কুষ্টিয়ার হরিপুরের লাখো মানুষের স্বপ্নের সেতু শেখ রাসেল-কুষ্টিয়া হরিপুর সংযোগ সেতু। এই সেতুটিকে ঘিরে হরিপুরবাসীর জীবন মান উন্নয়ন হয়েছে। অথচ এই স্বপ্নের সেতুটিকেই হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। রাজস্ব আদায়ের নামে হরিপুর, বোয়ালদাহ, মজমপুর মৌজার বালুমহল ইজারা দেয়ায় সেতুটি হুমকির মুখে পতিত হয়েছে। ইতোপূর্বে সেতুটি দিয়ে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি চলাচল করলেও ইজারা দেয়ার ফলে এখন থেকে এই সেতুর ওপর দিয়ে বালুভর্তি ট্রাক বিশেষ করে বালুভর্তি ট্রাক চলাচল করবে। এতে প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক চলবে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে। ফলে একদিকে যেমন সেতুটি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে অন্যদিকে যানমালের নিরাপত্তার ঝুঁকিও বাড়বে। এমতাবস্থায় ক্ষুব্ধ হরিপুরবাসী। ইজারা বাতিলে এরই মধ্যে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদনও করেছেন। যার স্বারক নং-হা:হ:ইউপি/২০২১/০৯। আবেদনে বলা হয় ইউনিয়নের ওই বালুমহল ইজারা দেয়া হলে শেখ রাসেল সংযোগ সেতুর ওপর দিয়ে বালি বোঝায় ভারি যানবাহন চলাচল করলে ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে সেতুটি। তাছাড়া বিকেলে ব্রিজ ও তার আশাপাশ এলাকায় বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়। এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে বালুমহল ইজারা বাতিলের দাবি জানানো হয় আবেদনটিতে।
এদিকে হরিপুরে বালুমহল ইজারা বাতিলের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে হরিপুরবাসী। হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি মেম্বার সেলিম হোসেন জানান এমপি মাহবুবউল আলম হানিফের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হরিপুরবাসীর স্বপ্নের সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন অশনি সংকেত দেখা দেয়। কয়েকদিন আগে হরিপুরের বালুমহল ইজারা দেয়ায় সেতুর ওপর দিয়ে বালুভর্তি ভারি ট্রাক চলাচল করবে। এতে ব্রিজ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এমতাবস্থায় ইজারা বাতিলের দাবি জানান তিনি।
হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ জানান, স্বপ্নের সেতুটি আজ হুমকির মুখে পতিত হতে যাচ্ছে বালুমহল ইজারা দেয়ায়। হরিপুরবাসী তথা সেতুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমার ইউনিয়ন পরিষদ’র পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়েছি।
সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ , ৪ মাঘ ১৪২৭, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার হরিপুরের লাখো মানুষের স্বপ্নের সেতু শেখ রাসেল-কুষ্টিয়া হরিপুর সংযোগ সেতু। এই সেতুটিকে ঘিরে হরিপুরবাসীর জীবন মান উন্নয়ন হয়েছে। অথচ এই স্বপ্নের সেতুটিকেই হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। রাজস্ব আদায়ের নামে হরিপুর, বোয়ালদাহ, মজমপুর মৌজার বালুমহল ইজারা দেয়ায় সেতুটি হুমকির মুখে পতিত হয়েছে। ইতোপূর্বে সেতুটি দিয়ে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি চলাচল করলেও ইজারা দেয়ার ফলে এখন থেকে এই সেতুর ওপর দিয়ে বালুভর্তি ট্রাক বিশেষ করে বালুভর্তি ট্রাক চলাচল করবে। এতে প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক চলবে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে। ফলে একদিকে যেমন সেতুটি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে অন্যদিকে যানমালের নিরাপত্তার ঝুঁকিও বাড়বে। এমতাবস্থায় ক্ষুব্ধ হরিপুরবাসী। ইজারা বাতিলে এরই মধ্যে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদনও করেছেন। যার স্বারক নং-হা:হ:ইউপি/২০২১/০৯। আবেদনে বলা হয় ইউনিয়নের ওই বালুমহল ইজারা দেয়া হলে শেখ রাসেল সংযোগ সেতুর ওপর দিয়ে বালি বোঝায় ভারি যানবাহন চলাচল করলে ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে সেতুটি। তাছাড়া বিকেলে ব্রিজ ও তার আশাপাশ এলাকায় বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়। এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে বালুমহল ইজারা বাতিলের দাবি জানানো হয় আবেদনটিতে।
এদিকে হরিপুরে বালুমহল ইজারা বাতিলের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে হরিপুরবাসী। হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি মেম্বার সেলিম হোসেন জানান এমপি মাহবুবউল আলম হানিফের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হরিপুরবাসীর স্বপ্নের সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন অশনি সংকেত দেখা দেয়। কয়েকদিন আগে হরিপুরের বালুমহল ইজারা দেয়ায় সেতুর ওপর দিয়ে বালুভর্তি ভারি ট্রাক চলাচল করবে। এতে ব্রিজ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এমতাবস্থায় ইজারা বাতিলের দাবি জানান তিনি।
হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ জানান, স্বপ্নের সেতুটি আজ হুমকির মুখে পতিত হতে যাচ্ছে বালুমহল ইজারা দেয়ায়। হরিপুরবাসী তথা সেতুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমার ইউনিয়ন পরিষদ’র পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়েছি।