আছে। কিন্তু কর্তব্যে অবহেলা কিংবা বিচ্যুতির শাস্তি সুনির্দিষ্ট নয়। এক্ষেত্রে শাস্তির বিধান করা জরুরি।