আজ পার্থ প্রতিমের জন্মদিন

আজ ১৮ জানুয়ারি বিখ্যাত মূকাভিনয় শিল্পী পার্থ প্রতিম মজুমদারের জন্মদিন। ১৯৫৪ সালের এই দিনে তিনি পাবনা জেলার কালাচাঁদপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পার্থ প্রতিম মজুমদারের মূল নাম প্রেমাংশু কুমার বিশ্বাস। ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে নিয়মিত মূকাভিনয়ের চর্চা করেছেন। তখন ভানু নামে তিনি বেশ পরিচিত লাভ করেন। বাংলাদেশে মূকাভিনয় শিল্পের সূচনা হয় এই গুণী শিল্পীর মাধ্যমে। বর্তমানে তিনি ফ্রান্সে বসবাস করছেন। মাঝে প্রতি বছর তিনি দেশে এসে মূকাভিনয় নিয়ে কাজ করলেও বেশ কয়েক বছর হলো দেশে আসেননি। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি প্রতি বছর একবার করে দেশে এসেছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের জন্মদিন নিয়ে পার্থ প্রতিম মজুমদারের কোন পরিকল্পনা নেই। প্যারিস থেকে তিনি বলেন, ‘ফ্রান্সে করোনায় মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে গেছে। প্যারিসে এখন কারফিউ জারি করা হয়েছে। সারা পৃথিবীর এই সংকটময় সময়ে জন্মদিন নিয়ে আমার কোন বিশেষ পরিকল্পনা নেই। সবাই সুস্থ থাকুক ভালো থাকুক পৃথিবীজুড়ে মহামারীর এ সংকট কেটে যাকÑ এটাই এখন চাওয়া। গত প্রায় এক বছর ধরে সম্পূর্ণ ঘরে বসে আছি। কোন ধরনের কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করিনি। এখন পর্যন্ত ভালো আছি সুস্থ আছি। তবে নিজের দেশ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় থাকি। এই করোনার সময়ে অনেক গুণী মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খবরগুলো শুনলে মনটা খুব খারাপ হয়।’ পার্থ ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কলকাতার যোগেশ দত্ত মাইম একাডেমিতে শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রথমবারের মতো মূকাভিনয় প্রদর্শন করেন তিনি। পার্থ প্রতিম মজুমদার পৃথিবীর অনেক দেশে মূকাভিনয় প্রদর্শন করেছেন। ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৮২ সালে মডার্ন কর্পোরাল মূকাভিনয়ের ওপর ‘ইকোল দ্য মাইম’ এ শিক্ষাগ্রহণ করেন। এরপর ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বিখ্যাত মূকাভিনয় শিল্পী মারসেল মার্সোর কাছে মূকাভিনয়ের ওপর উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে মারসেল মার্সোর তত্ত্বাবধানে পার্থপ্রতিম মজুমদার মূকাভিনয়ের তত্ত্ব বিষয়ক গবেষণা কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। তার মূকাভিনয় নিয়ে কিছু ভিডিও নির্মিত হয়েছে। পার্থ বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। পার্থ প্রতিম মজুমদার অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। ফ্রান্সের জাতীয় থিয়েটারের মোলিয়ার অ্যাওয়ার্ড (২০০৯), একুশে পদক (২০১০) ও ফ্রান্স সরকারের শেভালিয়র (নাইট) উপাধি (২০১১)।

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ , ৪ মাঘ ১৪২৭, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

আজ পার্থ প্রতিমের জন্মদিন

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

আজ ১৮ জানুয়ারি বিখ্যাত মূকাভিনয় শিল্পী পার্থ প্রতিম মজুমদারের জন্মদিন। ১৯৫৪ সালের এই দিনে তিনি পাবনা জেলার কালাচাঁদপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পার্থ প্রতিম মজুমদারের মূল নাম প্রেমাংশু কুমার বিশ্বাস। ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে নিয়মিত মূকাভিনয়ের চর্চা করেছেন। তখন ভানু নামে তিনি বেশ পরিচিত লাভ করেন। বাংলাদেশে মূকাভিনয় শিল্পের সূচনা হয় এই গুণী শিল্পীর মাধ্যমে। বর্তমানে তিনি ফ্রান্সে বসবাস করছেন। মাঝে প্রতি বছর তিনি দেশে এসে মূকাভিনয় নিয়ে কাজ করলেও বেশ কয়েক বছর হলো দেশে আসেননি। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি প্রতি বছর একবার করে দেশে এসেছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের জন্মদিন নিয়ে পার্থ প্রতিম মজুমদারের কোন পরিকল্পনা নেই। প্যারিস থেকে তিনি বলেন, ‘ফ্রান্সে করোনায় মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে গেছে। প্যারিসে এখন কারফিউ জারি করা হয়েছে। সারা পৃথিবীর এই সংকটময় সময়ে জন্মদিন নিয়ে আমার কোন বিশেষ পরিকল্পনা নেই। সবাই সুস্থ থাকুক ভালো থাকুক পৃথিবীজুড়ে মহামারীর এ সংকট কেটে যাকÑ এটাই এখন চাওয়া। গত প্রায় এক বছর ধরে সম্পূর্ণ ঘরে বসে আছি। কোন ধরনের কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করিনি। এখন পর্যন্ত ভালো আছি সুস্থ আছি। তবে নিজের দেশ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় থাকি। এই করোনার সময়ে অনেক গুণী মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খবরগুলো শুনলে মনটা খুব খারাপ হয়।’ পার্থ ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কলকাতার যোগেশ দত্ত মাইম একাডেমিতে শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রথমবারের মতো মূকাভিনয় প্রদর্শন করেন তিনি। পার্থ প্রতিম মজুমদার পৃথিবীর অনেক দেশে মূকাভিনয় প্রদর্শন করেছেন। ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৮২ সালে মডার্ন কর্পোরাল মূকাভিনয়ের ওপর ‘ইকোল দ্য মাইম’ এ শিক্ষাগ্রহণ করেন। এরপর ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বিখ্যাত মূকাভিনয় শিল্পী মারসেল মার্সোর কাছে মূকাভিনয়ের ওপর উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে মারসেল মার্সোর তত্ত্বাবধানে পার্থপ্রতিম মজুমদার মূকাভিনয়ের তত্ত্ব বিষয়ক গবেষণা কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। তার মূকাভিনয় নিয়ে কিছু ভিডিও নির্মিত হয়েছে। পার্থ বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। পার্থ প্রতিম মজুমদার অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। ফ্রান্সের জাতীয় থিয়েটারের মোলিয়ার অ্যাওয়ার্ড (২০০৯), একুশে পদক (২০১০) ও ফ্রান্স সরকারের শেভালিয়র (নাইট) উপাধি (২০১১)।